বার্তা ডেক্সঃঃরোহিঙ্গাদের জন্মসনদ দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সুনামগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও সাবেক প্যানেল মেয়র হোসেন আহমদ রাসেলকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত সোমবার (২৫ জানুয়ারি) অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালতের বিচারক কুদরত ই এলাহির আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। এরআগে আদালতে হাজির হয়ে তিনি জামিন প্রার্থনা করেন। গত বুধবার সুনামগঞ্জ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত একই মামলায় সুনামগঞ্জ পৌরসভার বর্তমান মেয়র নাদের বখত, সাবেক প্যানেল মেয়র হোসেন আহমেদ রাসেলসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়না জারি করেন। তবে পরদিন বৃহস্পতিবার মেয়র নাদের বখতসহ দুইজন একই আদালত থেকে জামিন নেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল সুনামগঞ্জ জেলা পাসপোর্ট অফিসে নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে পাসপোর্ট করতে আসেন দুই রোহিঙ্গা নাগরিক। তারা দুজনই সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার চারজন ব্যক্তির সহায়তায় সুনামগঞ্জে আসেন। ঘটনার দিন সকালে পাসপোর্ট করতে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে আসলেও বিকেলে ছবি তোলা ও আঙ্গুলের ছাপ দিতে পাসপোর্ট কার্যালয়ে গেলে তাদের কথাবার্তায় পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। পরে দুই রোহিঙ্গা ও তাদের সহযোগী চার ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দেন তারা। ওইদিনই প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে জামালগঞ্জ উপজেলার তেরানগর গ্রামের মো. ফরহাদ আহমদ (৩৬), রামনগর গ্রামের মো. নূর হোসেন (২৩), সুজাতপুর গ্রামের মো. জসিম উদ্দিন (২৪) ও আমির উদ্দিনকে (২৩) আসামি করে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিন্নাতুল ইসলাম তালুকদার।
পরবর্তীতে রোহিঙ্গা ও চারব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা সুনামগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও সাবেক প্যানেল মেয়র হোসেন আহমদ রাসেলের সুপারিশে পৌরসভা থেকে জন্ম সনদ নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। পরবর্তীতে দীর্ঘ তদন্ত শেষে গেল ২১ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এসময় এজহারভুক্ত চার আসামি ছাড়াও তদন্তে ৫ ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুনাগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) একেএম জালাল উদ্দিন বলেন, ‘ভুয়া জন্মসনদ দেওয়ার মামলায় তদন্ত শেষে পাঁচজনের নাম অভিযুক্ত করি। সেখানে সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়রও রয়েছেন। আমরা জন্ম সনদে পৌরসভার মেয়র নাদের বখত ও ওই সময়ের প্যানেল মেয়র হোসেন আহমেদ রাসেলের স্বাক্ষর পেয়েছি এবং এঘটনায় আরও ৩ জনের জড়িত থাকার প্রমাণও আমরা পেয়েছি।’ সুনামগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক সেলিম নেওয়াজ জানান, ‘সে বিজ্ঞ আদালতে জামিন চাইলে আদালত জামিন মঞ্জুর না করে হোসেন আহমদ রাসেলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৯৬ বার