সুনামগঞ্জে বিভিন্ন হাওরে বাধঁ ভেঙ্গে তলিয়ে গেছে বোরো জমির ফসল
সংবাদদাতা: সুনামগঞ্জে গত কয়েকদিনে টানা অবিরাম বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়িঢলে তলিয়ে গেছে জেলার বেশ কয়েকটি হাওরের ৫ হাজার হেক্টর বোরো জমির ফসল। পানি উন্নয়ন বোর্ড আর ঠিকাদারদের গাফিলাতির ও দুনীতির কারনে সময়মত ফসলরক্ষা বাঁধ না হওয়ায় এবারো কৃষকরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়, সময়মতো বাঁধ না হওয়ায় আগাম বন্যা আর পাহাড়ি ঢল থেকে ফসল বাচাঁতে অনেকটা দিশেহাষা কৃষকরা। এভাবেই নিজেদের ফসল রক্ষা করতে বাধ নির্মাণ কাজে লেগে গেছেন এলাকায় বিভিন্ন এলাকায় ও গ্রামের নারী পুরুষ সবাই ।
গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢলে শনিবার সকালে বিভিন্ন ঘুরে দেখা যায়,বিভিন্ন হাওর ও নদীর পানি বেড়ে সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা.মধ্যনগর,বিশ্বম্ভরপুর,দিরাই,শাল্লা সহ কয়েকটি হাওরের কয়েক হাজার হেক্টর ফসল তলিয়ে গেছে। ইতিমধ্যে কিছু কিছু বাধেঁ দেখা দিয়েছে ফাটল আবার অনেক হাওরে এখন বাধই নির্মান করা হয়নি। হাওর অধ্যুষিত জেলার প্রধান ফসল বোরো। এ জেলার ৮০ শতাংশ মানুষের জীবন জীবিকা নির্ভর করে বোরো ফসলের উপর। সময়মত ফসলরক্ষা বাধ না হওয়ায় প্রতিবছরের মত এবারো জেলার কয়েক লাখ কৃষক বোরো ফসলের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত বোধ করছেন। এ বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জের মোট ৪২টি হাওরে ১০ কোটি ৭৭ লাখ ব্যয়ে ২২৫টি পিআইসি (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) ও ৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৬টি প্যাকেজে ঠিকাদার দিয়ে বোরো ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করছে । জেলায় বোরো ফসলের আবাদ হয়েছে ২ লাখ ২০হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে। গত ২৮ ফ্রেব্রুয়ারির মধ্যে জেলার সব হাওরে বাঁধের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো শুরু হয়নি অনেক বাঁধের কাজ। কিছু বাধের কাজ শুরু হলেও তড়িঘড়ি ও যেনতেনভাবে হচ্ছে সেগুলোর কাজ। সময়মত ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণের দাবিতে হাওরবাসী ও টিআইবিসহ অনেক সংগঠন মানববন্ধনসহ বেশ কিছু কর্মসূচি পালন করেছে। যথা সময়ে বাধ রক্ষার কাজ শেষ না হওয়ায় কৃষকরা জানালেন তাদের আশঙ্কার কথা।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোডের্র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আফসার উদ্দিন ঠিকাদারদের কাজের ব্যপারে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে বললেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আশ্বাস দিলেন দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ হবে বাধের কাজ।
গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে পানি বেড়ে যাওয়া ফসল রক্ষা কৃষকেরা ফসল নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। বাঁধের কাজ শেষ না হওয়ার তাঁদের চিন্তা আরও বেড়েছে। এ ব্যপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জের টাইলা গ্রামের কৃষক সুধারঞ্জন দাস,সলিল কুমার দাস,মোঃ জামাল উদ্দিন ও ডাঃ মোহাম্মদ হোসেন ও দূর্গাপুর গ্রামের দৈনিক সিলেট মানচিত্রের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক নাইম তালুকদার জানান,আমরা নি¤œআয়ের কৃষকরা বোরো ফসনের উপর নির্ভরশীল । কিন্তু প্রতিবছর সরকারের দেয়া কোটি কোটি টাকা ফসল রক্ষা বাধেঁর নামে এনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিচু র্দূনীতিবাজ কর্মকর্তা আর পিআইসিরা মিলে লুটেপুঠে কাওয়ার কারণেই আমাদের ফসল তাকে হুমকির মুখে। এবারও আকাশের যে অবস্থা এখনো অনেক জায়গাতে বাধেঁর কাজ মুরু হয়নি আর যেকানে হয়েছে শুদু নামমাত্রই লোক দেখানো বাধঁ নির্মান করা হচ্ছে। তারা হাওরের ফসল রক্ষায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ও বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দাবি কৃষকদের ।