বার্তা ডেস্ক:এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে জাতীয় দলকে চারটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলানোর পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন। জাতীয় দলের প্রধান কোচ মাহবুব হারুনের চাওয়া অনুযায়ী ফেডারেশন প্রস্তুতি ম্যাচের প্রতিপক্ষ ঠিক করার কাজ শুরু করেছে। রোববার বিকেলে জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ৩২ খেলোয়াড় রিপোর্ট করবেন কোচ মাহবুব হারুনের কাছে। দলের আবাসন ব্যবস্থা করা হয়েছে মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে। পরের দিন খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ ও দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার করোনা পরীক্ষা করানো হবে। কারও ফলাফল পজিটিভ হলে তাদের বাদ দিয়ে বাকিদের নিয়ে অনুশীলন হবে। এশিয়ার হকির সবচেয়ে মর্যাদার আসর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। যেখানে এশিয়ার শীর্ষ ৬টি দেশ অংশ নেয়। আয়োজক হওয়ার সুবাদে এই প্রথম এই টুর্নামেন্টে খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী ১১ থেকে ১৯ মার্চ ঢাকার মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে হবে টুর্নামেন্ট।
ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশ। বোঝাই যাচ্ছে, এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের ভালো ফলাফল করার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে ঘরের মাঠের এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দল যাতে ভালো খেলা উপহার দিতে পারে, সেজন্য প্রস্তুতির ঘাটতি রাখতে চায় না ফেডারেশন। ‘টুর্নামেন্টের আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলছে না এশিয়ার এমন কোনো দেশের সঙ্গে আমি চারটি প্রস্তুতি খেলতে চাই, সেটা ফেডারেশনকে জানিয়ে দিয়েছি। দেশের নামও প্রস্তাব করেছি। চীন হতে পারে প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য সবচেয়ে ভালো দল। চীনের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে ফেডারেশন। আশা করি, দলটির বিপক্ষে ৪ ম্যাচের একটা সিরিজ হবে’-বলেছেন জাতীয় হকি দলের প্রধান কোচ মাহবুব হারুন।
ফেব্রুয়ারির মাঝমাঝিতে ম্যাচগুলো হওয়ার সম্ভাবনা আছে। মাহবুব হারুন বলেছেন, ‘আমরা কয়েকদিনের মধ্যেই অনুশীলনে নেমে পড়ছি। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে সিরিজ শুরু হলে আমরা এক মাস অনুশীলন শেষে খেলোয়াড়দের পরীক্ষা করতে পারবো। আমি ফেডারেশনকে মধ্য ফেব্রুয়ারিতে ম্যাচগুলো করার কথা বলেছি। আশা করছি সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সেভাবেই হবে।’ প্রথমে এই টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা ছিল গত বছর অক্টোবরে। করোনাভাইরাসের কারণে পিছিয়ে চলে আসে ২০২১ সালে। কোচ মাহবুব হারুন ক্যাম্পের জন্য যে ৩২ জন খেলোয়াড় ডেকেছেন, তার মধ্যে ১৮ জনই অনূর্ধ্ব-২১ দলের। যে দলটি খেলবে ১ থেকে ১০ জুলাই ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য যুব এশিয়া কাপে।
বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ মালয়েশিয়ার বিপক্ষে
টুর্নামেন্ট হবে রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে। প্রত্যেক দেশ পরস্পরের বিপক্ষে খেলার পর হবে স্থান নির্ধারণী ম্যাচে। বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ খেলবে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে। প্রথম রাউন্ডে প্রতিদিন তিনটি করে ম্যাচ হবে। ১১ মার্চ বিকেল সাড়ে ৩টায় উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে জাপান ও ভারত। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সন্ধ্যা ৬টায় মালয়েশিয়ার বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। দিনের শেষ ম্যাচে কোরিয়া-পাকিস্তান খেলবে রাত সাড়ে ৮টায়। বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে ১২ মার্চ ভারতের বিপক্ষে, তৃতীয় ম্যাচ ১৩ মার্চ জাপানের বিপক্ষে, চতুর্থ ম্যাচ ১৫ মার্চ দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে এবং পঞ্চম ম্যাচ ১৬ মার্চ পাকিস্তানের বিপক্ষে। স্থান নির্ধারণী ও সেমিফাইনাল ম্যাচ হবে ১৮ মার্চ। ১৯ মার্চ সন্ধ্যা ৬টায় তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ এবং রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হবে ফাইনাল।
ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ৩২ খেলোয়াড়
গোলরক্ষক: অসীম গোপ, আবু সাইদ, বিপ্লব কুজুর ও নুরুজ্জামান নয়ন। রক্ষণভাগ: আশরাফুল ইসলাম, ফরহাদ আহমেদ , সোহানুর রহমান, মেহেদি হাসান, রেজাউল করিম, মনোজ বাবু, শফিউল আলম, খোরশেদুর রহমান, সারোয়ার মোর্শেদ ও খালেদ মাহমুদ। মধ্যমাঠ: সারোয়ার হোসেন, রোমান সরকার, নাইমুদ্দিন, ফজলে হোসেন, হাসান যুবায়ের নিলয়, আবেদ উদ্দিন ও রাজু আহমেদ। আক্রমণভাগ: রাসেল মাহমুদ জিমি , মিলন হোসেন, মইনুল ইসলাম কৌশিক, আরশাদ হোসেন, মাহবুব হোসেন, দ্বীন ইসলাম, রকিবুল হাসান, পুস্কর ক্ষীশা মিমো, রাজীব দাশ, মোহাম্মদ মহসিন ও দেবাশিষ কুমার।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৬১ বার