বার্তা ডেক্সঃঃলরাজধানীর কলাবাগানে মাস্টারমাইন্ড শিক্ষার্থী আনুশকা নুর আমিনের সঙ্গে বিকৃত যৌনচার করা হয়েছে। ফরেনসিক চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার পায়ু পথ ও যৌনাঙ্গ দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদের নেতৃত্বে নিহত আনুশকা নুর আমিনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্ত শেষে ডা. সোহেল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ধর্ষণের ফলে যৌন ও পায়ু পথে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে মৃত্যুর আগে তাকে চেতনানাশক কিছু খাওয়ানো হয়েছে কি-না তা এখনই বলতে পারেননি ফরেনসিক চিকিৎসকরা। এজন্য প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে বয়স নির্ধারনের জন্য প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করা হয়। ধর্ষণের পর হত্যার এই ঘটনায় আনুশকার বন্ধু তানভীর ইফতেফার দিহানকে (১৮) আসামি করে কলাবাগান থানায় মামলা করেন নিহতের পিতা আলামিন। ধর্ষণের পর হত্যার দায় স্বীকার করে আজ দুপুরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে দিহান। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের এসি আবুল হাসান জানান, পরিবারের সবাই বাইরে থাকার সুযোগে পূর্বপরিচিত ওই স্কুলছাত্রীকে দিহান তাদের ডলফিন গলির ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এরপরই মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়লে তাকে আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় দিহান। কিশোরীর শরীর থেকে তখনও রক্ত ঝরছিলো। খবর পেয়ে দিহানকে আটক করে পুলিশ।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn