মনজুর রশীদ-আজ থেকে তিন সপ্তাহ আগে সকালে ছোট বোন রীতার ফোনে জানলাম হঠাৎ করেই গত রাত থেকে আমাদের বড় ভাই নাট্য ব্যক্তিত্ব ও বিটিভির মহাপরিচালক এস এম হারুন অর রশীদ জ্বরে আক্রান্ত। শুনে ফোন দিলাম ভাইকে। খুব একটা পাত্তা না দিয়ে তিনি বললেন সিজনাল ফ্লু, ঠিক হয়ে যাবে। তারপরও বললাম এসময়ে জ্বর হওয়া ভালো নয়, সাবধানে থাকবেন। এরপর সারাদিন ধরেই আমরা সব ভাইবোনেরা তার খোজখবর রাখতে শুরু করলাম। কিন্তু জ্বর কোনোভাবেই ১০২ থেকে ১০৩ ডিগ্রীর নীচে নামছেনা। ভাবী ও ভাতিজি নিশা (ডিবিসি টিভি চ্যানেলের রিপোর্টার ও উপস্থাপক নিকিতা নন্দিনী, ওর ডাক নাম নিশা) ভাই এর প্রয়োজনীয় যত্ন নিচ্ছে, ডাক্তারের পরামর্শে ঔষধ খাওয়াচ্ছে। কিন্তু তিনদিন পার হলেও জ্বর তো কমছে্ই না, উপরন্তু সাথে খুসখুসে কাশি যুক্ত হয়েছে জেনে খটকা লাগা শুরু হলো।
চতুর্থ দিন সকালে নিশাকে ফোন দিয়ে ওর বাবার অবস্থা জানতে গিয়ে আবার ধাক্কা খেলাম। গত রাত থেকে ওর মা’রও নাকি প্রচন্ড জ্বর শুরু হয়েছে! দুজনেরই জ্বরের মাত্রা ১০২ থেকে ১০৩ ডিগ্রীর মধ্যে স্থির হয়ে আছে। জ্বরের সাথে সাথে তাদেরকে খুব বেশী ভোগাচ্ছে অবিরাম শুকনো কাশি ও কিছুটা শরীর ব্যথা। ঔষধের পাশাপাশি লেবুর রস মিশ্রিত হালকা গরম পানি বারবার পান , প্রচলিত টোটকা অনুসরণ করে আদা, লেবু, গুল মরিচ, দারুচিনি, লবঙ্গ ইত্যাদি মিশ্রিত কুসুম কুসুম গরম পানিতে বেশ ক’বার গরগরিয়ে গার্গেল করা, একই উপাদানসমৃদ্ধ গরম পানির পাত্রের ওপর মাথা নীচু করে টাওয়েল দিয়ে ঢেকে একাধিকবার বাষ্প টেনে নেয়া, আর খানিকক্ষণ পরপর লাল চা পান করা সেই শুরু থেকেই তারা চালিয়ে যাচ্ছে, এমনকি নিশা নিজেও। ভাতিজিকে বললাম – আমরা সবাই খুব খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। নিজের প্রতি যত্ন নিবি মা, আর যেহেতু অফিস থেকে ছুটি নিয়ে লকডাউনে আছিস, বাবা-মাকে প্রয়োজনীয় সেবা করার সুযোগ মিস করিসনা। ও ওর স্বভাবসুলভ হাসি দিয়ে আত্মবিশ্বাসের সূরে বললো চিন্তা করোনা চাচু, আমিতো আছি সব ঠিক হয়ে যাবে। ওর সাথে কথা বলেও মনের ভেতর খচখচানি রয়ে গেলো! তাই প্রথমে ভাবী ও পরে ভাইকে কয়েকবার ফোন দিলাম। কিন্তু কেউই ফোন রিসিভ করছেনা। সম্ভবত দুজনেই জ্বরাগ্রস্ত শরীর নিয়ে ঘুমাচ্ছিলো। খানিকবাদে ভাই অবশ্য কলব্যাক করলেন। কিন্তু কন্ঠে মারাত্মক দূর্বলতার ছাপ স্পষ্ট l ভাইকে অনুরোধ করলাম সময়টা যেহেতু ভালো না, আপনারা টেস্টটা করে ফেলুন। যদি অনুমতি দেন তবে আমি আমার পরিচিত ডাক্তারদের সহযোগিতা নিয়ে আপনাদের সোয়াপ পরীক্ষার চেষ্টা করতে চাই। তিনি বললেন কিছুই করতে হবেনা, এরমধ্যেই বলা হয়ে গেছে। আজ রাতেই আইইডিসিআর থেকে লোকজন এসে সোয়াপ নিয়ে যাবে। নিশাকে বললাম তুইও এতোদিন ধরে সারা শহর ঘুরে ঘুরে টিভিতে করোনার নিউজ করেছিস, পথেঘাটে মানুষের ইন্টারভিউ নিয়েছিস, এই অবস্থায় তোর টেস্টটাও করে নিস! কিন্তু জ্বর না থাকায় সেদিন রাতে বাবা-মা’র সাথে টেষ্টের জন্য ওর সোয়াপ নেয়নি বাসায় আসা প্যাথোলোজিষ্টরা।

এদিকে, ভাই-ভাবীর এই অবস্থার কথা শুনে আমাদের ভাইবোনের সবার পরিবারে বিষাদের কান্না শুরু হয়ে গেলো। সবাই শুধু শুনেছে আজ রাতে টেস্টের জন্য লোক আসবে, তাতেই সবার পেরেশানি বেড়ে গেলো। সব বোনদের কান্না আর আমাদের ছেলেমেয়েদের মনে যেনো দুনিয়ার সব কালোমেঘ এসে ভর করলো। আমি উদ্যোগ নিলাম লকডাউনের এ সময়ে টেস্টের ফলাফল জানার আগে কেউ যেন ওদের বাসায় না যায়। ভাইও লকডাউনের পর থেকে সবাইকে যার যার বাসায় অবস্থানের কথা বলেছেন। এ সময়ে করণীয় নিয়ে ভাইবোন, ভগ্নিপতি ও বৌদের নিয়ে ভিডিও কলে চললো পরামর্শ সভা। কিভাবে আমাদের পরিবারের সবাই মিলে তাদের মনোবল ও শক্তি বাড়াতে সহায়তা করতে পারি। এতোকাল তারা যে কাজটি করেছে, এবার সবাই মিলে আমরা তা করার চেষ্টা করবো বলে অঙ্গীকার করলাম। আমার মেজো ভাই পুুুুলিশ কর্মকর্তা বজলুর রশীদ লিটন, মেজো ভাবী, আমার স্ত্রী, ভগ্নিপতিগণ, বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য অধ্যয়নরত প্রকৌশলী ভাতিজি ও ওর জামাই এবং আমাদের ছেলেমেয়েরা সিদ্ধান্ত নিলো সম্মিলিতভাবে পবিত্র কোরআন শরীফ খতম দেয়ার। ভাগ্নি নকশী সবার মতামত নিয়ে পবিত্র কোরআনের কে কোন পারা পড়বে তার একটি তালিকা তৈরি করে সবার সাথে শেয়ার করলো। আমি একটি খাবার সরবরাহের তালিকা প্রণয়ন করলাম। প্রত্যেকে দুদিন মাথায় রেখে খাবার তৈরি করে পর্যায়ক্রমে তা ওদের বাসায় গিয়ে পৌঁছে দেবে। তার আগে ফোনে জেনে নেবে খাওয়া বাদে আর কিছু লাগবে কিনা সে মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার। এই রুটিন ভালো কাজ দিয়েছে। যদিও ভাই-ভাবীর সহকর্মী ও বন্ধুদের আন্তরিকভাবে তৈরি করে নিয়ে আসা খাবারের জন্য আমাদের রুটিন অনুযায়ী খাদ্য সরবরাহে কিছুটা এদিকওদিক হয়েছে।

