সিলেটে ছাত্রলীগ কর্মী শিহাব হত্যার বিচার হয়নি ৮ বছরেও
সিলেট:: সিলেটের মদন মোহন কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী আল মামুন শিহাব হত্যার ৮ বছর পেরিয়ে গেছে। তবে এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার বিচার শেষ হয়নি দীর্ঘ ৮ বছরেও। জানা গেছে, ২০১১ সালের ১৮ অক্টোবর তৎকালীন মদন মোহন কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী আল মামুন শিহাবকে নগরীর জিন্দাবাজারে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার পেছনে ছাত্রদলের কতিপয় নেতাকর্মী জড়িত বলে তখন অভিযোগ ওঠে। শিহাব হত্যার ঘটনায় তার বন্ধু ও সিলেট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ছাত্রলীগের তৎকালীন সহসভাপতি শরীফুল ইসলাম রনি বাদী হয়ে নগরীর কোতোয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে ২৭ জনের নামোল্লেখ করা হয়। এজাহারে যাদেরকে আসামী করা হয় তারা হলেন- তৎকালীন ছাত্রদল নেতা মুবিনুল হক চৌধুরী রাহী, আহমদ চৌধুরী ফয়েজ, আসাদুজ্জামান বাবলু, চপল দাশ, মাধব, জামিল, খিজির আহমদ এনু, শামসুল ইসলাম ওরফে ইয়াবা শামসু, প্রাণেশ, রাজু মিয়া ওরফে লম্বা রাজু, ইকবাল আহমদ মাসুম ওরফে কালা মাসুম, মান্না দে, অর্জুন ঘোষ, লাভলু, মুমিনুর রহমান তামিম, নাছিম আহমদ, লিপু গণি, লাহিন আহমদ, জসিম উদ্দিন, শাহীনুর রহমান সুজান, জাকির হোসেন সায়মন, ফয়সল, ডেনি, প্রিন্স, বিপুল, অজয় ও রুহেল আহমদ। হত্যাকা-ের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে নগরীর রায়নগরের মৃত ইউনুস মিয়ার ছেলে জমির উদ্দিন, শাহী ঈদগাহের মৃত তাহির মিয়ার ছেলে মিনহাজ উদ্দিন মাহান, একই এলাকার আনাক মিয়ার ছেলে সাবিবর আহমদ রাসেল, রায়নগরের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে শাহীনুর রহমান সুজন ও বারুতখানার সিরাজুল ইসলামের ছেলে জাকির হোসেন সায়মনকে আটক করেছিল।
জানা গেছে, শিহাব হত্যা মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন আছে। মামলার কয়েকজন আসামি দেশ ছেড়ে চলে গেছেন বলেও জানা গেছে। আসামিদের কয়েকজন কিছুদিন কারাভোগ করে জামিনে বেরিয়ে আসেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে নগরীর কোতোয়ালী থানার ওসি মো. সেলিম মিঞাকে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সজল দাস অনিক সিলেটভিউকে জানান, ২০১১ সালে নগরীর দাড়িয়াপাড়ায় বাবা আবু জাহের ও মা মনোয়ারা বেগমসহ পরিবারের অন্যদের সাথে থাকতেন আল মামুন শিহাব। তবে বছর কয়েক আগে শিহাবের পরিবার গ্রামের বাড়িতে ফিরে গেছে