ফেসবুকের নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারীর পেজের পোস্ট দ্বিতীয়বারের মতো ডিলিট করে দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, তার পেজ ২৪ ঘণ্টার জন্য ব্লকও করা হয়। পেজ অ্যাক্টিভ হওয়ার পর আজহারী অভিমান করে লিখেছেন, ‘ভাবছি, এখন থেকে ফুল, পাখি আর লতাপাতা নিয়ে স্ট্যাটাস দিবো। তাহলে আর তাদের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডের এগেইনস্টে যাবে না।’
জনপ্রিয় এই ইসলামী বক্তা কী বিষয়ে পোস্ট দিয়েছিলেন, তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে ফেসবুকের নীতিমালা অনুযায়ী বেশ কিছু বিষয়ে লেখালেখি করা যায় না। এর মধ্যে আছে ধর্মীয় ও জাতিগত বিদ্বেষমূলক লেখা, ভুয়া সংবাদ, মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন, কাউকে হেয় করা, বিপজ্জনক হতে পারে এমন আধেয়, সহিংসতা বা উগ্রতা উসকে দিতে পারে এমন কিছু বা অপরাধের প্রচারসহ ২৫ ধরনের পোস্ট। ব্লক উঠিয়ে নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার (১৪ বৃহস্পতিবার) দিনগত রাতে মালয়েশিয়ায় অবস্থানকারী আজহারী নিজেই আরেকটি পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পোস্টটি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ডিলিট করার পর অনুসারীরা নানাভাবে আজহারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আলাদাভাবে জবাব না দিয়ে পেজ ফিরে পাবার পর ফেসবুকেই এর ব্যাখ্যা দেন তিনি। তার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো: ‘অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে, “আপনার সর্বশেষ পোস্টটি আপনার পেইজে এখন আর দেখা যাচ্ছে না কেন”? “পোস্টটি কি আপনি ডিলিট করে দিয়েছেন”?
আসলে, ফেইসবুক অথোরিটি নিজেই দ্বিতীয় বারের মতো, আমার গত পরশু রাতে দেয়া পোস্টটি ডিলিট করে দিয়েছে। পোস্টটির লেখাগুলো নাকি তাদের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডের এগেইনস্টে যায়। পাশাপাশি, এবার ফেইসবুক— ২৪ ঘন্টার জন্য আমার পেইজ এক্টিভিটিও টেমপোরারিলি ব্লক করে দিয়েছিল। কিছুক্ষণ আগে সেটা এক্সপায়ার করেছে। কবে না জানি আবার পেইজটাই ডিলিট করে দেয়! ভাবছি, এখন থেকে ফুল, পাখি আর লতাপাতা নিয়ে স্ট্যাটাস দিব। তাহলে আর তাদের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডের এগেইনস্টে যাবে না।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয় মিজানুর রহমান আজহারী। গত কয়েক বছর ওয়াজ মাহফিলে বক্তব্য দিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তিনি। বিভিন্ন সময়ে ধর্মীয় বিষয়ে বেশ কিছু আপত্তিকর বক্তব্য দিয়ে একাংশের রোষেও পড়েছেন তিনি। আর এ জন্য পরে ফেসবুকে এসে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ২০২০ সালের শুরুতে তিনি বাংলাদেশ ছেড়ে মালয়েশিয়ায় চলে যান। সেখান থেকে মূলত সামাজিক মাধ্যমে তার বক্তব্য প্রচার করছেন।-পূর্বপশ্চিমবিডি
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৮৮ বার