সরকার যোগ্য ও প্রশিক্ষিতদের বিদেশে পাঠাতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বার্তা ডেস্ক :: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেন, সরকার যোগ্য ও প্রশিক্ষিতদের কর্মসংস্থানের জন্য বিদেশে পাঠাতে চায়। আগামী পাঁচ বছর কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদানে সরকার প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে। যুবসমাজের দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণের জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের সাথে বেশকিছু চুক্তিতে স্বাক্ষর করা হয়েছে। গত বছর প্রায় ৭ লক্ষ ব্যক্তিকে বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য পাঠানো হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত দু’দিনব্যাপী ‘জাতীয় কর্মসংস্থান মেলা-২০১৯’ (Nation Career Fair-2019) এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। ড. মোমেন বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি সরকারের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। সরকার আগামী পাঁচ বছরে ১ কোটি ৫০ লক্ষ এবং প্রতি বছর ৩০ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল সৃষ্টি করা হয়েছে। এখানে কমপক্ষে ১ কোটি মানুষের কর্মর্সস্থান সৃষ্টি হবে। সরকার আইসিটি সেক্টরে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ যুবককে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এক্ষেত্রে উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে সরকার অর্থেরও যোগান দিয়ে যাচ্ছে। সরকার বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে চাকুরিপ্রার্থীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। তিনি বলেন, চাকুরিপ্রার্থীদের বেসরকারি সংস্থার উচ্চ পদে চাকুরির জন্য যথাযথ লেখাপড়া ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সৌভাগ্যবান যে, বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর বড় অংশ তরুণ ও কর্মক্ষম। জনসংখ্যার ৪৯ শতাংশের বয়স ২৫ বছরের কম এবং ৭৪ শতাংশ কর্মক্ষম। ভবিষ্যতেও এই জনসংখ্যা আমাদের দেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে। ড. মোমেন বলেন, শিক্ষক ও প্রশিক্ষকদের একটি দায়িত্ব হলো তাদের ছাত্ররা যেন মানসস্মত চাকুরি পায় সে ব্যবস্থা করা। যারা ভালো চাকুরি পায় সেটা কেবল তাদের জন্য নয়, বরং সমগ্র জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তারা দেশের জন্য অবদান রাখে। আমরা যদি যথাযথ প্রশিক্ষণ দিতে পারি, আমাদের দেশের যুবসমাজকে কেবল আমাদের দেশে চাকুরি খুঁজতে হবে না, বরং তারা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারবে। বিশেষকরে, আইসিটি সেক্টরে, যেখানে চাকুরি কেবল কোন বিশেষ ভৌগোলিক সীমানায় সীমাবদ্ধ থাকবে না। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ভিনসেন্ট চ্যাং।