পরেরদিন সন্ধ্যায় জানা গেলো টেস্টের ফলাফল। সারাদিন সবাই কোরআন পাঠ করেছে, নামাজ-রোজা আদায় করেছে আর প্রার্থনা করেছে ইতিবাচক কিছু শোনার আশায়। কিন্তু বাস্তবতাকে অস্বীকার করারতো কোন উপায় নেই। দু’জনের ফলাফলই পজিটিভ এসেছে। অর্থাৎ এতোকাল শুধু শুনতাম অমুক তমুক পরিবারের সদস্য করোনায় আক্রান্ত, এখন তা ক্রমশ সংকুচিত হয়ে আমাদের পরিবারে ঢুকে পড়েছে। এ সংবাদ শুনে পারিবারিক গ্রুপে আবার ভিডিও কল দিলাম। ভাতিজিকে আর কি সান্ত্বনা দেবো, সেই-ই উল্টো সবাইকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করলো – এসব ভাইরাস-টাইরাস নিয়ে ভেবোনা, এতোদিন ধরে অসুস্থ হয়েছে কতোজন, আর মারা গেছে কতোজন জানো কিছু? বাপাই-মামনি যেসব নিয়মকানুন শুরু থেকেই পালন করছে, তাতে দেখো ওদের কিছুই হবেনা। আর আমিতো বাসায় আছিই। তোমরা কেউ চিম্তা করবেনা, দেখবে শিগগীরই ওরা ঠিক হয়ে যাবে। যাই হোক মনখারাপ নিয়ে রাত পেরুতেই সকালে জানা গেলো নিশাও জ্বরে আক্রান্ত। তারচেয়েও বেশী কাহিল হয়েছে মারাত্মক শরীর ব্যথায়। সবার মতো ওরও খাবারে অরুচি এবং খুসখুস কাশি শুরু হয়েছে। ভাইকে ফোন দিলাম। প্রচন্ড দূর্বল, কাশতে কাশতে গলা থেকে কথা বের হতেই চাইছেনা। নিশার টেস্টের কথা বলতেই জানালো আইইডিসিআরের লোকজন রাতে আসবে। একটি পরিবারের সবাই অসুস্থ, পরিস্থিতির কারণে বাসায় কোন গৃহকর্মীও নেই অনেকদিন ধরেই। আমাদেরও এসময় যাওয়ায় কোন উপায় নেই – সবমিলিয়ে খুব বেদনাদায়ক একটি পরিস্থিতির মধ্যে ওরা আমরা সবাই।

পরেরদিন যথারীতি নিশার ফলাফল জানা গেলো। পজিটিভ হবে আমার আগেই মনে হয়েছিলো। একই বাসার বাবা, মা ও একমাত্র মেয়ে তিনজনই এখন অফিসিয়ালি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগী। পরিবারের সবাই মিলে এরইমধ্যে কোরআন খতম সম্পন্ন করেছে। আবার আরেকবার খতমের কাজ শুরু করেছে আম্মার তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীর কথা মনে করে এবং একইসাথে ভাই-ভাবীদের পরিবারের সুস্থতার জন্যও। প্রচন্ড অসুস্থতা সত্বেও বড় ভাই সবার সাথে বেছে নিলো পবিত্র কোরআন শরীফের কয়েকটি পারা পাঠের। অবশেষে গত ৬ মে আম্মার তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীর দিনেই আবার সম্পন্ন হলো কোরআন খতম। সন্ধ্যায় ইফতারির আগে আমাদের পরিবারের সকল সদস্য যার যার বাসা থেকে অনলাইনে যুক্ত হলো দোয়া মাহফিল আর সবার জন্য প্রার্থনা সভায়। মৌলানা সাহেব ঠিক করা ও সবাইকে একসাথে যুক্ত করার জন্য ছোট ভগ্নিপতি নাঈম সেদিন প্রধান দায়িত্ব পালন করে।

ভাইদের বাসায় ভাইবোনের পালাক্রমে খাদ্য সরবরাহ চলছে। বিভিন্নজনের দেয়া খাবারগুলোর ছবি উঠিয়ে আমাদের পরিবার গ্রুপে নিশার প্রতিনিয়ত শেয়ার করা ও তা নিয়ে সবার মজা করা, শিক্ষনীয় ও মজাদার রসাত্মক পোস্টসমূহ এখানে শেয়ার করা, প্রতিদিন দুপুর ও রাতে মেসেঞ্জারে পরিবারের সবাই মিলে গ্রুপে ভিডিও আড্ডা দেয়া, এমনকি পোলাপানদের গানবাজনা করা – এভাবেই আমরা পার করেছি এতোগুলো দিন। অসুস্থতা নিয়েও যে কতো রকমের রসিকতা করা যায়, তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো নিশা। একেক ধরনের যন্ত্রণাকে একেক উপমায় বর্ণনা করতো আর তা শুনে সবাই হেসে গড়িয়ে পড়তো। নিজে অসুস্থ হয়েও আমাদের বড় ভাবী তার স্বামী ও কন্যাকে এসময় যে সেবা দিয়েছেন তা কেবল তারপক্ষেই সম্ভব। মাঝে ভাই খুব বেশী অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা খুব চিন্তিত হয়ে পড়ি। হাসপাতালে ভর্তির জন্য চেষ্টা তদবীর করেও লাভ হয়নি। বাসায় থেকে সুস্থ হওয়ার ব্যাপারে এ অবস্থাতেও তার মনোবল ছিলো অত্যন্ত প্রবল।

