জগন্নাথপুরে দীর্ঘ বাঁশের সাঁকো, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার
সানোয়ার হাসান সুনু :: জগন্নাথপুর পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ডের ২টি গ্রামের নাগরিকদের চলাচলের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম বাঁশের সাঁকো। এলাকাবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার করছেন। পৌর শহরে দীর্ঘদিন ধরে বাঁশের সাঁকোর বিষয়টি জনসাধারণকে ভাবিয়ে তুলছে। যে কারণে জনসাধারণের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। জনসাধারণের ভোগান্তি লাঘবে সেতু নির্মাণে নেই কোন উদ্যোগ। তাই এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবিতে ফুসে উঠেছেন স্থানীয় ভূক্তভোগী জনসাধারণ। সরেজমিনে দেখা যায়, জগন্নাথপুর পৌর শহরের জগন্নাথপুর ও হাসিমাবাদ গ্রামের মধ্য স্থানে নলজুর নদীতে নির্মিত দীর্ঘ প্রায় ২০০ ফুট লম্বা বাঁশের সাঁকো যোগে চলাচল করছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছেন। ভূক্তভোগী মাওলানা লায়েক আহমদ, আমির আলী, আলকাব আলী, মন্নান মিয়াসহ গ্রামের অনেকে বলেন, দেশ স্বাধীনের পর থেকে আমরা বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছি। আমরা নামে পৌর নাগরিক হলেও বাস্তবে মনে হচ্ছে কোন দ্বীপের বাসিন্দা। একটি মাত্র সেতুর অভাবে আমাদের কষ্টের শেষ নেই। মাওলানা লায়েক আহমদ বলেন, অন্য বছর আমরা গ্রামবাসীর উদ্যোগে এ নদীতে সাঁকো নির্মাণ করা হলেও এবার জগন্নাথপুর পৌরসভার উদ্যোগে নির্মাণ হয়েছে। এছাড়া অনেক সময় এ দীর্ঘ সাঁকো পারাপার হতে গিয়ে হাত ফসকে পানিতে পড়ে যান মানুষ। প্রায়ই এধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বেশি বেকায়দায় পড়তে হয়। তারা বই ও বইয়ের ব্যাগ নিয়ে সাঁকো পারাপার হতে গিয়ে পানিতে পড়ে যাওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর নাগরিক অধিকার ফোরামের সভাপতি মো. নুরুলহক জানান, সম্প্রতি আমরা জগন্নাথপুর গ্রামবাসীর উদ্যোগে তিলোনা মাঠে এক জনসভায় নলজুর নদীর ব্রীজ, পিংলার কাড়া কালভার্ট, একটি কবর স্থান নির্মাণ ও স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েদের খেলাধুলার জন্য তিলোনার মাঠে মাটি ভরাটসহ এলাকাবাসীর পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ দাবি পেশ করলে স্থানীয় এমপি পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এগুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন। পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের সাথে যোগাযোগ করেছি। আশা করছি এলাকাবাসীর স্বার্থে মন্ত্রী সেতু নির্মাণে পদক্ষেপ নিবেন।