প্রেমের ফাঁদে ফেলে মুক্তিপণ আদায়ই ওদের পেশা
খুলনা :: খুলনায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক ব্যক্তিকে জিম্মি করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করায় চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময়ে ?ওই চক্রের দুই সদস্য পালিয়ে গেছে। গত বুধবার রাত ১০টার দিকে মহানগরীর লবণচরার থানাধীন মোহাম্মদীয়াপাড়ার আমতলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময়ে ওই অপহরণের শিকার এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। অপহৃত ইয়ামিন শেখ (২৮) বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার শ্রীফলতলা এলাকার মো. মতি শেখের ছেলে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মো. মঞ্জু শেখ (৫০) লবণচরার আমতলা এলাকার নওয়াব আলীর ছেলে, মো. রুহুল আমিন গাজী (৪৫) লবণচরার মোহাম্মদীয়াপাড়া বাজার এলাকার সুলতান গাজীর ছেলে, আছিয়া বেগম (৩২) সাতক্ষীরা আটুলিয়া গ্রামের আবদুল আজিজের স্ত্রী নাজমিন (২২) ও লবণচরার সামসু মাতুব্বরের মিল এলাকার মোক্তার হোসেনের স্ত্রী। এ সময় মো. মোশারফ হোসেন (৬০) ও মো. লিটন পালিয়ে গেছে। তারা লবণচরার মোহাম্মাদীয়া বাজার এলাকার বাসিন্দা। লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বায়েজীদ আকন জানান, এক মাস আগে অপহৃত ইয়ামিনের সঙ্গে অপহরণকারী নাজমিনের পরিচয় হয়। এরপর তারা নাজমিনকে দিয়ে প্রেমের ফাঁদ পেতে ইয়ামিনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করে।পরে ১৬ই অক্টোবর ইয়ামিনকে বাগেরহাট রামপাল থেকে ফুসলিয়ে মোহাম্মদীয়াপাড়ায় নিয়ে আসে। এরপর তারা আমতলা মহিলা মাদ্রাসার একটি পরিত্যক্ত রুমে নিয়ে হাত বেঁধে মারধর করে ইয়ামিনের কাছে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ পরিশোধের জন্য ইয়ামিনের আত্মীয়ের নিকট একটি বিকাশ নম্বর প্রদান করে। খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। একই সঙ্গে চার অপহরণকারীকেও গ্রেপ্তার করতে পেরেছে। এ সময় ওই চক্রে মোশারফ ও লিটন পালিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা একটি পেশাদার অপহণকারী চক্র। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ নারী দিয়ে বিভিন্ন লোককে ফাঁসিয়ে আটক করে মুক্তিপণ আদায় করে আসছে। এ ঘটনায় লবণচরা থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানান ওসি।