বাংলাদেশি পণ্য আমদানি না করার আহ্বান ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্যের
ফ্রান্সে মহানবী (সা.)-এর একটি ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে দেশটিকে বয়কটের আহ্বান জানাচ্ছে বাংলাদেশিরা। এ নিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভও হয়েছে। এমনই এক বিক্ষোভের খবর শেয়ার করে বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ফরাসি রাজনীতিবিদ এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য ভার্জিনি জোরোন। এ নিয়ে তিনি একটি টুইট করেছেন। ফ্রান্সবিরোধী বিক্ষোভের সংবাদ শেয়ার করা ওই টুইটে তিনি বাংলাদেশি পণ্য আমদানি থামাতে পশ্চিমা ক্রেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
জোরোন লিখেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত তৈরি-পোশাক খাতের ওপর নির্ভরশীল। পশ্চিমা ক্রেতাদের অবশ্যই বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি বন্ধ করতে হবে। আসুন যারা আমাদের ঘৃণা করে তাদের থেকে পণ্য আমদানি বন্ধ করে দেই।২০১৭ সালের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্স বছরে প্রায় ২.৪ বিলিয়ন ইউরোর পণ্য আমদানি করে থাকে। অপরদিকে বাংলাদেশ ফ্রান্স থেকে আমদানি করে মাত্র ১৯৩ মিলিয়ন ইউরোর পণ্য। ভার্জিনি জোরোনের আহ্বানে তাই ফরাসি আমদানিকারকরা সাড়া দিলে দেশের অর্থনীতির ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়বে এমন আশঙ্কা রয়েছে।
কয়েকবছর আগে ফরাসি ম্যাগাজিন শার্লি এবদো মহানবী (সা:)-এর একটি ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করে। বাক-স্বাধীনতার ওপর একটি ক্লাসে অন্য অনেক ছবির সঙ্গে এই ছবিটিও শিক্ষার্থীদের সামনে প্রদর্শন করেন স্যামুয়েল প্যাটি নামের এক ফরাসি শিক্ষক। এরপরই তার বিরুদ্ধে অনলাইনে ঘৃণা ছড়ানো শুরু হয়। এক পর্যায়ে ইসলামপন্থি সন্ত্রাসীর হামলায় নিহত হন ওই শিক্ষক। তবে এরপরই ফ্রান্স সরকার বাক স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নিতে ওই বিতর্কিত ব্যঙ্গচিত্রটিকে দেশটির সরকারি ভবনে প্রদর্শন করতে শুরু করে। মুসলিম দেশগুলো থেকে অনেকেই এর প্রতিবাদ জানান। তবে সবথেকে বড় প্রতিবাদটি দেখা যায় বাংলাদেশে। ফলে ফ্রান্সসহ বিশ্বের প্রভাবশালী গণমাধ্যমগুলোতে বাংলাদেশে ইসলামপন্থিদের সমাবেশের খবরটি প্রচারিত হয়। এর ভিত্তিতেই বাংলাদেশি পোশাক আমদানি বন্ধের আহ্বান জানান ভার্জিনি জোরোন।-পূর্বপশ্চিমবিডি