দোয়ারাবাজারে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন
বার্তা ডেস্ক: প্রেমের টানে সংসার ছেড়ে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার অনশন। ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামে। জানা যায়, ৭ বছর পূর্বে বাজিতপুর গ্রামের আবু তাহিরের পুত্রের সাথে মান্নারগাঁও ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের মো.আব্দুল্লাহর মেয়ে হ্যাপী আক্তারের ইসলামি শরিয়াহ মতে বিয়ে হয় । বিয়ের বছর খানেক পরে তাদের সংসারে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে ওই সন্তানের বয়স ৬ বছর। এদিকে, গত দেড় বছর যাবৎ একই গ্রামের(বাজিপতপুর) মনির উদ্দিনের পুত্র আতিকুর রহমানের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে হ্যাপীর। তাদের গোপন সম্পর্কের বিষয়ে তার শ্বশুর বাড়িতে জানাজানি হয়ে গেলে দেড় বছর আগে হ্যাপি তার বাবার বাড়িতে চলে আসেন। এরই মধ্যে গত রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হ্যাপী তার বাবার বাড়ি থেকে আতিকের হাত ধরে ঘর ছেড়ে বিয়ের উদ্দেশ্যে পালিয়ে সুনামগঞ্জ চলে যায়। সুনামগঞ্জে বিয়ের কাজ সম্পন্ন না করে আতিক হ্যাপিকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন। বাড়িতে আসার পর আতিকের পরিবারের লোকজন তাদের প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নিয়ে আতিককে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এরপর রোববার(২০ সেপ্টেম্বর) থেকে সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত হ্যাপী আতিকের আশায় তার বাড়িতে অনশন করেন। হ্যাপী বলেন, আমি আতিকের জন্য সংসার ছাড়ছি এখন আমি স্ত্রীর মর্যাদা চাই। আমি আতিককে ছাড়া বাঁচব না। এব্যাপার আতিকের বড় ভাই হাবিবুর রহমান বলেন, আমার ভাইয়ের বিয়ের বয়স এখনও হয় নাই। অযথা আমার ভাইকে ও আমাদের পরিবারের লোকজনদের হয়রানি করার জন্য বিয়ের দাবি করছে। হ্যাপী বেগমের স্বামীর বড় ভাই আব্দুল কাদির বলেন, আমার ছোট ভাইয়ের সাথে গত ৭ বছর আগে হ্যাপীর সাথে বিয়ে হয়। তাদের ৬ বছরের এক পুত্র সন্তানও রয়েছে। গত দুই বছর যাবত আমার ভাইয়ের সাথে প্রতারণা করে আমাদের গ্রামের আতিক নামের এক ছেলের সাথে অবৈধ প্রেম সম্পর্ক গড়ে তোলে হ্যাপী। এ নিয়ে প্রায় সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। এরপর গত দেড় বছর আগে হ্যাপি তার বাবার বাড়িতে চলে যায়।