সুনামগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মাইকে প্রচারণা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী পৌরবাসীকে শব্দদুষণ থেকে বাঁচাতে তাঁরা এই উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী নাদের বখ্ত এবং বিএনপির মেয়র প্রার্থী মুর্শেদ আলম। মাইকিং বন্ধ করার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ পৌরবাসী। পৌরসভার ভোটার মেহেদী হাসান লিটন বলেন, আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থীসহ অনেক কাউন্সিলর প্রার্থীই জনস্বার্থে মাইক ব্যবহার করছেন না, তাঁদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই আমরা।
জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শামসুল আবেদীন বলেন, সুনামগঞ্জ পৌরসভা নিবার্চনে দুই মেয়র প্রার্থী মাইকে প্রচারণা থেকে বিরত রয়েছেন। এটি একটি ভালো উদ্যোগ। পৌরবাসী স্বস্তি পেয়েছে। মাইকিং এ বয়স্ক লোক ও শিশুদের বেশি সমস্যা হয়। নাগরিকদের শব্দ দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে দুই মেয়র প্রার্থী অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। মেয়রপ্রার্থী এবং যে সকল কাউন্সিলর প্রার্থী মাইকে প্রচারণা বন্ধ রেখেছেন তাদের অভিনন্দন জানাই। আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী নাদের বখত বলেন, করোনার কারণে এমনিতেই মানুষ বিপর্যস্ত। বিশেষ করে বয়ষ্করা করোনায় গৃহবন্দি থাকায় মানসিক অবসাদে আছেন। প্রচারণার জন্য আমাকে তিনটি মাইক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। আমি নাগরিকদের শব্দদূষণ থেকে রক্ষা করতে মাইকের প্রচারণা থেকে বিরত রয়েছি।
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মুর্শেদ আলম বলেন, শব্দ দূষণে যাতে পৌরবাসীর সমস্যা না হয়, সেজন্য মাইক দিয়ে প্রচারণা বন্ধ রেখেছি। লিফলেট বিতরণ এবং ক্যাম্পইন চলবে। আমি মানুষকে কষ্ট দিতে চাই না, মানুষের মনের ভিতরে থাকতে চাই। আশা করি নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয় হবে। আগামী ১৬ জানুয়ারি সুনামগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে শহর জুড়ে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থীরা। গত ৩০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে শুরু হয় প্রচারণা। পোস্টার টাঙানো, লিফলেট বিতরণ সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচারণা চলছে। নির্বাচনে ৩ জন মেয়র প্রার্থী, ৪৮ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ১৩ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর সহ মোট ৬৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এর আগে নাগরিকদের শব্ধদুষণের যন্ত্রণা থেকে রক্ষা করতে ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মাইকে প্রচারণা বন্ধ করেন ওয়ার্ড কাউন্সিলররা।