ইমানুজ্জামান মহী (ফেসবুক থেকে)-বেশ কিছুদিন ধরে দেখছি নানা অপ্রীতিকর ঘটনার দোষ সরকারে ঘাড়ে চাপিয়ে ঢাকসুর সদ্য বিদায়ী ভিপি নুরুল হক নূর ও তার সমর্থিতরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা যা দমনে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করেছে। অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে কঠোন আইন করেছে। সে সব মিমাংসিত ইস্যুকে পূজি করে নূরু গংরা সরকার পতনের তথা কথিত আন্দোলন করছে। নূরু গংদের এই তথা কথিত আন্দোলনের পিছনে গোষ্ঠীবদ্ধ একটি ষড়যন্ত্রকারীদের দল যে সক্রিয় তা সহজে অনুমান করা যায়।
পরবাসে বসে কিছু ইউটিউবার তার পক্ষে যে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে তাদের কথা শুনলে এ বিষয় আরো পরিস্কার হয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রে ও যুক্তরাজ্য ভিত্তিক কিছু ইউটিউবার যেনো এক একটা প্রোপাগান্ডা মিশিন। দেশ থেকে পালিয়ে আসা বিএনপি জামাত সমর্থিত কিছু অবসর প্রাপ্ত সামরিক অফিসার আর কিছু ভূতপূর্ব সাংবাদিক এদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য। এদের মূল এজেন্ডা হচ্ছে যেনতেন ভাবে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা করে সরকারকে অজনপ্রিয় করে তোলা। স্থিতিশীল সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য এরা সামরিকবাহিনীর বিরুদ্ধে ও প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। ভূয়া অডিও। ফোন কল প্রকাশ করে সামরিক অভূত্থান ঘটানোর পরিকল্পনা করছে। এসব অবসর প্রাপ্ত আর পতিতরা কখনো একক ভাবে আবার কখনো মিলিত ভাবে জামাত বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নে প্রোপাগাণ্ডা ওয়ারে নেমেছে। রাজনৈতিক ভাবে সরকারের মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে এরা ভিন্ন পথে হাটছে।
ছাগল যেমন লাফায় খুটির জোরে তেমনি নূর পাগলাও এদের সাহসে লাফাচ্ছে। নৌকা ডুবানোর কথা পাগলকে মনে করিয়ে দিলে নাকি বিপদ। তাদের কথায় পাগল নূরা হয়তো ভাবছে নৌকা ডুবানো সোজা। এ সব স্বার্থান্বেষী মহল পাগল নূরাকে ধর্ষিতার রক্তাক্ত আঁচলের আবেগ ব্যবহার করে নৌকা ডুবানোর বুদ্ধি পরামর্শ দিচ্ছে।
পাগলদের পিটালে অনেকের আবেগ অনুভূতিতে লাগে। নূরা পাগলাকে একবার ছাত্রলীগ পিটিয়ে ঢাকসুর ভিপি বানিয়ে দিয়েছে। ছাত্রলীগ সে ভুল আর করতে চায় না। পাগল পেটানো ছাত্রলীগের কাজ নয়। অনেকে ভাবছেন সরকার কেনো পাগলের পাগলামী সহ্য করছে। সরকার ভাবছে, নুরা যখন বলছে, ‘দেশে গনতন্ত্র নেই। বাক স্বাধীনতা নেই।” নিজের ভোগ করা গনতন্ত্র। নিজের বাক স্বাধীনতা অধিকার থেকে নিজেই সে প্রমান করুক তার সব কথা মিথ্যে। সরকার চাচ্ছেনা পাগলের পেছন পেছন দৌড়ায়ে সময় নষ্ট করতে। পাগল ভেবে যখন পাগলের পেছনে কেউ না লাগে, পাগলের পাগলামি এক সময় এমনিতেই বন্ধ হয়ে যায় । ‘
পাগলকে নৌকা ডুবানোর কথা যারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন’ তারা জানে না পাগল যখন ক্ষেপে তাদের হিতাহিত জ্ঞান থাকেনা। কে বন্ধু কে শত্রু তখন সে খেয়াল করে না। পাগলের ইট কিংবা পাথরের ঢিল যে কেউ খেতে পারে। কথায় আছে ‘পাগলে কি না বলে ছাগলে কি না খায়।’ পাগলদের উপর যারা ভরসা করে পাগলই একদিন তাদের কাল হতে পারে। কখনো কখনো পাগলকে পাগলামি করতে দেয়া উচিৎ। পাগল রিলাক্স থাকে। সরকার পাগলকে তাই করতে দিচ্ছে। পাগলের পাগলামির মাত্রা যখন বাড়বে জনগনের নিরাপত্তার জন্য তখন হয় তার পাবনা হেমায়েতপুর স্থান হবে না হয় শিকলে বাধা পড়বে।-মহী

 

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn