ভারীবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে অকাল বন্যায় জগন্নাথপুর উপজেলায় বোরো ফসলহানির ঘটনায় আগামীকাল সোমবার থেকে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের মধ্যে খোলা বাজারে ওএমএম কার্যক্রমের আওতায় চাল ও আটা বিক্রি হবে।  পৌরশহরের ৫টি স্থানে প্রতিদিন ৩ মেট্রিকটন চাল ও ৩ মেট্রিকটন আটা টানা একমাস বিক্রি করা হবে। চালের প্রতিকেজি চালের মূল্য নির্ধারণ করা হয়ে ১৫ টাকা এবং আটার মূল্যে নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ১৮ টাকা। এছাড়া ৮টি ইউনিয়নে ইতিমধ্যে সরকারি রিলিফের চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ’র সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা তিনি খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- প্রতিদিন নির্ধারিত স্থান থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে সরকার কর্তৃক ১৮ টাকা মূল্যে চাল বিতরণ করা হবে। আর আটা ১৮ টাকা দরে বিক্রয় করা হবে। টানা একমাস ফসলহারা ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের মধ্যে চাল ও আটা বিক্রয় করা হবে। এছাড়া ইতিমধ্যে ৮টি ইউনিয়নে সরকারি রিলিপ দেয়া শুরু হয়েছে।

প্রসঙ্গত, অব্যাহত ভারি বৃষ্টিপাতে ও পাহাড়ি ঢলে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃক নিন্মমানের ফসলরক্ষা বেড়িবাঁধ ভেঙে উপজেলার সর্ববৃহৎ নলুয়ার হাওরসহ সবক’টি হাওরের ফসল পানিতে তলিয়ে যায়। পর পর টানা ৩ বছর একমাত্র বোরো ফসল হারিয়ে কৃষকদের মধ্যে হাহাকার চলছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn