স্বাস্থ্য বিভাগে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ দরপত্রে অনিয়ম
বার্তা ডেক্সঃঃসুনামগঞ্জ জেলার স্বাস্থ্য বিভাগে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে দরপত্রে অংশ নেওয়া একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও দরপত্র জমা দেওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ জেলা স্বাস্থ্যবিভাগে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে এক বছরের জন্য ২৩৪ কর্মী নিয়োগ দিতে গত ৭ জুন প্রথম দফা দরপত্র গ্রহণ করা হয়। এতে চারটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দেয়। কিন্তু দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী এসব প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় তা বাতিল করা হয়। এরপর গত ২৭ আগস্ট দ্বিতীয় দফা দরপত্র আহ্বান করলে আবার চারটি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এগুলো হলো অনেস্ট সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেড, ধলেশ্বরী সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্লিনিং সার্ভিস প্রাইভেট লিমিটেড, যমুনা স্টার সেইভ গার্ড সার্ভিস লিমিটেড এবং সরকার আউটসোর্সিং অ্যান্ড সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেড। এর মধ্যে অনেস্ট সিকিউরিটি ছাড়া অন্য তিনটি প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকার অজুহাতে তাদের দরপত্র বাতিল করা হয়েছে। অনেস্ট সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেড গত বছর এ কাজ পায়। এবার এখনও কোনো প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়নি। গত ৮ সেপ্টেম্বর সরকার আউটসোর্সিং অ্যান্ড সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেডের পক্ষ থেকে দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয় স্বাস্থ্য সচিবের কাছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, অনেস্ট সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেডকে কাজ দেওয়ার জন্য নানা পাঁয়তারা চালানো হচ্ছে। দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী দরপত্রে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানের ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে ঠিকাদার সংস্থার হালনাগাদ লাইসেন্স থাকতে হবে। কিন্তু অনেস্ট সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেডের এই লাইসেন্স হালনাগাদ নেই। তাদের অন্য কাগজপত্রেও ঘাটতি আছে। অনেস্ট সিকিউরিটি গত বছর কর্মীদের ১০ মাসের বেতন আটকে রেখেছিল। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সরকার আউটসোর্সিং অ্যান্ড সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপক মামুনুর রশিদ বলেন, আমরা চাই স্বচ্ছতার ভিত্তিতে দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন হোক। কিন্তু সিভিল সার্জন কার্যালয় সেটি করছে না। একটি বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। জেলা সিভিল সার্জন শামস উদ্দিন বলেন, এখানে সিভিল সার্জন একা কোনো বিষয় নয়, সাত সদস্যের একটি কমিটি আছে, যা হচ্ছে কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী। কোনো অনিয়ম হয়নি। সূত্র-সমকাল