কৃষকদের ঋণ মওকুফ করা হবে: সুনামগঞ্জে মন্ত্রী মান্নান
অর্থ পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম.এ মান্নান বলেছেন- হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ঋণ মওকুফের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হবে। যাতে করে প্রান্তিক, গরিব, ক্ষুদ্র কৃষকরা সুবিধা পেতে পারে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাধ নির্মাণের গাফিলতির বিষয়ে এখানকার সাধারণ মানুষের জনমত অত্যন্ত প্রবল। আমি গাফিলতির বিষয়টি তলিয়ে দেখার এবং কারা দায়ী নির্ধারণে একটি বড় কমিটি করার জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করবো। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসনও একটি কমিটি করবে যাতে করে স্থানীয় ব্যর্থতাগুলো চিহ্নিত করতে পারে।
তিনি বলেন- সরকারের কম মূল্যে চাল বিক্রি, ভিজিএফ’সহ চলমান কিছু প্রকল্প আছে, যেগুলো বাড়ানো হয়েছে। সুনামগঞ্জের জন্য এগুলো পরিমাণে ও সংখ্যায় বাড়ানোর জন্য আমি ত্রাণ ও খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো। দুর্গত এলাকা ঘোষণার প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন- দুর্গত এলাকার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে লঙ্গরখানা খোলার প্রস্তাব আসবে। লঙ্গরখানা এমন একটি শব্দ, বর্তমান বাংলাদেশে এটি গ্রহণযোগ্য নয়। সেই ধরনের দুর্ভিক্ষের অবস্থায় আমরা নেই। খাদ্যের অভাব আছে, যেভাবেই হোক তা মেটানোই হবে আমাদের প্রধান কাজ।
সভায় ছাতক-দোয়ারার সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক বলেন- হাওরাঞ্চলের কৃষকদের এ ফসলহানির বিষয়টি সরকার সুপরিকল্পনার মাধ্যমে মোকাবেলা করবে। একজন মানুষকেও না-খেয়ে থাকতে হবে না। ইতিমধ্যে নির্ধারিত মূল্যে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। অতিরিক্ত মূল্য আদায়কারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। হাওরের বাধের স্থায়ী সমাধানের পথ আমরা খুঁজছি। প্রতিবছর বান আসলে হাওর ডুববে, এ অবস্থা থেকে ভাটি অঞ্চলের কৃষকদের বাঁচাতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। প্রতিমন্ত্রী রোববার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিক, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, অ্যাড. পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, অ্যাড. শাহানা রব্বানী, জয়া সেনগুপ্ত, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট, জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম, দোয়ারাবাজার উপজেলা চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী বীরপ্রতিক প্রমুখ।