সাকিব-মাশরাফিকেও দিতে হবে ফিটনেস টেস্ট
আইসিসির নিষেধাজ্ঞার কারণে এক বছর মাঠের বাইরে ছিলেন সাকিব আল হাসান। অন্যদিকে গেল ফেব্রুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অধিনায়ক হিসেবে শেষ ওয়ানডে খেলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে সব কিছু ঠিক থাকলে এই মাসেই দেশের দুই মহা তারকা ফের ক্রিকেটে ফিরছেন। তাদের এক সঙ্গে দেখা যেতে পারে বিসিবি’র টি-টোয়েন্টি লীগে। অবশ্য এর আগে তাদের দিতে হবে ফিটনেস টেস্ট। ১৫ থেকে ২০শে নভেম্বরের মধ্যে টি- টোয়েন্টি লীগ মাঠে গড়ানোর কথা। এই আসরের জন্য এক’শর কাছাকাছি ক্রিকেটারের তালিকা করা হয়েছে। তবে তাদের বেশির ভাগই রয়েছে খেলার বাইরে। কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন করলেও বিসিবির অধীনে তাদের ট্রেনিং বা খেলার সুযোগ এখন পর্যন্ত হয়নি। সবশেষ বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ ওয়ানডে টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিল প্রায় ৫৬ জন ক্রিকেটার।
এর বাইরে যারা টি-টোয়েন্টি লীগে অংশ নিবে তাদেরকে দিতে হবে ফিটনেস টেস্ট। যা সাকিব ও মাশরাফির জন্যও বাধ্যতামূলক। এ বিষয়ে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান দৈনিক মানবজমিনকে বলেন, ‘সাকিব বা মাশরাফি আলাদা নয়। যে ক্রিকেটাররা জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন, ও টি-টোয়েন্টি লীগে খেলার সম্ভাবনা আছে তাদের সবাইকে ফিটনেস টেস্ট দিতে হবে। এই নিয়ম সাকিব ও মাশরাফি জন্য ব্যতিক্রম নয়।’ অন্যদিকে জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনও জানিয়েছেন ফিটনেস টেস্ট সবার জন্যই বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আসলে সাকিব তো দীর্ঘ দিন খেলার বাইরে ছিল। হ্যাঁ, ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন করেছে। কিন্তু আমাদের নির্বাচনের নিয়ম বা ক্রাইটেরিয়াতে আছে যে দীর্ঘ দিন খেলার বাইরে থাকলে তাকে ফিটনেস পরীক্ষা দিতে হবে। এটি শুধু সাকিব নয়, যারা এত দিন মাঠের বাইরে ছিল তাদের সবার জন্যই করা হয়েছে।’ গেল বছর ফিক্সারদের সঙ্গে যোগাযোগ ও ফিক্সিং প্রস্তাব গোপন করার অভিযোগে সাকিবকে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এর মধ্যে এক বছর ছিল স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। বাকি এক বছর কোনো ধরনের ক্রিকেটেই তিনি অংশ নিতে পারবেন না। যার মেয়াদ শেষ হয়েছে ২৮শে অক্টোবর।
অন্যদিকে মাঠে নামার আগেই ফের ইনজুরিতে মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে এখনো ইনজুরির স্ক্যান করাতে পারেননি তিনি। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে এখনো মাশরাফি ইনজুরির স্ক্যান করাতে পারেনি তাই তাকে নিয়ে কোনো মন্তব্য করা যাচ্ছে না। তাকে সরাসরি না দেখে কিছু বলা ঠিক হবে না। যদিও আমরা তার হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি গ্রেড-১ ধরে নিচ্ছি। তাকে এরই মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেখভাল করছেন বিসিবির ফিজিও জুলিয়েন ক্যালেফেতো।’ জানা গেছে, যদি গ্রেড-১ ইনজুরি হয় তাহলে তার মাঠে ফিরতে ২ থেকে ৩ সপ্তাহ লাগতে পারে। সেই ক্ষেত্রে তার টি-টোয়েন্টি লীগের শুরুতেই খেলা হবে কিনা তা নিয়ে থাকছে শঙ্কা । শুধু তাই নয়, মাঠে নামার আগে তাকে দিতে হবে ফিটনেস টেস্ট। সেই টেস্টে উৎরালেই খেলতে পারবেন মাঠে।