ইসলাম গ্রহণ করে বধূবেশে ইতালির তরুণী লক্ষ্মীপুরে
বার্তা ডেস্ক :: কথায় আছে, ‘প্রেম মানে না কোনো ধর্ম, বর্ণ বা দেশ।’সে কথা আবারো প্রমাণিত হল। শুধু তাই নয়, বর্তমান বিশ্ব কাঁপছে করোনাভাইরাস আতঙ্কে। সেই আতঙ্ককেও উপেক্ষা করে বাংলাদেশি যুবকের প্রেমের টানে এক তরুণী ঘর বাঁধতে সুদূর ইতালি ছেড়ে চলে এসেছেন লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে। বৃহস্পতিবার রাতে মো. ইকবাল হোসেনের প্রেমের টানে ইতালি থেকে ছুটে এসেছেন এই তরুণী। সুখের সংসার গড়তে বিয়েও করেছেন দুইজন। প্রবাসী তরুণী ইসলাম ধর্মগ্রহণ করে নাম পাল্টে হয়েছেন খাদিজা আক্তার। ইকবাল উপজেলার সোনাপুর ইউপির পশ্চিম সোনাপুর গ্রামের ওসমান আলী পাটোয়ারী বাড়ির আক্তার হোসেনের ছেলে। এ সংবাদ শুনে শুক্রবার সকাল থেকে তাদের দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন বহু মানুষ। ইকবাল ও তার পরিবারের লোকজন জানান, প্রায় ছয় বছর আগে ইকবাল ইতালিতে গিয়ে প্রবাসী ওই তরুণীদের একটি কোম্পানিতে চাকরির সুবাদে খাদিজার সঙ্গে পরিচয় ও প্রেম হয় তার। এরপর প্রায় দুই বছর ধরে ইকবাল বাংলাদেশে চলে আসনে। পরে প্রবাসী ওই তরুণী ইকবালের ফোনে ও ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে আসছে। কিন্তু কাগজপত্রের কিছু সমস্যার কারণে ইকবাল ফের ইতালিতে যেতে পারছে না। তাই গত বৃহস্পতিবার রাতে খাদিজা লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে তাদের গ্রামের বাড়িতে আসলে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক তারা দুজন বিয়ে করে। ভাষাগত কিছু সমস্যা থাকলেও বাঙালি নারীর মতোই স্বাভাবিকভাবে সব কাজ করছেন খাদিজা। পরছেন বাঙালি পোশাকও।
শ্বশুরবাড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন খাদিজা। ইকবালের সঙ্গে প্রেম, বিয়ে, বাংলাদেশ সম্পর্কে জানান অনুভূতি। তার ভাষায়, বাংলাদেশর সংস্কৃতি ও পরিবেশ আমার অনেক ভালো লেগেছে। ইকবালকে অনেক ভালোবাসি। তার জন্যই বাংলাদেশে আসা। আমরা দুজন শুক্রবার হানিমুনের জন্য কক্সবাজার ও মালয়েশিয়া যাব। আপনারা সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। ছেলে-পুত্রবধূর জন্য দোয়া চাইলেন ইকবালের বাবা আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, ছেলের বউ দেখে আমরা আনন্দিত। ছেলে-পুত্রবধূর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি। সোনাপুর ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আক্তার বলেন, প্রেমের টানে ইতালির তরুণী রায়পুরে আসে। উভয়ের সম্মতিতে তারা বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। বৃহস্পতিবার রাতেই ছেলের বাবা-মা বউকে বরণ করে নিয়েছেন। সৌজন্যে : যুগান্তর