আ.লীগে অনুপ্রবেশকারীদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করা হবে: সুনামগঞ্জে হানিফ
সুনামগঞ্জ :: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘ক্লাবগুলোতে জুয়াখেলা, হাউজি খেলা অনেক আগ থেকেই চালু ছিল, এটা ক্লাবের সঙ্গে সম্পৃক্ত; এর সঙ্গে রাজনৈতিক দলের কোন সম্পর্ক নেই। কিন্তু এর সঙ্গে যদি আওয়ামী লীগ কিংবা যুবলীগের কেউ জড়িত হয়, তার জন্য সে অপরাধী, দল অপরাধী হতে পারে না। মোহামেডান ক্লাবের লোকমান বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার একজন বিশ্বস্ত অনুচর ছিলেন। তিনি ক্যাসিনো থেকে ৪১ কোটি টাকা অস্ট্রেলিয়ায় পাচার করেছেন। খালেদ ভূঁইয়া ফ্রিডম পার্টি করেছে, যুবদল করেছে, সুযোগ বুঝে নাম লিখিয়ে সে এখন যুবলীগ সেজে গেছে। মির্জা আব্বাসের ক্যাডার টেন্ডারবাজ জিকে শামীম; এখন সে যুবলীগ নেতা সেজে আওয়ামী লীগের গায়ে কালিমা লেপন করছে।’
তিনি বলেন, ‘এই অনুপ্রবেশকারীরা কেবল ঢাকার ক্যাসিনোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, তারা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত চলে এসেছে। করো ব্যক্তিগত দল ভারী করার জন্য আওয়ামী লীগ এই সমস্ত কলংকের বোঝা টানতে পারে না। আমরা এদের ব্যাপারে বসে নেই। গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে এই ১০ বছরের মধ্যে অন্য দল থেকে কারা কারা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনে অনুপ্রবেশ করেছে তাদের তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। অনুপ্রবেশকারী, জুয়াড়ি আর অপরাধীদের অপকর্মের দায় আওয়ামী লীগ নিতে পারে না। তাদের অপকর্মের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার অর্জন ম্লান হতে দেওয়া হবে না। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। তাদের দল থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করা হবে।’
মঙ্গলবার বিকালে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ নেতা হানিফ আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনা যেকোন ধরনের অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। সেই অন্যায় দলের ভিতরে হোক কিংবা বাইরে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যুবলীগ, আওয়ামী লীগ অথবা ছাত্রলীগ যেই অন্যায় ও দুর্নীতির সাথে যুক্ত হোক না কেন সে সমাজের চোখে অপরাধী। অপরাধীর কোন দল নেই। যে সন্ত্রাসী, সে সমাজের চোখে সন্ত্রাসী। দেশব্যাপী এ ধরনের অপরাধীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে সুর্নিদিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারো ব্যক্তিগত দুর্নীতির দায় দল নেবে না। দলের দোহাই দিয়ে কোন দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী ছাড় পাবে না।’ সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নূরুল ইসলাম নহিদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগাঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিক, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জয়া সেনগুপ্তা, শামিমা শাহরিয়ার, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নূরুল হুদা মুকুট প্রমুখ।