দেশে আড়াই কোটি মানুষ ভালোভাবে খেতে পায় না
২০১২ সালে বয়সের তুলনায় কম উচ্চতার সমস্যায় আক্রান্ত ৫ বছরের কম বয়সী শিশুর সংখ্যা যেখানে ৬৫ লাখ ছিল, ২০১৮ সালে এসে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৫ লাখে। তবে প্রাপ্তবয়স্কদের স্থূলতা ও নারীদের রক্তশূন্যতা হওয়ার হার পূর্বের তুলনায় বেড়েছে। ২০১২ সালে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে স্থূলতার শিকার মানুষের সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ। ১১ লাখ বেড়ে ২০১৬ সালে তা দাঁড়িয়েছে ৩৬ লাখে। একইভাবে ২০১২ সালে রক্তস্বল্পতায় আক্রান্ত নারীর সংখ্যা যেখানে ১ কোটি ৭৪ লাখ ছিল, ২০১৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৮২ লাখে। বিশেষজ্ঞদের মত হলো: খাদ্যের সহজলভ্যতার মানে এই নয় যে সবাই খাবার পাচ্ছেন। একই সময়ে খাদ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও জলবায়ু পরিবর্তন ও নগরায়নসহ বিভিন্ন রকমের ঝুঁকি রয়েছে। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, “হ্যাঁ, এটি ঠিক যে ধান উৎপাদন বেড়েছে। কিন্তু, আমাদের খাদ্যাভ্যাস ও খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টির কী হবে? আমরা ধান উৎপাদন নিয়ে কথা বলছি অথচ অন্যান্য খাবার নিয়ে কিছু বলছি না। তাই, খাদ্য উৎপাদন ও এর সহজলভ্যতার মধ্যে যে ফারাক রয়েছে তা কমানোর জন্যে যথাযথ ও টেকসই ব্যবস্থা নিতে হবে।’