এতো ধকলের পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠার পর গতকাল ১৭ মে মধ্য রাতের প্রথম ফলাফলে যখন জানতে পারলাম তাদের প্রত্যেকের কোভিড-১৯ এর ফলাফল নেগেটিভ এসেছে, আমি নিশ্চিত আমার মতো আমার সকল ভাইবোনের চোখ থেকে তখন অশ্রু গড়িয়েছে। কিছুক্ষণ আগে যখন দ্বিতীয় টেস্টেও একই ফলাফল এসেছে শুনলাম – আমাদের পরিবারের জন্য এরচেয়ে বড় ঈদ আনন্দ উপহার আর কিছুইতো হতে পারেনা! করোনাকে পরাজিত করে ওরা বীরযোদ্ধা হিসাবে বিজয়ী হয়ে ফিরে এসেছে। অভিনন্দন ওদের তিনজনকেই এবং একইসাথে অন্যান্য সবাইকে যারা লড়াই শেষে এভাবে বিজয়ী হয়ে ফিরে এসেছে। সেইসাথে প্রার্থনা করি এখনো যারা করোনার মতো একটি অজানা ভয়ংকর ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছে, সবাই যেনো বিজয়ী হয়ে ফিরে আসতে পারে। আর যারা পারেনি, তাদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।

খারাপভাবে অসুস্থ হলে তখন সত্যিকারের শুভাকাঙ্ক্ষী চেনা যায়। আমাদের বড় ভাই এর পরিবারের অসুস্থতার পর কেমনে করে আমিই হয়ে উঠি তাদের স্পোকসম্যান। গত কিছুদিন ধরে দেশ-বিদেশ থেকে যে কত শত ফোন আমাকে রিসিভ করতে হয়েছে তার সংখ্যা আমার জানা নেই। অত্যন্ত ভারাক্রান্ত ও আবেগতাড়িত হয়ে তারা রোগীদের খোঁজখবর নিয়েছেন, অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন। কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েছেন যা দেখে আমি নিজেও অনেকসময় আবেগতাড়িত হয়ে উঠেছি। আমাদের আত্মীয়স্বজন, কাছের মানুষ ছাড়াও বড় ভাই এর বন্ধু, সহকর্মীদের কয়েকজন এখনো দিনরাতে কয়েকবার করে ফোন করে তাদের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান। এসময় ভাই এর কর্মস্থলের পরিচিত ও অপরিচিত অনেকেই তাদের স্যারের শূণ্যতার উপলব্ধির কথা বলে কাঁদতেন আর সৃষ্টিকর্তার কাছে তাদের সুস্থতার জন্য দোয়া করছেন বলে জানান। মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ অসুস্থতাকালীন সময়ে অনেক বেশী টের পাওয়া যায়।

আজ আমাদের বাবা-মা দুজনেই বেচে নেই। তাদের অনপস্থিতে বড় ভাই ও ভাবীকে আমরা আমাদের অভিভাবক হিসাবে মানি। বাবা-মা’র কাছ থেকে শিখেছি – মানব জীবনে প্রথম এবং সবচেয়ে বড় মানবীয় সংগঠনের নাম পরিবার। সৃষ্টির নিয়মে প্রধানত রক্তের সম্পর্কিত মানুষজন নিয়েই গঠিত হয় পরিবার। একটি শিশুর পরিবার থেকেই নৈতিকতাসম্বলিত আদর্শিক জীবন গঠিত হয়ে থাকে। পরবর্তীতে বড় হয়ে ধীরে ধীরে সে সমাজে কিংবা রাষ্ট্রে নিজের অবস্থান করে নেয়। পাশাপাশি তার নিজ যোগ্যতায় পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। তাই ব্যক্তি ও রাষ্ট্রের জন্য পরিবার ও পারিবারিক কাঠামো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেইসাথে পরিবারই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, সৌহার্দ্য, সহমর্মিতা ও ভালোবাসার দৃঢ় বন্ধনের মাধ্যমে এবং মানবিক মূল্যবোধগুলোর চর্চার মাধ্যমে একটি পরিবার যেভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে – সেখানে যতো বড় প্রতিবন্ধকতাই আসুক না কেনো এই সম্মিলিত পারিবারিক শক্তির কাছে তাকে পরাজিত হতেই হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি বলেছে করোনাভাইরাস থেকে সহসা মুক্তি পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। তাতে কি নিজেদের মনোবল যদি অটুট থাকে, আর পারিবারিক বন্ধন যদি এতোটা শক্তিশালী হয়, আসুক করোনা – ভয় কিসে? মনজুর রশীদ উন্নয়ন, সংস্কৃতি ও মানবাধিকার কর্মী ১৮ মে ২০২০। (লেখকের ফেসবুক থেকে নেওয়া)

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn