আবদুস শহীদ–
সুনামগঞ্জের কিংবদন্তী পুরুষ জনাব মুহাম্মদ আবদুল হাই। জ্ঞানে গর্বে সমৃদ্ধ এক জীবন। নিজেস্ব আঙ্গিনায় বিস্তর হাওরাঞ্চলের বিশাল জলরাশিতে সৃষ্টি এক উজ্জ্বল মহাসড়ক। সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নেয়া এক অতি সাধারণ জীবন। বিরল প্রতিভার অধিকারী এক অসাধারন মানুষ। কি ছাত্র জীবন। কি যৌবন। কি পারিবারিক জীবন। শেষ হয়ে যাওয়া অবদি তার এক সংগ্রামী জীবন। সত্যিকার অর্থে যে যোগ্যতা রাখে সে হয় নদীর মতো। নদী যত গভীর হয় ততো কম শব্দ করে। মুহাম্মদ আব্দুল হাই ছিলেন আমার দেখা তেমনি এক গভীর নদী।
বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনকে ঘিরে শুরু হয় তাঁর সংগ্রামী জীবন । তার আশানৈমিত্তিক ক্ষিপ্র প্রভা রাজনৈতিক প্রজ্ঞাকে করেছে শাণিত। মানুষের জন্য। অধিকার আদায়ের জন্য করেছেন আন্দোলন । খেটেছেন জেল। একজন যোগ্য ব্যক্তির যোগ্যতার উচিত বিবেচনা একজন যোগ্য ব্যক্তির দ্বারা সম্ভব। অযোগ্যের হাতে পড়লে সে ব্যক্তির যোগ্যতা কিংবা যোগ্য ব্যক্তিটি নির্মম ভাবে খুন হয়ে যেতে পারে। আমার মতো নগন্যের পক্ষে মুহাম্মদ আব্দুল হাই’র মতো ব্যক্তির মূল্যায়ন ঠিক তেমনি হতে পারে।
স্বাধীনতা পূর্ব সময়ে উনাকে দেখেছি গ্রাম্য হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষক রূপে। দেখেছি শিক্ষার আলোবর্তীকা হাতে ছুটে চলতে। শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে। শুনেছি সুনামগঞ্জ কলেজের বাংলার সাহিত্যের অধ্যাপনার কথা। আরো শুনিছি ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকার কথা।
সাহিত্যের সমজদার হয়ে প্রকাশনা ও সম্পাদনা করতেন সাহিত্য পত্রিকা ‘সুরমা’,। স্বাধীনতার পরপর দেখেছি প্রকাশ ও সম্পাদনা করতে সুনামগঞ্জের বহুল প্রচারিত “সাপ্তাহিক সূর্যের দেশ” পত্রিকা। মাঝেমাঝে লিখতাম কবিতা। ছাপা হতো তার আলোরণ সৃষ্টি কারী পত্রিকায়। তার মধ্যে সে গুণ ছিলো যা একজন অযোগ্য লোককে বড়ো অর্জনের দিকে নিয়ে যেতে পারে। সে লক্ষ্যে তিনি আমাদের মতো অযোগ্য লেখককে ঠাঁই করে দিতেন। সাহিত্য সেবার উদ্দেশ্যে পরবর্তিতে প্রতিষ্টা করেন ছাপাখানা। প্রয়াত মায়ের নামকে স্মৃতিতে ধরে রাখতে নামদেন মুর্শেদি প্রেস।
মুহাম্মদ আব্দুল হাই ছিলেন একজন প্রতিভাবান মেধা সম্পন্ন মানুষ। পঞ্চাশের দশকে সুনামগঞ্জে হাতে গোনা কয়েকজন স্নাতক ডিগ্রী প্রাপ্ত লোকের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। একাধারে একজন সমাজ সেবক, শিক্ষক সাহিত্যিক, নাট্যকার, এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। সর্বত্র ছিল তাঁর সমান পদচারনা। মুকুটহীন সম্রাট খ্যাত কিংবদন্তী চিত্রাভিনেতা আনোয়ার হোসেন একবার সুনামগঞ্জে আসেন। সিরাজউদৌলা নাটকে অভিনয় করেন সিরাজউদৌলা নাম চরিত্রে। আব্দুল হাই’র অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়ে প্রশ্ন করেন,‘এমন অভিনয় শিল্পী থাকতে আমাকে আনা হল কেন’?
৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল সুনামগঞ্জের ছাত্র তথা সাধারণ মানুষ পাকিস্তানি অন্যায় ও অত্যাচারের বিরোদ্ধে সংঘবদ্ধ প্রতিবাদ জানায়। ছাত্র হত্যার সংবাদে আপামর জনতা ক্রোধে ফেঁটে পড়ে,সুনামগঞ্জ শহরেও তার ঢেউ এসে লাগে। তৎকালীন স্থানীয় ছাত্রনেতা আবদুল হাই, আবদুল হক, আলফাত উদ্দিন আহমদ, আবদুল মতিন প্রমুখের জ্বালাময়ী বক্তৃতা। মিছিল,ধর্মঘট পালনের মধ্যদিয়ে স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল পূর্ব বাংলা ও পশ্চিম পাকিস্তানের পৃথকিকরণের দিক নির্দেশনা। সুনামগঞ্জবাসির মনে আব্দুল হাই’র জ্বালাময়ী ভাষণ আজও স্মৃতি হয়ে বাজে।
১৯৫৪ সালে স্বৈরাচারি সরকার যুক্তফ্রন্টের মন্ত্রীসভা ভেঙ্গে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী শেরেবাংলা একে বজলুল হককে নজর বন্দি করে। মন্ত্রিসভার সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান সহ অনেক নেতাকে বন্দি করে কারাগারে নিক্ষেপ করে। তখন স্বৈরাচারের রোষানল থেকে রেহাই পাননি মুহাম্মদ আব্দুল হই। কারারোদ্ধ হন। এ সময়ে নিরাপত্তা বন্দি হিসেবে মা ও বোনকে কারাগার থেকে অনেক গুলো চিঠি লিখেন। উদ্ধার হওয়া এ চিঠি থেকে তৎকালী তার রাজনীতি ও জেলবন্দি জীবনের অনেক তথ্য পাওয়া যায়। ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়তা ও সরকার বিরোধি ভূমিকার জন্য তিনি সিলেট এমসি কলেজ থেকে বহিস্কৃত হন। পরে সিলেট মদনমোহন কলেজে ভর্তি হন। স্নাতক পরিক্ষার পূর্বে আবার তাকে কারাগারে যেতে হয়। পরে ঢাকা কারাগার থেকে স্নাতক পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ডিস্টিংশনে পাস করেন।
পূর্ব পাকিস্তানের ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে আব্দুল হাই এর নেতৃত্বে সুনামগঞ্জের ছাত্ররা সংগঠিত হয়ে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়। সে সময় সুনামগঞ্জে একটি মাত্র কলেজ। কলেজ ছাত্রদের প্রতিবাদের আওয়াজ ছিল আকাশ বিদির্ণ করা বজ্রপাতের মত। মূলতঃ সুনামগঞ্জের ছাত্র রাজনীতি তখন থেকে শুরু। সে সময় সামাজিক সংকির্নতা ভেঙ্গে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে ছাত্রদের প্রবেশ ঘটে।
১৯৫৬ সালে মুহাম্মদ আব্দুল হাই আইন পড়তে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সমসাময়িক কালে বাংলায় দুর্ভিক্ষ শুরু হয়। তিনি আইনপড়া ক্ষান্ত দিয়ে ভূখানাঙ্গা মানুষের পাশে দাঁড়ান। ভাষা আন্দোলনে সুনামগঞ্জের সাহিত্য সাংস্কৃতিক অঙ্গন নতুন উদ্দিপনায় মেতে উঠে। ভাষা সৈনিক হিসেবে তার ধারাবাহিকতায় আব্দুল হাই সাংবাদিকতায় আত্মনিয়োগ করেন।
১৯৫৮ সালের পর থেকে পাকিস্তানি সরকারের বিমাতা সূলভ মনোভাবের কারনে পূর্ব বাংলা আবার উত্থাল হয়ে উঠে। দেশে সা্মরিক শাসনজারি হয়। স্বৈরাচারী মিলিটারী সরকা্রের প্রধান আইয়ুব খান রাজনীতির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। আব্দুল হাই তখন বসে না থেকে শিক্ষা বিস্তারে মনোনিবেশ করেন। তিনি জয়কলসের রসিদিয়া হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদেন। অগনতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার এই কঠিন সময়ে সুনামগঞ্জে চাউলের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধিপায়। নিম্ন আয়ের মানুষ সংকটে পড়ে। চাউলের দাম কমানোর দাবীতে মিটিং, মিছিল, প্রতিবাদ অব্যাহত থাকে। আন্দোলনে ভূমিকা রাখায় আবদুল হাই সহ সুনামগঞ্জের বেশ ক’জন নেতা জেলে যেতে বাধ্য হন।
ছাত্র রাজনীতি পররর্তী তিনি জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হন। প্রগ্রেসিভ রাজনীতি আদর্শ লালন করতেন বলে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহন করেন। ৬৯ এর গণআন্দোলন। ৭১এর স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি অংশ নেনে। তিনি মুক্তিযোদ্ধের একজন সফল সংগঠক। একজন কলম যোদ্ধা। যুদ্ধকালীন দীর্ঘ সময় তিনি বিভিন্ন রনাঙ্গনে সাইকেল চালিয়ে মুক্তিযুদ্ধের খবর সংগ্রহ করে ভারতের বিভিন্ন সংবাদ পত্রে খবর পাঠাতেন।
১৯৭৩ সালে সুনামগঞ্জ শহরের উদিয়মান তরুণদের নিয়ে গঠিত হয় একটি সাহিত্য সংস্কৃতি সংগঠন। নাম “আমরা কতিপয় তরুণ সাহিত্য সেবী”। এতে আমার জড়িত থাকার সুভাগ্য হয়। স্থানীয় আর্টস কাউন্সিল(শিল্পকলা একাডেমীতে) উদ্ভোধন উপলক্ষে শহরের গন্যমান্য ব্যক্তিদ্বয় উপস্থিত ছিলেন। জনাব আবদুল হাই কে আমরা সংগঠনের সভাপতি করার ইচ্ছা প্রকাশ করি। তিনি অধ্যাপক আহমদ আলি স্যার কে দেখিয়ে বলেন, ‘উনাকে সভাপতি করা হোক।’ তিনি চমৎকার একটি কথা বলে উপস্থিত সবাইকে হাসালেন। বলেন, “যার নেই কোন চেষ্টা তাকে বলে উপদেষ্টা। সুতরাং আমাকে উপদেষ্টার দ্বায়িত্ব দেওয়া হউক।” কালো চশমার ফ্রেমে গুরুগম্ভীর চেহারার দৃঢ় ব্যক্তিত্বের অধিকারী জনাব আব্দুল হাই কে এই প্রথমবার হাসতে এবং হাসাতে দেখলাম। আরেকবার সুনামগঞ্জ আর্টস কাউন্সিলের উদ্যোগে শুরু হল আবৃত্তি প্রতিযোগীতা। আমরা উৎসাহীত হলাম। সদ্য প্রয়াত আজিজ চৌধুরী মসনুদ আমার সুহৃদ বন্ধু। কবি ও সৌখীন আবৃত্তি শিল্পী। তার চাচা আব্দুল হাই সাহেব বিচারক। মসনুদ ভয়ে বেঁকে বসলো। সে অংশ নেবে না। তার আর করিতা পাঠ হলো না।
মসনুদের আরপিননগরে’র তালুকদার বাড়িতে নিরন্তর আমার যাতায়াত ছিল । হাই স্যারে’র ঘর অতিক্রম করে মসনুদের ঘরে যেতে হত। বাড়ির পূর্বদিকে পুকুর। পুকুরের পশিম পাড়ে রাস্তার পাশে পূর্ব মুখী ঘরে স্যারকে দেখতাম জানালার পাশে বসা। বইয়ের মধ্যে ডুবে আছেন। ঘরে মেহগনি রংগের বার্নিশ করা বুকসেলফ গুলো ছোটবড় বই-ঠাসা। ব্যক্তিগত সংগ্রহে সুনামগঞ্জে এত বইয়ের সংগ্রহ কারো ছিলো আমার জানা নাই। যার সংগ্রহে এত বই তিনি নির্ঘাত পন্ডিত ব্যক্তি না হয়ে পারেন না। হাই সাহেব দেখতে গুরু গম্ভীর মানুষ হলেও তাঁর ভিতরে একটা কোমল মন ছিল। অন্যের উপকারে কোমল মন তার সর্বদা সচেষ্ট থাকতো।
১৯৭৪ সালের প্রথম দিকে “কতিপয় সাহিত্য সেবীর” উদ্যোগে এবং তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদের সহযোগিতায় আমরা মরমী কবি হাসন রাজা স্মৃতি উৎসব উদযাপন করি। জনাব আবদুল হাই কে উদযাপন কমিটির সভাপতি ও জনাব জয়নুল জাকেরিন কে সেক্রেটারী করে হাসনরাজা স্মৃতি উৎসব উদযাপন কমিটি গঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় ‘হাসন রাজা স্মৃতি’র’ উপর প্রবন্ধ লিখে আমি দ্বিতীয় হই। আবদুল হাই স্যারের