আবরার হত্যাকান্ড-যত রকম উচ্চ শাস্তি আছে ওদের হবে-প্রধানমন্ত্রী
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকারীদের সব ধরনের শাস্তি নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কে ছাত্রলীগ বা কী জানি না, অপরাধী অপরাধীই। প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, এ নৃসংসতা কেন? এই জঘন্য কাজ কেন? এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। যতরকমের উচ্চ শাস্তি আছে সেটা দেয়া হবে। গতকাল বিকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সাম্প্রতিক ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এ সংবাদ সম্মেলন হলেও আবরার হত্যা এবং ক্যাসিনো ও দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা বাচ্চা ছেলে, ২১ বছর বয়স। তাকে হত্যা করা হলো। মারা হলো পিটিয়ে পিটিয়ে।
কী অমানবিক! পোস্টমর্টেম রিপোর্টটা দেখেছি। সব ইনজুরি ভেতরে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ যদি কোনও অপরাধ করে, সে কোন দল করে, কী করে, তা আমি দেখি না, অপরাধী অপরাধীই। বুয়েটে এই ঘটনা যখন ঘটে, সকালে শুনে আমি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলাম আলামত সংগ্রহ করতে, সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করতে। ছাত্ররা নামার আগেই আমরা তৎপরতা শুরু করি।
কে ছাত্রলীগ বা কী জানি না। অপরাধী অপরাধীই, অন্যায়কারীর বিচার হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন,আমি তো বলেছি, ঘটনার সঙ্গে জড়িত কোথায় কে ছিল সব কয়টাকে গ্রেপ্তার করতে। তবে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করার পর সেটা আনতে দেবে না। আমার মনে প্রশ্ন দেখা দিলো, এটা কেন? হত্যাকারীদের কেউ কি এর মধ্যে আছে যে ফুটেজ প্রকাশিত হলে তাদের পরিচয় বের হয়ে যাবে কিনা। পরে তারা ফুটেজ নিয়ে আসলো এবং কর্তৃপক্ষকে একটা কপি দিয়ে আসলো। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আন্দোলন কীসের জন্য। বিচার তো হবেই। যে মা সন্তান হারিয়েছেন, যে বাবা সন্তান হারিয়েছেন তাদের যে কষ্টটা কী সেটা আমি বুঝি। একটা সাধারণ পরিবারের ছেলে, একটা ব্রিলিয়ান্ট ছেলে। তাকে কেন হত্যা করা হলো। তিনি বলেন, ২০০১ সালে আমাদের নেতাকর্মীদের হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মারা হতো এমনভাবে যাতে বাইরে থেকে বোঝা যেত না। বাংলাদেশের ইতিহাসে এ পর্যন্ত কত হত্যা হয়েছে। ছাত্রদল বুয়েটে টেন্ডারবাজি করতে গিয়ে সনিকে হত্যা করেছে। ওই বুয়েটে আমাদের কত নেতাকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আমরা কারও কাছে বিচার পেয়েছি? ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমি চেষ্টা করেছি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের কোনও ঘটনা যাতে না ঘটে। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী লিখিত বক্তব্যে তার দুই সফরের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম প্রধানমন্ত্রীর পাশে ছিলেন।
