অপু-শাকিবের কেন এই নাটক?
২০০৮ সালে অপু-শাকিব বিয়ে করলেও গোপনেই চলে তাদের ঘর-সংসার। তবে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ্যে আসতে থাকে নতুন এক গুঞ্জন। আর তা হলো হঠাৎ করে- অপু-শাকিবের বিয়ে কথা। তবে কেউ মিডিয়াকে পাত্তা দেননি। প্রশ্ন উঠেছে কেন এত দিন পর শাকিব-অপুর বিয়ের খবর প্রকাশ্যে এলো এবং তারপর এ নিয়ে কেন এত রহস্যের জাল সৃষ্টি করা হলো। তাহলে কী পুরো ঘটনাটি তাদের পরিকল্পনা মাফিক হয়েছে? শাকিবের ঘনিষ্ঠ এবং সবসময় কাছে থাকেন এমন একটি সূত্রে জানা যায়, নিজেদের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে এই পুরো পরিকল্পনাটি সাজান শাকিব আর তা মঞ্চস্থ করেন অপু। এর প্রমাণ হলো অপুর সংবাদ সম্মেলনের দুদিন আগেও এক সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন শাকিব-অপু। দুদিন পরে এসে এমন কী ঘটল তাদের মধ্যে যে, লাইভ অনুষ্ঠানে সন্তান নিয়ে আট বছরের বেশি সময় পর বিয়ের কথা ঘোষণা করে স্বীকৃতি চাইতে হবে?
জানা যাচ্ছে এসবই তাদের পরিকল্পনা মাফিক বোঝা-পড়ার মধ্যেই হয়েছে।নিজেদের জনপ্রিয়তা আরেকটু চাঙ্গা এবং সন্তানকে স্টার বানাতেই এমনটি করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় শাকিবের কথায়ও পরোক্ষভাবে এর সত্যতা মিলেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি পাঁচতারা হোটেলে একটি জাতীয় দৈনিককে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নববর্ষের প্রথম দিনটা কেমন কেটেছে, জানতে চাইলে শাকিব খান বললেন, ‘সব মিলিয়ে এবারের বৈশাখটা অন্য রকম কাটছে। এত দিন আমি কারও ছেলে ছিলাম, এবার আমি নিজে বাবা, সন্তানের সঙ্গে বাংলা নববর্ষ পালন করছি, যে এরই মধ্যে মহাতারকা হয়ে গেছে।’
অন্যদিকে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘সত্যিই অন্য রকম। গত বছরের অনুভূতি ছিল এক রকম, কারণ তখন আমি মা হব। কাজকর্মও কমিয়ে দিয়েছি। সন্তানের কী হবে, কোন হাসপাতাল হলে ভালো হয়, এসব নিয়ে একটা চিন্তা ছিল। এখন তো আমি মা। অনেক বেশি হালকা লাগছে।’ জান্নাতুল ফেরদৌস সোহাগ নামে তাদের এক ভক্তের দাবি ‘এসব ঘটনা ছিল তাদের পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক। তা সহজেই অনুমেয়। তারা সিনেমায় যেমন অভিনয় করতে পারেন তেমনি দেশের ১৬ কোটি মানুষকে বোকা বানিয়ে সাজানো নাটক মঞ্চস্থ করেছেন। এটা করা তাদের কোনোমতেই ঠিক হয়নি।’