বার্তা ডেক্স :: করোনাকালে অনলাইনে সম্পন্ন হওয়া দুই সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষার টিউশন ও পরিবহন ফি মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ে বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল থেকে অনার্স শেষ বর্ষ ও মার্স্টাসের পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে পাচঁ দফা দাবি নিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে বিশ^বিদ্যালয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার বিকেলে শাহজালাল বিশ^বিদ্যালয় প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির সাথে মত বিনিময় সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান।
উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনা মহামারীর সময় আমরা অন্যান্য বিশ^বিদ্যালয়ের আগে অনলাইন পাঠদান কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। ইতিমধ্যে চলতি বছরের দুই সেমিস্টার অনলাইনে সম্পন্ন হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেক শিক্ষার্থী আর্থিকভাবে সংকটে রয়েছে। তাই আমরা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি শিক্ষার্থীদের চলতি বছরের দুই সেমিস্টারের টিউশন ও পরিবহন ফি মওকুফ করবো। যাদের খুব বেশি সমস্যা তারা দুই সেমিস্টারের ক্রেডিট ফিসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক ফি পরিশোধ না করে পরীক্ষা দিতে পারবে। পরবর্তীতে পরিশোধ করলে কোনো ধরনের জরিমানা দিতে হবে না। এছাড়া কোর্স রেজিস্ট্রেশনের জন্য সংশ্লিষ্ট আবাসিক হলের ছাড়পত্র প্রয়োজন হবে না। ইতিমধ্যে যেসব শিক্ষার্থী টিউশন এবং পরিবহন ফি জমা দিয়েছে তাদেরকে টাকা ফেরত দেওয়া হবে। তবে, শিক্ষার্থীদেরকে সনদপত্র উত্তোলনের আগে এই সব ফি পরিশোধ করতে হবে।
উপাচার্য আরও বলেন, আবাসিক হল বন্ধ রাখা ইউজিসির সিদ্ধান্ত। আমরা ইচ্ছে করলে হল খোলতে পারবো না। ছাত্রীদের আবাসনের বিষয়ে আমরা বিভাগগুলোকে দায়িত্ব দিয়েছি। বেশকিছু বিভাগ থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান। এ সময় উপাচার্য প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানান এবং বিশ^বিদ্যালয়ের উন্নয়নে এক সাথে কাজ করার কথা বলেন।
মতবিনিয়ম সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ^বিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার, প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি জুবায়ের মাহমুদ, সহ-সভাপতি রাজিব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আল রাজী, যুগ্ম সম্পাদক জিএম ইমরান হোসেন, কোষাধ্যক্ষ নাজমুল হুদা, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লা আল মাসুদ, সদ্য সাবেক সভাপতি হোসাইন ইমরান, সহ-সভাপতি আরাফ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী কবীরসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
উল্লেখ্য, আগামী বছরের ১৭ জানুয়ারি থেকে অনার্স ৪র্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা পর থেকে অফলাইনে রিভিউ ক্লাস নেওয়া, শতভাগ উপস্থিতি নম্বর প্রদান করা, সকল ধরনের ফি ৭০% মওকুফ, শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক, মানসিক এবং স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিশ্চিত করে সকল আবাসিক হল খুলে দেওয়া এবং প্রশাসনকে সকল শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা পৃথকভাবে তিনটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। এছাড়া দাবিসমূহ মেনে নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা গত মঙ্গলবার ও আজ বুধবার সন্ধ্যায় বিশ^বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক এলাকায় মশাল মিছিল করেছেন।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৫০ বার