তাহিরপুরে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে ৫০ গ্রামের মানুষ পানি বন্ধি
এম. এ রাজ্জাক :: টানা কয়েকদিনের বৃষ্টি আর উজান থেকে পানি এসে তাহিরপুরে ৫০ গ্রামের মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় সুনামগঞ্জে ৪১৫ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সুনামগঞ্জের সুরমা নদীসহ বিভিন্ন নদীর পানি বিপদসীমার ৬৮ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলার বাগলী থেকে চানঁপুর ও তাহিরপুর সদর থেকে সুনামগঞ্জ সড়ক যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আনোয়ারপুর ব্রীজের এপ্রোচের পূর্বাংশের রাস্তাটি পানির স্রোতে কয়েক স্থানে ভেঙ্গে গেছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। পাহাড়ী ছড়া, যাদুকাটা ও মাহারাম নদীর বালি পাথর উত্তোলনকারী প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। অপরদিকে উপজেলার চানঁপুর, বড়ছড়া, লাকমা, চারাগাও, কলাগাও, লামাকাটা ও বাগলী ছড়া দিয়ে উজান থেকে পাহাড়ী ঢল এসে ছড়ার তীরবর্তী শতাধিক ঘরবাড়ী ধ্বংস করেছে। উপজেলার ৩০টিরও বেশী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করায় ক্লাস বন্ধ রয়েছে। ফলে লেখাপড়ার মারাত্বক ব্যাগাত ঘটছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টানা কয়েকদিনে বৃষ্টি আর উজান থেকে পানি এসে উপজেলার রাজধরপুর, রামজীবনপুর, সাহেব নগর, পৈন্ডুপ, গোপালপুর, মারালা, নোয়ানগর, নোয়াগাঁও, ইক্রামপুর, জগদীশপুর, সাহসপুর, সুলেমানপুর, উমেদপুর, আনন্দনগর, পাটাবুকা, ভবানীপুর, দুমাল, লামাগাঁও, বিনোদপুর, ইন্দ্রপুর, পানিয়াখালী, জয়পুর, গোলাবাড়ী, ছিলানি তাহিরপুর, ভোরারঘাট, কামালপুর, জামালপুর, মাটিয়ান, তরং, নয়াবন্ধ, বালিয়াঘাট, দুধের আইউটা, জামলাবাজ, টাকাটুকিয়া, রসুলপুর, কাউকান্দি, কামারকান্দি, ধরুন্দ, কাঞ্চনপুর, ইউন‚ছপুর পাতারগাঁও, মাহতাবপুর, বড়দল সহ প্রায় ৫০টি গ্রামের মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে। এছাড়া উপজেলার উজান এলাকার আমন ধানের প্রায় দু’শ একর জমির বীজতলা ও শাকসব্জির ক্ষেত পানিতে ডোবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল ও শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খসরুল আলম জানান, টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে পানি এসে উপজেলার প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে। সীমান্তবর্তী পাহাড়ী চড়ার তীরবর্তী ঘরবাড়ীর পাহাড়ী ঢলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষজন মানববেতর জীবন যাপন করছে।