সুনামগঞ্জে বন্যায় ৮৪৮ কি. মি. সড়কের ক্ষয়ক্ষতি
সুনামগঞ্জ শহরের বাসিন্দা জয় তালুকদার বলেন, ট্রাফিক পয়েন্ট থকি পুরাতন বাসস্টেশন এলাকার রাস্তায় বিশাল গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বালু আর পাথর দিয়ে কিছু গর্ত ঢাকার চেষ্টা করা হলেও আবার বৃষ্টি দিলে এগুলো মিশে যাবে। আমরা চাই রাস্তাগুলো যেনো দ্রুত মেরামত করা হয়। এদিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) তথ্যমতে, দোয়ারাবাজার উপজেলায় ৬৬টি স্থানে প্রায় ১৮৪ কি.মি, শাল্লা উপজেলায় ২৩টি স্থানে ৪৫ কি.মি, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ৩০ টি স্থানে ৬০ কি.মি, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার ৪২ টি স্থানে ১২৬ কি.মি, দিরাই উপজেলার ৯ টি স্থানে ২৮ কি.মি, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ৫১ টি স্থানে ১৬৮ কি.মি, তাহিরপুর উপজেলায় ৩ টি স্থানে ১৬ কি.মি, জামালগঞ্জ উপজেলায় ৬ টি স্থানে ৬ কি.মি, জগন্নাথপুর উপজেলায় ২০ টি স্থানে ৭৫ কি.মি, ধর্মপাশা উপজেলায় ১৫ টি স্থানে ৫০ কি.মি, ছাতক উপজেলায় ১০ টি স্থানে ৫৮ কিলোমিটার রাস্তা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে করে জেলার মোট ২৭৫ টি স্থানের ৮১৮ কিলোমিটার রাস্তায় ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে প্রায় ১৮ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান কতৃপক্ষ। তাছাড়া ১১ উপজেলায় প্রায় ৯৬ টি ব্রিজ ও কালভার্টের ক্ষতি হয়েছে যার আনুমানিক ক্ষতি ধরা হয়েছে ৪ কোটি টাকা।
অন্যদিকে জেলা সড়ক ও জনপথের তথ্যমতে, সুনামগঞ্জ জেলায় বন্যায় প্রায় ৩০ কি.মি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ফলেশি প্রায় ১৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃতপক্ষ। তাছাড়া সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কেও ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ব্যাপারে জেলা এলজিইডি কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইকবাল আহমেদ বলেন, পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতে আমাদের ৮১৮ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে সরকার থেকে আমাদের বরাদ্দ পাঠানো হয়েছে। এখনো অনেক সড়কে পানি। এই পানিগুলো কমে গেলে আমরা দ্রুত কাজ শুরু করে দিবো। জেলা সড়ক ও জনপথ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, বন্যায় আমাদের সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কও রয়েছে। আনুমানিক হিসেবে প্রায় ৩০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা এই ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের তালিকা মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়েছি।