সিসি ক্যামেরা বসিয়ে প্রকল্প এলাকায় কাজের তদারকি
বার্তা ডেস্ক:: পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসিয়ে কাজের তদারকি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। আগামীতে অন্য মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প এলাকাগুলোতেও সিসি ক্যামেরা বসিয়ে তদারকি বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি। মঙ্গলবার ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনাসভা শেষে মন্ত্রী এসব কথা জানান। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সারাদেশে অনেক প্রকল্প চলমান। এসব প্রকল্প এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসিয়ে প্রকল্প পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলব। আমরা প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করব। তিনি বলেন, বিদায়ী অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ৯৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। সামনে শতভাগ এডিপি বাস্তবায়নের চেষ্টা করব। ‘গত বছর এডিপি বাস্তবায়ন হার ৯৪ দশমিক ১১ শতাংশ। অনেক মন্ত্রণালয় শতভাগের বেশি বাস্তবায়ন করেছে, যেমন- গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।’ এমএ মান্নান বলেন, টাকার অঙ্কে বিদায়ী অর্থবছরে খরচ হয়েছে এক লাখ ৬৬ হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এডিপির ৯৪ দশমিক ১১ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছিল। তখন অবশ্য এক লাখ ৪৮ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা খরচ করা সম্ভব হয়েছিল। আগেরবারের চেয়ে বিদায়ী অর্থবছরে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা বেশি খরচ হয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, আমরা টিম হিসেবে কাজ ভালো করেছি। সামনে টিমের তদারকি বাড়বে। নিয়মিত পিডিদের (প্রকল্প পরিচালক) নিয়ে বসব। পিডিরা সচিবদের অফিসার, তারাও যেন একসঙ্গে বসেন। আইএমইডির (বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ) মাধ্যমে প্রকল্প এলাকায় তদারকি বাড়াব। আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য- কাজের গতি বাড়ানো। এমএ মান্নান বলেন, কোনো প্রকল্প একবার সংশোধন হতে পারে। তবে দুই-তিনবার কাম্য নয়। তিনবার প্রকল্প সংশোধন স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এমন করলে প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনা হবে। প্রকল্পে ভূমি ব্যবহারে আরও সতর্ক থাকতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রকল্প এলাকায় বেশি জমি ব্যবহার করা যাবে না। অনেক প্রকল্প বহু আগে নেয়া হয়েছে, কিন্তু জমি পড়ে আছে। ‘যেমন সাভারে রেডিও সেন্টার নির্মাণের কথা বলে জমি নেয়া হয়েছে। এ ধরনের প্রকল্প অযৌক্তিকভাবে নেয়া। ধানের জমি, দুই ফসলা জমি নেয়া যাবে না। তিনগুণ দাম দিয়েই প্রকল্প এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণ করতে হবে।’ পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন বই আকারে কম্পাইল করব। এর পরেই সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠাব। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সবাইকে যথাযথভাবে মানতে হবে। তিনি বলেন, সিরিয়াসলি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। এটি নির্বাচনী অর্থবছর ছিল। ফলে তিন মাস কাজ বন্ধ ছিল। নির্বাচনের সময় উন্নয়নকাজ কেন বন্ধ থাকবে? পৃথিবীর অন্য দেশে নির্বাচনে উন্নয়নকাজ বন্ধ থাকে না। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম, সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব নূরুল আমিন, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) বেগম সাহিন আহমেদ চৌধুরী, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ সচিব আবুল মনসুর মো. ফয়েজউল্লাহ প্রমুখ।