অন্যরকম অভিজ্ঞতা
অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি করোনাকালীন সময়েও থেমে থাকেননি। ব্যক্তি ও নাট্য সংগঠনের উদ্যোগে পরিচালনা করেছিলেন নানান সামাজিক কর্মকাণ্ড। নেমেছিলেন মাঠেও। আর বেশ কিছুদিন হয়েছে তিনি কাজেও নেমেছেন। বর্তমানে তার ব্যস্ততা যাচ্ছে ধারাবাহিক নাটক নিয়ে। ‘চিটিং মাস্টার’, ‘টিপু সুলতান’ শিরোনামের দুটি ধারাবাহিক নাটকের শুটিং করেছেন তিনি। তুষ্টি বলেন, দুটি ধারাবাহিক নাটকের কাজ করছি। করোনাকালীন সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো শুটিং করেছি পুবাইলে। যেহেতু অভিনয় করাটাই আমাদের চাকরি। এটাই জীবিকা। তাই মানিয়ে নিয়ে শুটিং করার চেষ্টা করছি। করোনাকালীন শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘এখন আর্থিক একটা সংকট রয়েছে। তাই মানুষজন কম নিয়ে ইউনিট ছোট করে কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন নির্মাতারা। আর পুরোপুরি সতর্কতা বা নিয়মাবলীও মানা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ আমরা যারা শিল্পী আছি তারা কিন্তু মেকআপ নেয়ার পর মাস্ক পরে থাকা সম্ভব না। তারপরও সবাই যতোটুকু পারছে সাবধানতা মেনে চলছে। এটা একেবারেই অন্যরকম অভিজ্ঞতা। কিন্তু কিছু করার নেই। এভাবেই অভ্যস্ত হতে হচ্ছে আমাদের। সামনে তুষ্টি ‘গোলমাল’ শিরোনামের একটি ধারাবাহিকে কাজ করবেন বলে জানান। তিনি বলেন, সামনে যে ধারাবাহিকগুলোতে কাজ করবো সেগুলোর জন্য ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নিয়েছি। আশা করি, ভালোভাবেই কাজগুলো শেষ করতে পারবো। এ ছাড়া করোনার শুরু থেকেই এ অভিনেত্রী তার ফেসবুক পেজ থেকে ‘লেটস টক ফেক্টস উইথ তুষ্টি’ শিরোনামের একটি লাইভ অনুষ্ঠান করছিলেন। তবে মায়ের অসুস্থতার কারণে সেই লাইভটি আর চালিয়ে নিতে পারেননি। এদিকে অভিনয় শিল্পী সংঘের আইন ও কল্যাণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন তুষ্টি। সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, অভিনয় শিল্পী সংঘ থেকে পুরো করোনাজুড়েই তো শিল্পীদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আমরা ২০ লাখ টাকার খাদ্যসামগ্রী ও ২০ লাখ টাকার নগদ অর্থ সহায়তা করেছি। ইতিমধ্যে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কয়েকবার মিটিং করেছি। শিল্পীদের জন্য একটা কল্যাণ তহবিল করার চেষ্টা করছি। আশা করি সেটাও হয়ে যাবে খুব শিগগিরই।