বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড পিডিবি’র অধীনে থাকা সাবেক টুকেরবাজার ফিডার ও বিমানবন্দর ফিডারের  আংশিক অংশ পল্লী বিদ্যুতে স্থানান্তর প্রক্রিয়ার প্রতিবাদে মঙ্গলবার মিছিলে মিছিলে উত্তাল ছিলো সিলেট সদর উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন।  সকাল ১১টায় স্থানীয় টুকেরবাজার এলাকায় টুকেরবাজার ইউনিয়ন, কান্দিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ সম্মুখে কান্দিগাঁও ইউনিয়ন এবং খাদিমনগর ইউনিয়ন পরিষদ সম্মুখে খাদিমনগর ইউনিয়নের পিডিবি গ্রাহকরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। মানববন্ধন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মিছিলে মিছিলে উত্তাল হয়ে ওঠে এসব এলাকা। দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের প্রতিবাদী মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে মানববন্ধন কর্মসূচি সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের কয়েক মাইল বিস্তৃত হয়ে পড়ে। পরে সেখানে মানববন্ধনস্থলে উপস্থিত হন- সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ। প্রথমে তিনি কান্দিগাঁও এবং পরে টুকেরবাজার এবং ইউনিয়নে যান। খাদিমনগর টেলি কনফারেন্সে তিনি কথা বলেন। সেখানে আন্দোলনরত জনসাধারণকে সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সালাম জানিয়ে বলেন- পিডিবি থেকে পল্লী বিদ্যুতে স্থানান্তর প্রক্রিয়ার দুটি চিটি চালাচালি হওয়ার সংবাদ পেয়ে আমি আপনাদের কথা দিয়েছিলাম, পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ এবং অর্থমন্ত্রীর সাথে কথা বলে পল্লী বিদ্যুতে স্থানান্তরে প্রক্রিয়া বন্ধ করা হবে। সেই কার্যক্রম তারা বন্ধ রেখেছে। আপনারা আজ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবেন জানার পর আমি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সাথে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন- এটা নিয়ে আন্দোলন করার কোন দরকার নেই। কারণ জনগনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছুই করা হবে না। পিডিবিতে যারা আছেন, তারা পিডিবিতেই থাকবেন। এটা অর্থমন্ত্রীর হয়ে তিনি যেনো জনগনকে আশ্বস্ত করেন, সেই অনুমতি দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তাই অর্থমন্ত্রীর আশ্বাসে আশ্বস্ত হয়ে আন্দোলন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।


আশফাক আহমদ আরো বলেন- আমরা নেতা হতে চাই না। জনগনের বন্ধু হয়েই থাকতে চাই। অতীতে আরো একবার পল্লী বিদ্যুতে স্থানান্তরের ষড়যন্ত্র হয়েছিলো। তা আমরা প্রতিহত করেছি। এবারও করব। যদি কোন কুচক্রি মহলের কারণে এ দাবির বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়, আমরা আপনাদের পাশে থেকে দাবি আদায় করে ঘরে ফিরবো ইনশাআল্লাহ।

এদিকে অর্থমন্ত্রীর আশ্বাসের ঘোষণা পাওয়ার পর কান্দিগাঁও এবং টুকেরবাজার ইউনিয়ন মানববন্ধন কর্মসূচি স্থগিত করে দুটি ইউনিয়ন সম্মিলিতভাবে টুকেরবাজার থেকে তেমুখি বাইপাস পর্যন্ত বিশাল আনন্দ মিছিল করে। আনন্দ মিছিলে সর্বদলীয় নেতৃবৃন্দসহ শত শত জনতা অংশগ্রহণ করে। পরে তেমুখি বাইপাসে এসে আপাতত আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কান্দিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিন এবং সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও টুকেরবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহীদ আহমদ।

কান্দিগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও ছাত্রলীগ নেতা সেলিম আহমদের পরিচালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- কান্দিগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজম আলী, বিএনপি নেতা ওয়ারিছ আলী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম, বিশিষ্ট মুরব্বী তমজিদ আলী, মুক্তিযোদ্ধা আমির আলী, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির, মুক্তিযোদ্ধা রহমান আলী, হাজী তজমুল আলী, ছইল মিয়া, সাজিদ আলী, সামছুল হক, ঠিকাদার আব্দুল কাদির, দৈনিক সিলেটের ডাকের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার নূর আহমদ, দৈনিক উত্তরপূর্ব’র স্টাফ রিপোর্টার মো. ওলিউর রহমান, সিলেট বেতারের এম রহমান ফারুক, মানিক মিয়া, ইউপি সদস্য আব্দুুজ জাহির, আব্দুল মজিদ, সাবেক ইউপি সদস্য মনির আলী, আব্দুল লতিফ লালা, ছইল মিয়া মেম্বার, শাহনুর আলম মেম্বার, মুহিবুর রহমান মেম্বার, সায়েস্তা মিয়া মেম্বার, কাছা মিয়া মেম্বার, সাবাজ আহমদ মেম্বার, মহিলা মেম্বার খুশতেরা বেগম, আংগুরা বেগম, রুমা আক্তার, সাবেক মেম্বার সোনারা বেগম, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রুহুল আমিন তালুকদার, যুবলীগ নেতা শাহিন আহমদ, শামীম আহমদ, জুবায়ের আহমদ লাল, নুরুল হক, মনফর আলী, মাশুক মিয়া, শওকত মিয়া, আলী হোসেন, বাবুল মিয়া, আব্দুল করিম বাচ্চু, আব্দুল লতিফ, সোহেল আহমদ, গোলাম মোস্তফা, নজরুল ইসলাম, আব্দুল মালিক, মুছল মিয়া, আব্দুল জলিল, রায়ছুল হক, আব্দুল করিম, রইছ আলী, আখলু মিয়া, জয়নাল আবেদীন, লিয়াকত আলী, শাহিন আহমদ, রেদোয়ান আহমদ বাচ্চু, ফেরদৌস আহমদ, আবু বকর, আব্দুর রব, দিলোয়ার হোসেন, মনফর আলী, মোঃ রতন মিয়া, মোঃ আবুল, আব্দুল মজিদ, শওকত আলী।

অপরদিকে টুকের বাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদ আহমদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি একেএম তারেক কালাম, বিশিষ্ট মুরব্বী মিসবাহ উদ্দিন, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, আওয়ামী লীগ নেতা নজির হোসেন, নয় গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য সচিব হাজী আব্দুল হক, শাহাব উদ্দিন লাল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল করিম ফুল মিয়া, টুকের বাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলতাফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুকিত, মাস্টার আব্দুস শুকুর, জুনায়েদ খোরাসানী, টুকের বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নেওয়াজ মিয়া, জিয়া উদ্দিন, প্যানেল চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন, ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিন, ফরিদ মিয়া, তারেক মিয়া বাবুল, যুবনেতা আব্দুস সালাম, এনাম হোসেন শিপন, ফজল আহমদ, ফখরুল ইসলাম রাব্বী, মাশুক মিয়া, শাহাব উদ্দিন, করিম উল্লাহ, সুমন আহমদ, শ্রমিক নেতা সালমান আহমদ, ইঞ্জিনিয়ার শাহজাহান, জয়নাল আবেদীন, আলামিন, শাহনুর ইসলাম, জয়নাল আবেদীন রানা, ফয়জুল আলম, গৌছুল আলম শিপু, আব্দুল্লাহ আল রিপন প্রমুখ।

এদিকে, খাদিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দিলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও তরুন সমাজসেবক সালুটিকর পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকলাল আহমদের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফতাব উদ্দিন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক এইচ.এম মালিক ইমন, বিশিষ্ট মুরব্বি হাজী ফরিদ আহমদ, এয়ারপোর্ট থানা কমিউনিটি পুলিশিং এর সভাপতি আব্দুস সামাদ, ইয়াং স্টার ক্লাবের উপদেষ্টা ও দৈনিক সিলেটের ডাকের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মোঃ নুর আহমদ, ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার নাজিম উদ্দিন ইমরান, আরিফ আহমদ সুমন, হাজী জুনেদ আহমদ, পংকি মিয়া, যুবলীগ নেতা ফখরুল ইসলাম, মোবারক আলী, ইয়াং স্টার ক্লাবের উপদেষ্টা মোঃ সাইদুর রহমান সাইদ, মোঃ নুরুল আমিন, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুস সালাম, আব্দুল করিম বাসানী,  ইয়াং স্টার ক্লাবের সভাপতি মোঃ মতিউর রহমান, সদর উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা কপিল মিয়া, আব্দুল বাছিত, জাবেদ আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের নেতা শাহাদত হোসেন. শাহীন আহমদ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- ফারুক আহমদ, নাসির উদ্দিন, আব্দুল আহাদ, আব্দুল শুকুর টেনাই, আঃ সুমন, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা পারভেজ আহমদ, ছাত্রদল নেতা জুয়েল আহমদ, ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার রোকিয়া বেগম ফুলেছা, ৪,৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার মোছাঃ হামিদা বেগম, লন্ডন প্রবাসী জয়নাল মিয়া, মোঃ ছুয়াব আলী, সাজু আহমদ, রাশেদ মিয়া, আব্দুল জব্বার, সাইফুল ইসলাম, রাসেল আহমদ, সবুজুর রহমান, ছমির উদ্দিন, ইয়াং স্টার ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিক মিয়া, প্রচার সম্পাদক সাইদুর রহমান, নির্বাহী সদস্য সাহেদ আহমদ, বশির মিয়া, আবু সাইদ শাহীন. যুবকল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফয়সল আহমদ হেলন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ, প্রচার সম্পাদক আব্দুল মালেক, শাহজালাল যুবসংঘের সভাপতি মোজাম্মেল হক, সাধারণ সম্পাদক ফয়সল আহমদ, বৃহত্তর ছালিয়া সবুজ বাংলা সমাজ কল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসাইন, মুহিম আহমদ, নাদিম মাহমুদ, ইমরান আহমদ, খোকন আহমদ, রুবেল, এমদাদুল হক অপু, স্বাধীন বাংলা ক্লাবের সভাপতি শিপলু আহমদ, ছালেহপুর শক্তি ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহেদ হাসান, যুবলীগ নেতা কয়েস আহমদ, সুহেল আহমদ, শ্রী উপেন্দ্র ঘোষ প্রমুখ।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn