ছাতকে ৬ মাসে ৫০দিন অনুপস্থিত ডাক্তার, হাসপাতালে অচলাবস্থা
মাহবুব আলম:: সুনামগঞ্জের ছাতকের কৈতক ২০ শয্যার হাসপাতালে গত ৬মাসের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ৫০দিনই অনুপস্থিত রয়েছেন মোঃ আবু সালেহীন খান নামের একজন ডাক্তার। এতে প্রায় তিন উপজেলার মানুষের স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত হয়ে হাসপাতালে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া অনুপস্থিত থেকেও হাজিরা খাতায় ঘষামাজা করে সাক্ষর করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এব্যাপারে সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ও ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বরাবর ভিবিন্ন সময়ে পৃথক ১৩টি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সরকার স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে ডাক্তারদের উপস্থিত বৃদ্ধি করতে মনিটরিং সেল গঠনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও রহস্যজনক কারণে ডা. আবু সালেহীন নিয়মিত বিরতিতে ডিউটি ফাকি দিচ্ছেন। জানা যায়, কৈতক শয্যার হাসপাতালে ৭জন ডাক্তারের স্থলে ৩জন ডাক্তারের পোস্টিং রয়েছে। উপজেলার জনবহুল এলাকায় এ হাসপাতালটির অবস্থান থাকায় এখানে রোগীর সংখ্যা বেশি। এছাড়াও যাতায়াতের সুবিধা থাকায় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও দোয়ারাবাজার উপজেলার রোগীরাও আসছেন এ হাসপাতালে।
বিশাল এই জনগোষ্ঠীকে সেবা দিতে তিন জন ডাক্তারকে এমনেতেই হিমশিম খেতে হয়। এর মধ্যে একজনের অনুপস্থিতিতে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। অভিযোগ থেকে জানা যায়, ডাঃ আবু সালেহীন খান জানুয়ারি মাসে দুই দিন, ফেব্রুয়ারি মাসে টানা ৭দিন, মার্চ মাসে ৭দিনসহ মে মাস পর্যন্ত ২৩দিন হাসপাতালে অনুপস্থিত থাকেন। পরবর্তীতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বরাবর এব্যাপারে অভিযোগ দেওয়া হলে তিনি নৈমিত্তিক ছুটি অনুমোদন করেন। এছাড়াও তিনি জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত নিয়মিত বিরতিতে আরও ২৭ দিন বিনা অনুমতিতেই হাসপাতালে অনুপস্থিত থাকেন। অথচ হাসপাতালের পাশেই তার সরকারি কোয়ার্টারে প্রাইভেট চেম্বারে রোগি দেখেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে ডাঃ আবু সালেহীন খান জানান, কয়েকদিন তিনি অসুস্থতা এবং পরিক্ষার জন্য হাসপাতালে উপস্থিত হতে পারেন নি। পরবর্তীতে ছুটি মঞ্জুর করিয়েছেন। কিন্তু ওই ছুটি ভোগ করেও বিনা অনুমতিতে আরও ২৭দিন অনুপস্থিতর ব্যপারে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অভিজিৎ শর্মা জানান, এব্যাপারে পৃথক কয়েকটি অভিযোগ তিনি পেয়েছেন, জেলা সিভিল সার্জনের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।