বুয়েট চাইলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে পারে: এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বুয়েট যদি মনে করে, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে দিতে পারে। এটা তাদের ব্যাপার। তবে ছাত্ররাজনীতি পুরোপুরি বন্ধের বিপক্ষে মত দেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, যেকোনও আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্ররাই মুখ্য ভূমিকা নিয়েছে। তবে ছাত্ররাজনীতি পুরো নিষিদ্ধের কথা তো মিলিটারি ডিক্টেটরদের কথা। তারাই এসে এটা নিষিদ্ধ করে, সেটা নিষিদ্ধ করে। এসময় তিনি ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, ছাত্রলীগ সবসময় একটি স্বাধীন স্বতন্ত্র সংগঠন ছিল। তবে নীতি-আদর্শের প্রশ্নে মূল দল তো কিছু দিকনির্দেশনা দেবেই। জিয়াউর রহমান আসার পর নষ্ট রাজনীতি শুরু হয়েছে, যেটা শুরু করছিলেন আইয়ুব খান। ছাত্র সংগঠনগুলোকে মূল দলের অঙ্গসংগঠন করা হয়। শেখ হাসিনা বলেন, নেতৃত্ব উঠে এসেছে ছাত্র নেতৃত্ব থেকে। রাজনীতি শিক্ষার ব্যাপার, ট্রেনিংয়ের ব্যাপার। আমি নিজেই ছাত্ররাজনীতি করে এসেছি। দেশের ভালো-মন্দের চিন্তা তখন থেকেই আমার তৈরি হয়েছে। তবে একটা ঘটনার কারণে পুরো ছাত্ররাজনীতিকে দোষারোপ করা ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, এটা তো রাজনীতি নয়। আবরার হত্যাকাণ্ডে রাজনীতি কোথায়, এমন প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর পেছনের কারণ খুঁজে বের করতে হবে।
বাংলাদেশের স্বার্থ শেখ হাসিনা বিক্রি করবে এটি হতে পারে না: আমদানি করা তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ভারতের ত্রিপুরায় রপ্তানির মাধ্যমে দেশের স্বার্থ বিক্রির অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের স্বার্থ শেখ হাসিনা বিক্রি করবে সেটি হতে পারে না। যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এলপিজি রপ্তানি করবে, প্রাকৃতিক গ্যাস নয়। এ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝিরও কোনো অবকাশ নেই। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বিদেশ থেকে এলপিজি এনে প্রক্রিয়াজাত করে ভারতে রপ্তানি করব। এটা প্রাকৃতিক গ্যাস নয়। দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রকৃত মজুদ কত, তা না জেনে রপ্তানি করার কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না বলেও তিনি আশ্বস্থ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এলপিজি বাংলাদেশে উৎপাদিত হয় না, বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। গ্যাস উত্তোলনের সময় বাই প্রডাক্ট হিসেবে এলপিজি পাওয়া যায়। ত্রিপুরায় যে গ্যাসটা দিচ্ছি তা আমদানি করা এলপিজি, বটল গ্যাস। অন্য পণ্য যেমন আমরা রপ্তানি করি, ঠিক তেমন। এটা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কিছু নেই। গ্যাস রপ্তানির মাধ্যমে আমাদের রপ্তানিখাতে আরেকটি মাত্রা যোগ হলো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এর বিরোধিতায় সোচ্চার, মানে বিএনপি, ২০০১ সালের কথা মনে করিয়ে দিতে চাই। আমেরিকা গ্যাস বিক্রির জন্য বলেছিল, আমি বলেছিলাম দেশের চাহিদা মিটিয়ে আমরা তারপর বিক্রি করব। যে কারণে ২০০১ সালে আমরা ক্ষমতায় আসতে পারিনি। আর যারা গ্যাস বিক্রি করে দিচ্ছে বলছে, তারাই গ্যাস দেবে বলে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিমি কার্টারের বাসায় আমরা বসেছিলাম।
তাদের মাঝে চুক্তি হয়েছিল। বিল ক্লিনটন এসেছিলেন, তিনিও আমাকে গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমাকে আমেরিকায় দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যাওয়া হলো। সেখানেও আমি একই কথা বলেছিলাম। আমি তখন বলেছিলাম বিএনপি গ্যাস দিতে পারবে না। কারণ আমাদের অত গ্যাস ছিল না। তারা সার্ভে করার জন্য লোক পাঠাল। বলল, বাংলাদেশ গ্যাসে ভাসছে। যখন ভালো করে তাদের কাছে জানতে চাইলাম তখন তারা সঠিব জবাব দিতে পারেনি। শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালের কথা যারা মনে রাখবেন আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরা আমাদের একটা ঘাঁটি ছিল। সেখান থেকে যুদ্ধ পরিচালনা করা হতো। তারা আমাদের দেশের মানুষদের ওই সময় আশ্রয় দিয়েছে খাবার দিয়েছে। ত্রিপুরা আমাদের শক্তি ছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এলপিজি গ্যাস আমাদের দেশে উৎপন্ন হয় না। আমরা আমদানি করছি। রান্নায় সিলিন্ডারে সরবরাহ করছি। আগে স্বল্প পরিমাণে আমাদের এলপিজি উৎপাদন হতো। আমদানিকৃত গ্যাস গ্রামে বিভিন্ন কোম্পানি সরবরাহ করছে। আগে ১০ কেজির সিলিন্ডার ১৬শ টাকা দাম পড়তো। বাজার উন্মুক্ত করে দেয়ায় এখন ৯শ টাকা। এখন অনুমোদিত ২৬টি কোম্পানি কাজ করছে।
চুক্তিটা হয়েছে খাবার পানির জন্য: ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সঙ্গে ফেনী নদীর পানি বণ্টন চুক্তি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যে চুক্তিটা হয়েছে সেটা তাদের খাবার পানির জন্য। তারা যখন আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে পানি তোলে, সেটার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়ে। তাই নদী থেকে সামান্য পানি দিচ্ছি। কেউ যদি পানি পান করতে চায়, আর আমরা না দেই, সেটা কেমন দেখা যায়? প্রধানমন্ত্রী বলেন, বলেন তো ফেনী নদীর উৎপত্তিস্থল কোথায়? এটা খাগড়াছড়িতে। এটা বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী একটা নদী। এর ৯৪ কিলোমিটার সীমান্তে, ৪০ কিলোমিটার বাংলাদেশের ভেতরে। সীমান্তবর্তী নদীতে দুই দেশেরই অধিকার থাকে। যে চুক্তিটা হয়েছে, সেটা ত্রিপুরাবাসীর খাবার পানির জন্য। তারা যখন আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে পানি তোলে,সেটার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়ে। তাই নদী থেকে সামান্য পানি দিচ্ছি। সব জায়গায় আমরা নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করেছি। যেটুকু পানি নিয়েছে, ততটুকু আমাদের অংশে পড়েছে বলেই চুক্তি করেছি। তাদেরকে দেয়া হচ্ছে মাত্র এক দশমিক ৮২ কিউসেক। অত্যন্ত নগন্য পানি দিচ্ছি। তিস্তা, ধরলা, দুধকুমারসহ উজান থেকে আসা নদীগুলোর পানি বণ্টনের বিষয়ে আলোচনা চলছে বলেও উল্ল্যেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বিএনপিসহ অন্যদের সমালোচনার বিষয়ে বলেন, বিএনপি নেতাদের কাছে আমার প্রশ্ন, জিয়াউর রহমান ও পরে খালেদা জিয়া যখন ভারতে যায় তারা কি গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি করতে পেরেছিল? তারা কী জবাব দিয়েছিল? আমরা ক্ষমতায় আসার পর গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি করার পর শুনতে হয়েছে ২৫ বছরের চুক্তি, দেশ বেচার চুক্তি। এবার হিসাব করে দেখেন কতটা গেছে আর কতটা পেয়েছি।
