চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কুমিরা এলাকার পাহাড়ে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।১ এপ্রিল শনিবার আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ২৯ মার্চ বুধবার বিকেলে শারমিন আক্তার (৪০) নামের ওই নারী পাহাড়ে কাঠ আনতে গিয়ে আর ফেরেননি। পরের দিন ৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ তার ছুরিকাহত লাশ উদ্ধার করে। ওই দিনই এ ঘটনায় মামলা হয়। ৩১ মার্চ শুক্রবার রাতে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জসিম উদ্দিন ওরফে বাচ্চু (৩৫), আবদুল মোতালেব (৪২) ও সরোয়ার আলম ওরফে সেরু (৫৫) নামের তিনজনকে কুমিরার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে পুলিশ। জসিম ও মোতালেবের বাড়ি কুমিল্লায়, বর্তমানে তারা কুমিরা রেলওয়ে উত্তর কলোনিতে থাকেন। সরোয়ার কুমিরার কোর্টপাড়া এলাকার বাসিন্দা। ওসি আরও বলেন, গ্রেফতার তিনজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন যে বুধবার বিকেলে শারমিন পাহাড়ে লাকড়ি আনতে যাওয়ার আগ থেকেই তারাসহ পাঁচ ব্যক্তি সেখানে ছিলেন। পরে ওই নারী তাদের দ্বারা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর ছুরিকাঘাতে শারমিনকে হত্যা করে লাশ সেখানে ফেলে রাখা হয়। নিহত শারমিন আক্তারের স্বামী নেই। তিনি এক মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে কুমিরা রেলস্টেশন এলাকার পাহাড়ের পাশের একটি বাড়িতে থাকতেন। তার বাড়ি কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলায়।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn