সুরমা বেগম প্রেম, বিয়ে এবং প্রতারণা করেছে ৯ ম্বামীর সাথে
নূরুজ্জামান ফারুকী নবীগঞ্জ থেকে: জগন্নাথ পুর উপজেলার ৬ নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের বাগময়না গ্রামের মৃত আব্দুল নোয়াব মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া (২৩) নবীগঞ্জ উপজেলার ২নং পূর্ব বড়ভাকৈর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের মৃত মতিন মিয়ার মেয়ে সুরমা বেগম দুজনের প্রায় ৬ মাস যাবত তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। পারিবারিক সূএে জানা যায়,প্রায় ২ মাস আগে তারা দুজন পালিয়ে জগন্নাথ পুর উপজেলার ৬নং ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে সোহাগের খালাতো ভাই তোয়েল মিয়ার বাড়ীতে যায়।পরে তোয়েলের পরিবার একজন মসজিদের ইমামের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা কাবিন ধার্য করে তাদের বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়।
উল্লেখিত সোহাগের বউ সুরমা বেগমকে নিয়ে সোহাগের খালার পরিবারের সাথে দুই মাস যাবত ঘর সংসার করে আসছিল। ১সেপ্টেম্বর গভীর রাতে সবাই যখন ঘুমন্ত অবস্হায় তোয়েল মিয়ার ঘরের শো-কেসের তালা ভেঙে ৪৫ হাজার ৫শ টাকা নিয়ে সুরমা বেগম পালিয়ে যায়। সকাল ৬ টায় সময় তোয়েল মিয়ার ছোট বোন মারুফা আক্তার (১৫)শো-কেসের তালা ভাঙ্গা দেখে শোর চিৎকার করলে বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে আসেন।পরিবারের লোকজন সুরমা বেগমকে দেখতে না পেয়ে তাদের সন্দেহ হয় এবং সুরমার বাবার বাড়ী রামপুরে চলে যান সোহাগ ও তার খালার পরিবারের সবাই।সেখানে গিয়ে সুরমা বেগমকে পাওয়া যায় নি।বাড়ীর লোকজনকে বিষয়টি জানালে তারা বলেন,সুরমা রামপুর গ্রামেই তার নানার বাড়িতে অবস্হান করছে। সাথে সাথে তারা সুরমার নানার বাড়িতে চলে যান,সেখানে গিয়ে সুরমা ও তার মাকে দেখতে পেয়ে সোহাগ মিয়া তার বউ সুরমা বেগমকে ডাক দিলে কোন উওর না দিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে মা ও মেয়ে পালিয়ে যায়।বিষয়টি সুরমার মামা আমির হোসেনকে জানালে তিনি বলেন আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখব।তারপর সোহাগ তার শ্বশুরবাড়িতে এসে সুরমার চাচা ফারুক মিয়াকে জানালে সুরমার চাচা উওরে বলেন সুরমা ও তার মা আমাদের আওতার বাইরে,এই বিষয়ে আমার কিছুই করার নেই।এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে সুরমা প্রথমে প্রেম এবং পরে বিয়ের নামে প্রতারণা করে আসছে।এতে তাকে সহায়তা করছে তার মা। তাদের একমাএ উদ্দেশ্য বিয়ের নাম করে সহজ সরল মানুযের টাকা হাতিয়ে নেয়া।এই পযর্ন্ত সোহাগ মিয়াসহ মোট নয়জনকে বিয়ে করেছে সুরমা বেগম।