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেশ চালাই না: কোনো অপরাধ ঘটলে অপরাধীদের ধরতে প্রধানমন্ত্রীকেই কেন নির্দেশনা দিতে হয়? কিংবা ছাত্রলীগের কেউ অপরাধ করলে তাকে বহিষ্কার করতেও কেন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকেই নির্দেশ আসতে হয়? সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি সরকার প্রধান, দেশের কোথাও কিছু ঘটলে অবশ্যই তা দেখার দায়িত্ব আমার আছে। আমি তো ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেশ চালাই না। তিনি বলেন,আমি মনে করি এই রাষ্ট্র, এই দেশ আমার। এই দেশের মানুষ আমার মানুষ। তাদের ভালো-মন্দ দেখার দায়িত্ব তো আমারই। আমি যতক্ষণ পারি, সেই দায়িত্ব পালন করি। এটা নিয়ে এত প্রশ্ন কেন, সেটা আমার বোধগম্য নয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাথা থাকলে মাথা ব্যথা থাকবেই। আমি সরকার প্রধান। ফলে কোথায় কী ঘটছে, সেদিকে সার্বক্ষণিক নজর রাখা আমার কর্তব্য। আমাকে তো এটা কেউ চাপিয়ে দিচ্ছে না। আমি নিজের অনুভূতি থেকেই এটা করি। কখন কে কী বলবে, ওই চিন্তা কখনো করি না। দেশের জন্য ভাবি বলেই সব কাজ করি। তিনি বলেন, এর আগে একজন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, ১২টা পর্যন্ত ঘুমিয়ে রাতে ব্যস্ত হতেন। এগুলো দেখে আপনাদের বদঅভ্যাস হয়ে গেছে। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেশ রাষ্ট্র চালানো দেখেছেন আপনারা, তাই অভ্যাস খারাপ হয়ে গেছে। আমার এটাই মনে হচ্ছে। আমি সবদিকে নজর না রেখে যদি এখন বলতাম পানির কথা ভুলে গেছি, তাহলে নিশ্চয় খুশি হতেন।
ভাসানচরে ক্যাসিনোর জন্য জায়গা ঠিক করে দেয়া হবে: ক্যাসিনো বা জুয়ার জন্য দেশের একটি জায়গা নির্ধারণ করে দেয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক্ষেত্রে তিনি রোহিঙ্গাদের জন্য নির্ধারিত নোয়াখালীর ভাসান চরের এক পাশে একটি জায়গা নির্দিষ্ট করে দেয়ার কথা বলেন। ক্যাসিনো ও জুয়ার জন্য তিনি নীতিমালা তৈরির কথাও এ সময় বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা ক্যাসিনো ও জুয়া খেলে অভ্যস্ত হয়ে গেছে- তাদের কেউ কেউ হয়তো দেশ থেকে ভেগে গেছে। এখানে সেখানে খেলার জায়গা খোঁজাখুঁজি করছে। আমি বলেছি, একটা দ্বীপ মতো জায়গা খুঁজে বের করো, সে দ্বীপে আমরা সব ব্যবস্থা করে দেবো। দরকার হলে ভাসানচর, বিশাল দ্বীপ, এর একপাশে রোহিঙ্গা আরেক পাশে এই ক্যাসিনোর ব্যবস্থা করে দেবো। সবাই ওখানে চলে যাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন,বাস্তবতার নিরীখে বলছি,অভ্যাস যদি বদঅভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়,এই বদভ্যাস যাবে না, বার বার খোঁজাখুঁজি করতে হবে। তাই বার বার খোঁজাখুঁজি না করে একটা জায়গা ঠিক করে দেবো। ভাসানচর খুব বড় জায়গা। অসুবিধা নাই। ১০ লাখ লোকের বসতি দেয়া যাবে। তিনি বলেন, এখন যারা লুকায় চুরায় এটা সেটা করে, তারা সেখানে গিয়ে খেলতে পারবেন। কারা কারা করতে চায় নীতিমালা তৈরি করে লাইসেন্স নিতে হবে। ট্যাক্স দিতে হবে। তারপর সেখানে গিয়ে সবাই মিলে করেন আমাদের কোন সমস্যা নেই। সেই ব্যবস্থা করে দেবো। এতে আমরা ট্যাক্স পাবো তো টাকা পাবো। প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যে সাংবাদিক সারির কয়েকজন হেসে উঠলে তিনি বলেন, আমি বাস্তবতাটাই বলছি। পরে প্রধানমন্ত্রী নিজেও হেসে ফেলেন।
ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নে তথ্যমন্ত্রীকে দায়িত্ব দেয়া হলো: সাংবাদিকদের জন্য সম্প্রতি সরকার ঘোষিত নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের ব্যাপারে সংবাদপত্র মালিকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ওয়েজবোর্ডের ব্যাপারে আমাদের যে দায়িত্ব ছিল সেটা করেছি। এখন সংবাদপত্র মালিকরা না দিলে আমরা কী করব? এটি বাস্তবায়নের ব্যাপারে মালিকদেরই দায়িত্ব পালন করতে হবে। এসময় প্রধানমন্ত্রী ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, এখন এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রীর ব্যবস্থা নেয়া উচিত। আমি তাকেই দায়িত্ব দিলাম।
কে ছাত্রলীগ বা কী জানি না। অপরাধী অপরাধীই, অন্যায়কারীর বিচার হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন,আমি তো বলেছি, ঘটনার সঙ্গে জড়িত কোথায় কে ছিল সব কয়টাকে গ্রেপ্তার করতে। তবে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করার পর সেটা আনতে দেবে না। আমার মনে প্রশ্ন দেখা দিলো, এটা কেন? হত্যাকারীদের কেউ কি এর মধ্যে আছে যে ফুটেজ প্রকাশিত হলে তাদের পরিচয় বের হয়ে যাবে কিনা। পরে তারা ফুটেজ নিয়ে আসলো এবং কর্তৃপক্ষকে একটা কপি দিয়ে আসলো। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আন্দোলন কীসের জন্য। বিচার তো হবেই। যে মা সন্তান হারিয়েছেন, যে বাবা সন্তান হারিয়েছেন তাদের যে কষ্টটা কী সেটা আমি বুঝি। একটা সাধারণ পরিবারের ছেলে, একটা ব্রিলিয়ান্ট ছেলে। তাকে কেন হত্যা করা হলো। তিনি বলেন, ২০০১ সালে আমাদের নেতাকর্মীদের হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মারা হতো এমনভাবে যাতে বাইরে থেকে বোঝা যেত না। বাংলাদেশের ইতিহাসে এ পর্যন্ত কত হত্যা হয়েছে। ছাত্রদল বুয়েটে টেন্ডারবাজি করতে গিয়ে সনিকে হত্যা করেছে। ওই বুয়েটে আমাদের কত নেতাকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আমরা কারও কাছে বিচার পেয়েছি? ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমি চেষ্টা করেছি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের কোনও ঘটনা যাতে না ঘটে। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী লিখিত বক্তব্যে তার দুই সফরের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম প্রধানমন্ত্রীর পাশে ছিলেন।
বুয়েট চাইলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে পারে: এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বুয়েট যদি মনে করে, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে দিতে পারে। এটা তাদের ব্যাপার। তবে ছাত্ররাজনীতি পুরোপুরি বন্ধের বিপক্ষে মত দেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, যেকোনও আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্ররাই মুখ্য ভূমিকা নিয়েছে। তবে ছাত্ররাজনীতি পুরো নিষিদ্ধের কথা তো মিলিটারি ডিক্টেটরদের কথা। তারাই এসে এটা নিষিদ্ধ করে, সেটা নিষিদ্ধ করে। এসময় তিনি ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, ছাত্রলীগ সবসময় একটি স্বাধীন স্বতন্ত্র সংগঠন ছিল। তবে নীতি-আদর্শের প্রশ্নে মূল দল তো কিছু দিকনির্দেশনা দেবেই। জিয়াউর রহমান আসার পর নষ্ট রাজনীতি শুরু হয়েছে, যেটা শুরু করছিলেন আইয়ুব খান। ছাত্র সংগঠনগুলোকে মূল দলের অঙ্গসংগঠন করা হয়। শেখ হাসিনা বলেন, নেতৃত্ব উঠে এসেছে ছাত্র নেতৃত্ব থেকে। রাজনীতি শিক্ষার ব্যাপার, ট্রেনিংয়ের ব্যাপার। আমি নিজেই ছাত্ররাজনীতি করে এসেছি। দেশের ভালো-মন্দের চিন্তা তখন থেকেই আমার তৈরি হয়েছে। তবে একটা ঘটনার কারণে পুরো ছাত্ররাজনীতিকে দোষারোপ করা ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, এটা তো রাজনীতি নয়। আবরার হত্যাকাণ্ডে রাজনীতি কোথায়, এমন প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর পেছনের কারণ খুঁজে বের করতে হবে।
বাংলাদেশের স্বার্থ শেখ হাসিনা বিক্রি করবে এটি হতে পারে না: আমদানি করা তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ভারতের ত্রিপুরায় রপ্তানির মাধ্যমে দেশের স্বার্থ বিক্রির অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের স্বার্থ শেখ হাসিনা বিক্রি করবে সেটি হতে পারে না। যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এলপিজি রপ্তানি করবে, প্রাকৃতিক গ্যাস নয়। এ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝিরও কোনো অবকাশ নেই। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বিদেশ থেকে এলপিজি এনে প্রক্রিয়াজাত করে ভারতে রপ্তানি করব। এটা প্রাকৃতিক গ্যাস নয়। দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রকৃত মজুদ কত, তা না জেনে রপ্তানি করার কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না বলেও তিনি আশ্বস্থ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এলপিজি বাংলাদেশে উৎপাদিত হয় না, বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। গ্যাস উত্তোলনের সময় বাই প্রডাক্ট হিসেবে এলপিজি পাওয়া যায়। ত্রিপুরায় যে গ্যাসটা দিচ্ছি তা আমদানি করা এলপিজি, বটল গ্যাস। অন্য পণ্য যেমন আমরা রপ্তানি করি, ঠিক তেমন। এটা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কিছু নেই। গ্যাস রপ্তানির মাধ্যমে আমাদের রপ্তানিখাতে আরেকটি মাত্রা যোগ হলো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এর বিরোধিতায় সোচ্চার, মানে বিএনপি, ২০০১ সালের কথা মনে করিয়ে দিতে চাই। আমেরিকা গ্যাস বিক্রির জন্য বলেছিল, আমি বলেছিলাম দেশের চাহিদা মিটিয়ে আমরা তারপর বিক্রি করব। যে কারণে ২০০১ সালে আমরা ক্ষমতায় আসতে পারিনি। আর যারা গ্যাস বিক্রি করে দিচ্ছে বলছে, তারাই গ্যাস দেবে বলে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিমি কার্টারের বাসায় আমরা বসেছিলাম।
তাদের মাঝে চুক্তি হয়েছিল। বিল ক্লিনটন এসেছিলেন, তিনিও আমাকে গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমাকে আমেরিকায় দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যাওয়া হলো। সেখানেও আমি একই কথা বলেছিলাম। আমি তখন বলেছিলাম বিএনপি গ্যাস দিতে পারবে না। কারণ আমাদের অত গ্যাস ছিল না। তারা সার্ভে করার জন্য লোক পাঠাল। বলল, বাংলাদেশ গ্যাসে ভাসছে। যখন ভালো করে তাদের কাছে জানতে চাইলাম তখন তারা সঠিব জবাব দিতে পারেনি। শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালের কথা যারা মনে রাখবেন আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরা আমাদের একটা ঘাঁটি ছিল। সেখান থেকে যুদ্ধ পরিচালনা করা হতো। তারা আমাদের দেশের মানুষদের ওই সময় আশ্রয় দিয়েছে খাবার দিয়েছে। ত্রিপুরা আমাদের শক্তি ছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এলপিজি গ্যাস আমাদের দেশে উৎপন্ন হয় না। আমরা আমদানি করছি। রান্নায় সিলিন্ডারে সরবরাহ করছি। আগে স্বল্প পরিমাণে আমাদের এলপিজি উৎপাদন হতো। আমদানিকৃত গ্যাস গ্রামে বিভিন্ন কোম্পানি সরবরাহ করছে। আগে ১০ কেজির সিলিন্ডার ১৬শ টাকা দাম পড়তো। বাজার উন্মুক্ত করে দেয়ায় এখন ৯শ টাকা। এখন অনুমোদিত ২৬টি কোম্পানি কাজ করছে।
চুক্তিটা হয়েছে খাবার পানির জন্য: ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সঙ্গে ফেনী নদীর পানি বণ্টন চুক্তি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যে চুক্তিটা হয়েছে সেটা তাদের খাবার পানির জন্য। তারা যখন আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে পানি তোলে, সেটার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়ে। তাই নদী থেকে সামান্য পানি দিচ্ছি। কেউ যদি পানি পান করতে চায়, আর আমরা না দেই, সেটা কেমন দেখা যায়? প্রধানমন্ত্রী বলেন, বলেন তো ফেনী নদীর উৎপত্তিস্থল কোথায়? এটা খাগড়াছড়িতে। এটা বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী একটা নদী। এর ৯৪ কিলোমিটার সীমান্তে, ৪০ কিলোমিটার বাংলাদেশের ভেতরে। সীমান্তবর্তী নদীতে দুই দেশেরই অধিকার থাকে। যে চুক্তিটা হয়েছে, সেটা ত্রিপুরাবাসীর খাবার পানির জন্য। তারা যখন আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে পানি তোলে,সেটার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়ে। তাই নদী থেকে সামান্য পানি দিচ্ছি। সব জায়গায় আমরা নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করেছি। যেটুকু পানি নিয়েছে, ততটুকু আমাদের অংশে পড়েছে বলেই চুক্তি করেছি। তাদেরকে দেয়া হচ্ছে মাত্র এক দশমিক ৮২ কিউসেক। অত্যন্ত নগন্য পানি দিচ্ছি। তিস্তা, ধরলা, দুধকুমারসহ উজান থেকে আসা নদীগুলোর পানি বণ্টনের বিষয়ে আলোচনা চলছে বলেও উল্ল্যেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বিএনপিসহ অন্যদের সমালোচনার বিষয়ে বলেন, বিএনপি নেতাদের কাছে আমার প্রশ্ন, জিয়াউর রহমান ও পরে খালেদা জিয়া যখন ভারতে যায় তারা কি গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি করতে পেরেছিল? তারা কী জবাব দিয়েছিল? আমরা ক্ষমতায় আসার পর গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি করার পর শুনতে হয়েছে ২৫ বছরের চুক্তি, দেশ বেচার চুক্তি। এবার হিসাব করে দেখেন কতটা গেছে আর কতটা পেয়েছি।
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেশ চালাই না: কোনো অপরাধ ঘটলে অপরাধীদের ধরতে প্রধানমন্ত্রীকেই কেন নির্দেশনা দিতে হয়? কিংবা ছাত্রলীগের কেউ অপরাধ করলে তাকে বহিষ্কার করতেও কেন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকেই নির্দেশ আসতে হয়? সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি সরকার প্রধান, দেশের কোথাও কিছু ঘটলে অবশ্যই তা দেখার দায়িত্ব আমার আছে। আমি তো ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেশ চালাই না। তিনি বলেন,আমি মনে করি এই রাষ্ট্র, এই দেশ আমার। এই দেশের মানুষ আমার মানুষ। তাদের ভালো-মন্দ দেখার দায়িত্ব তো আমারই। আমি যতক্ষণ পারি, সেই দায়িত্ব পালন করি। এটা নিয়ে এত প্রশ্ন কেন, সেটা আমার বোধগম্য নয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাথা থাকলে মাথা ব্যথা থাকবেই। আমি সরকার প্রধান। ফলে কোথায় কী ঘটছে, সেদিকে সার্বক্ষণিক নজর রাখা আমার কর্তব্য। আমাকে তো এটা কেউ চাপিয়ে দিচ্ছে না। আমি নিজের অনুভূতি থেকেই এটা করি। কখন কে কী বলবে, ওই চিন্তা কখনো করি না। দেশের জন্য ভাবি বলেই সব কাজ করি। তিনি বলেন, এর আগে একজন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, ১২টা পর্যন্ত ঘুমিয়ে রাতে ব্যস্ত হতেন। এগুলো দেখে আপনাদের বদঅভ্যাস হয়ে গেছে। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেশ রাষ্ট্র চালানো দেখেছেন আপনারা, তাই অভ্যাস খারাপ হয়ে গেছে। আমার এটাই মনে হচ্ছে। আমি সবদিকে নজর না রেখে যদি এখন বলতাম পানির কথা ভুলে গেছি, তাহলে নিশ্চয় খুশি হতেন।
ভাসানচরে ক্যাসিনোর জন্য জায়গা ঠিক করে দেয়া হবে: ক্যাসিনো বা জুয়ার জন্য দেশের একটি জায়গা নির্ধারণ করে দেয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক্ষেত্রে তিনি রোহিঙ্গাদের জন্য নির্ধারিত নোয়াখালীর ভাসান চরের এক পাশে একটি জায়গা নির্দিষ্ট করে দেয়ার কথা বলেন। ক্যাসিনো ও জুয়ার জন্য তিনি নীতিমালা তৈরির কথাও এ সময় বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা ক্যাসিনো ও জুয়া খেলে অভ্যস্ত হয়ে গেছে- তাদের কেউ কেউ হয়তো দেশ থেকে ভেগে গেছে। এখানে সেখানে খেলার জায়গা খোঁজাখুঁজি করছে। আমি বলেছি, একটা দ্বীপ মতো জায়গা খুঁজে বের করো, সে দ্বীপে আমরা সব ব্যবস্থা করে দেবো। দরকার হলে ভাসানচর, বিশাল দ্বীপ, এর একপাশে রোহিঙ্গা আরেক পাশে এই ক্যাসিনোর ব্যবস্থা করে দেবো। সবাই ওখানে চলে যাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন,বাস্তবতার নিরীখে বলছি,অভ্যাস যদি বদঅভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়,এই বদভ্যাস যাবে না, বার বার খোঁজাখুঁজি করতে হবে। তাই বার বার খোঁজাখুঁজি না করে একটা জায়গা ঠিক করে দেবো। ভাসানচর খুব বড় জায়গা। অসুবিধা নাই। ১০ লাখ লোকের বসতি দেয়া যাবে। তিনি বলেন, এখন যারা লুকায় চুরায় এটা সেটা করে, তারা সেখানে গিয়ে খেলতে পারবেন। কারা কারা করতে চায় নীতিমালা তৈরি করে লাইসেন্স নিতে হবে। ট্যাক্স দিতে হবে। তারপর সেখানে গিয়ে সবাই মিলে করেন আমাদের কোন সমস্যা নেই। সেই ব্যবস্থা করে দেবো। এতে আমরা ট্যাক্স পাবো তো টাকা পাবো। প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যে সাংবাদিক সারির কয়েকজন হেসে উঠলে তিনি বলেন, আমি বাস্তবতাটাই বলছি। পরে প্রধানমন্ত্রী নিজেও হেসে ফেলেন।
ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নে তথ্যমন্ত্রীকে দায়িত্ব দেয়া হলো: সাংবাদিকদের জন্য সম্প্রতি সরকার ঘোষিত নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের ব্যাপারে সংবাদপত্র মালিকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ওয়েজবোর্ডের ব্যাপারে আমাদের যে দায়িত্ব ছিল সেটা করেছি। এখন সংবাদপত্র মালিকরা না দিলে আমরা কী করব? এটি বাস্তবায়নের ব্যাপারে মালিকদেরই দায়িত্ব পালন করতে হবে। এসময় প্রধানমন্ত্রী ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, এখন এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রীর ব্যবস্থা নেয়া উচিত। আমি তাকেই দায়িত্ব দিলাম।