দস্তখত সম্বলিত একখানা প্রসংশা পত্র আজো আমার সংগ্রহে স্মৃতি হয়ে আছে। সে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন ড,মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ও মুস্তফাজামান আব্বাসী সহ তৎকালীন মন্ত্রী সভার সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এম কুরবান আলি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদের মতো বিশিষ্টজনেরা। অনুষ্ঠানে উপলক্ষে আব্দুল হাই মরমী কবি হাসনরাজার উপর একখানা গ্রন্থ রচনা করেন । সে সময় তিনি স্বঘোষিত নাম ‘হাসন পছন্দ’ ধারণ করে আলোচনায় আসেন।
স্বাধীনতা পর সিদ্ধান্ত নিলেন ‘সুনামগঞ্জ পৌরসভা’ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ছিলেন দেওয়ান ওবায়দুর রেজা চৌধুরী। হাই সাহেবের প্রতীক ছিল হারিকেন। আমরা রাতের হারিকেন জ্বালিয়ে মিছিল দিয়ে পাড়া মহল্লায় বাড়িবাড়ি ঘুরে প্রচারনা চালালাম। শ্লোগান ছিল,চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল হাই,হারিকেনে ভোট চাই। নির্বাচনে আমরা সফল হতে পারিনি। এর পর থেকে কোন এক অভিমানে হাই স্যার রাজনীতির মাঠে নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েন। মনে হল স্বেচ্ছায় রাজনীতি থেকে নির্বাসন নিয়েছেন। এর আগে দীর্ঘদিন শহরের এইচ এম পি হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর আমলেই এইচএমপি স্কুল জুনিয়র স্কুল থেকে হাই স্কুলে রূপান্তরিত হয়।
আব্দুল হাই স্যারকে দেখেছি কখনও নাট্য মঞ্চে, কখনও সাহিত্যের আড্ডায় আবার কখনো সাংবাদিকতায়। সুনামগঞ্জের অনেক নামি দামী সাংবাদিকরা তাঁর হাত ধরে প্রতিষ্টা পেয়েছেন। পুরো জীবনটা তিনি বিলিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে। সমাজ তথা দেশের যুব সমাজকে জাগিয়ে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছেন। সাহিত্য ও সংষ্কৃতির ক্ষেত্রে যার পারদর্শিতার কথা সর্বজন স্বিকৃত। প্রতিভাবান এই মানুষটি কেন শিক্ষকতা পেশা ছাড়া অন্য কিছু করার কথা ভাবেননি? মনে প্রশ্ন জাগে।
হাই স্যারে’র তিন মেয়ে ও দুই ছেলে। পুত্রদের একজন কৈশোর বয়সে অন্যজন আতুর ঘরেই মারা যায়। পুত্র শোকে শেষ বয়সে মানষিক ভাবে তিনি ভেঙ্গে পরেন। এক সময় তাঁর মধ্যে কিছুটা উদাসিনতা ও ভাববাদের পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। আব্দুল হাই স্যার মরমী হাসন রাজার গান নিয়ে গবেষনা করেছেন। মরমী হাসন রাজার আধ্যাত্মিক চিন্তা ধারায় তিনি প্রভাবিত ছিলেন। মাটির পিঞ্জিরার মাঝে, উতলা বাতাসে সহ বিভিন্ন নামে হাসনরাজার গান নিয়ে তিনি বেশ কিছু বই প্রকাশ করেন। নিজেও অনেক গান রচনা করেন। তার লেখা গানের কয়েকটি পান্ডুলিপি এখনও অপ্রকাশিত রয়েগেছে।
বিশাল গুণের অধিকারী এই মানুষটি আমাদের হীনমন্য সমাজে বিন্দুমাত্র সমাদর পাননি। সর্বদাই তাঁকে হেয় করার অপচেষ্টা চলেছে। তিনি কখনও করো কাছে নতি স্বিকার করেননি। এ সমাজে যারা তেলমর্দনে পারদর্শি তারাই আজ উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত। তারাই সমাজের হর্তাকর্তা। লেখক-কবি,গল্পকার,সাংবাদিক প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
২২৩ বার