মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে জামায়াতের ফতোয়া!
মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিজাতীয় সংস্কৃতির অংশ বলে আখ্যায়িত করেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির দাবি, মঙ্গল শোভাযাত্র ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম। বুধবার (১২এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি। বিবৃতিতে জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে সর্ব প্রথম ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ১লা বৈশাখ মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রবর্তন করা হয়। মঙ্গল শোভা যাত্রায় বড়বড় পুতুল, হুতোম পেঁচা, হাতি, কুমির ও ঘোড়াসহ বিভিন্ন জীব-জন্তু মুখোশ প প্রাপ্তবয়স্কে
নারী-পুরুষ একসঙ্গে অশালীন পোশাক পরে অশ্লীল ভঙ্গিতে ঢোল বাদ্যের তালে তালে নৃত্য করে সড়ক প্রদক্ষিণ করার রীতি চালু করা হয়েছে, যা ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম। হিন্দু সমাজে শ্রী কৃষ্ণের জন্মদিনে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। তারা তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী মঙ্গলের প্রতীক হিসেবে পেঁচা, রামের বাহন হিসেবে হনুমান, দুর্গার বাহন হিসেবে সিংহের মুখোশ পরে ও দেবতার প্রতীক হিসেবে সূর্য এবং অন্যান্য জীব-জন্তুর মুখোশ পরে মঙ্গল শোভাযাত্রা করে থাকে।
‘মঙ্গল শোভাযাত্রা বাঙালি সংস্কৃতির অংশ, ধর্মীয় সংশ্লিষ্টতা নেই’—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের বিরোধিতা করে মুজিবুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, বাংলাদেশের সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এবং রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বিদ্যমান আছে। এ অবস্থায় ক্ষমতার জোরে দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করে দেশের জনগণের ওপর ভিন্ন ধর্মের অপসংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া উচিত হবে না। ভিন্ন ধর্মের রীতিনীতি তিনি দেশের শতকরা ৯০ জন মুসলমানের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালালে তার পরিণতি শুভ হবে না।