তাহিরপুরে বাঁধের কাজ না করে টাকা আত্মসাত
তাহিরপুর :: তাহিরপুরে এক ইউপি ওয়ার্ড সদস্যর বিরোদ্ধে আফর বাঁধের কাজ না করে অনিয়ম দূর্নীতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ৪ই মে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের লেদারবন্ধ গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে কৃষক আফছর উদ্দিন। জানা যায়, উপজেলার দক্ষিন বড়দল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল মন্নাফ ওরফে মনা মেম্বার লেদারবন্ধ কুড়ি নামক একটি আফর বাঁধ প্রকল্পের নিজে সভাপতি হয়ে মাটি বাঁধ নির্মাণ করার কথা বলে কাজ নেন। এই আফর বাঁধ নির্মানের ব্যয় ধরা হয় ৪০ দিনের কর্মসূচীর আওতায় ২ লাখ ৭২ হাজার টাকা। কিন্তু বাঁধ নির্মাণের ব্যায় ২ লাখ ৭২ হাজার টাকা ধরা হলেও ব্যক্তিগত শ্রমিক দিয়ে নামমাত্র আফর বাঁধ নির্মানের কাজ করে অনিয়ম দূর্নীতির মাধ্যমে ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা আত্মসাত করেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের ছোট বড় কয়েকটি হাওরের ফসল রক্ষার জন্য পাহাড়ি ঢলে যাতে ফসল অকাল বন্যায় তলিয়ে না যায় সে জন্য ৪০ দিনের কর্মসূচীর আওতায় ২ লাখ ৭২ হাজার টাকায় এ কুড়ি আফর বাঁধটির ব্যয় ধরে তিনি বাধঁ নির্মানের কাজ নেন। কিন্তু ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল মন্নাফ ওরফে মনা মেম্বার ৪০ দিনের কর্মসূচীর শ্রমিক দিয়ে বাধেঁর কাজ না করে তার ব্যক্তিগত শ্রমিক দিয়ে তড়িঘড়ি করে নামমাত্র বাঁধের কাজ করান। ফলে অল্প বৃষ্টিতেই আফর বাঁধটি ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, যদি হঠাৎ পাহাড়ী ঢল বা নদীতে পানি বৃদ্ধি পায় তাহলে এখনও যাদের ধান পাকেনি তারা ফসল ঘরে তুলতে পারবেন না। তারা জানান, মেম্বার সরকারী নিয়মনীতি তোয়াক্ষা না করে নিজের খেয়াল খুশিমতো বাঁধের নাম মাত্র কাজ করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বড়দল দক্ষিন ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আফছর উদ্দিন জানান, লেদারবন্ধ কুড়ি আফর বাঁধটি ৪০ দিনের কর্মসচী হলেও ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল মন্নাফ তিনি ব্যক্তিগত শ্রমিক দিয়ে বাঁধে নামমাত্র মাটি দিয়ে ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা আত্মসাত করেছেন। তিনি বলেন, মন্নাফ মেম্বার একের পর এক অনিয়ম, দুর্নীতি, আত্মীয়করণ, স্বাজপ্রীতি, সরকারী ত্রাণ ও টাকা আত্মসাত করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, তার এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে মামলা হামলার স্বীকার হতে হয়।দক্ষিন বড়দল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল মন্নাফ এর (০১৭৫৬৯৬৩৫৫৮) মোবাইল নাম্বারে কয়েকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানার্জি বলেন, অভিযোগটি এখনও পায়নি। তার বিরুদ্ধে এর পূর্বে আরো অনেকে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগগুলো দেখে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।