নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তাহিরপুরে পর্যটকদের ঢল, বাড়ছে ঝুঁকি
করোনা সংক্রমণ বাড়ায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে এমন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই এই উপজেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ভিড় করছেন পর্যটকরা। স্বাস্থ্যবিধিও মানছেন না তারা। ফলে করোনা সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
জানাযায়,উপজেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়তে পারে ও সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসেবে গত বছরের মার্চ মাসে করোনা ভাইরাসের শুরুতেই টাংগুয়ার হাওরসহ পযটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের সমাগমে নিষেধাজ্ঞা জারি করে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। তখন পর্যটনস্পটগুলো ফাঁকা থাকলেও এখন আবারও পর্যটকরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তাহিরপুরে বেড়াতে আসছেন। উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওর, =মেঘালয় পাহাড় ঘেঁষা শহীদ সিরাজ লেক, যাদুকাটা নদী, বারেকটিলা, শিমুল বাগানসহ বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় প্রতিদিনই পর্যটক-দর্শনার্থীরা বেড়াতে আসছেন। সড়ক পথের পাশপাশি ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর থানা এলাকা দিয়ে ইঞ্জিন চালিত নৌকা দিয়ে টাংগুয়ার হাওর, শহীদ সিরাজলেক, শিমুল বাগান, পাহাড়ী ছড়াসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে পর্যটকরা প্রবেশ করছেন দলবেঁধে।
শিমুল বাগানের পাশের মানিগাও গ্রামের বাসিন্দা জহির মিয়া জানান, করোনা সংক্রমনের শুরুতেই প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী শিমুল বাগানে পর্যটকদের প্রবেশ নিশিদ্ধ করে বাগানের গেইট বন্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু শিমুল বাগানে করোনা পরিস্থিতির নিষেধ থাকারপরও পর্যটক ও স্থানীয় প্রতৃতি প্রেমীদের জনসমাগম বাড়ছেই। শহীদ সিরাজ লেকের পাড়ে ভ্রাম্যমান দোকানী শরিফুল জানান, করোনার কারনে অনেকদিন পর্যটকদের আগমন বন্ধ ছিল। এখন আবারও আসতে শুরু করেছে। পর্যটকরা মোটর সাইকেল ও নৌকায় আসছেন। তবে নদী ও হাওরের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নৌকায় আসছে বেশী। আর শুক্রবার পর্যটক সমাগম বেশী হয়।
মটরসাইকেল দিয়ে যাত্রী পরিবহন করেন হারুন মিয়া। তিনিসহ অনেকেই জানান, আগের মত আর পর্যটক আবারও আসতে শুরু করেছে। অনেকেইে মধ্যনগর দিয়ে সীমান্ত এলাকা দিয়ে আসছে মোটর সাইকেলে আবার অনেকেই নৌকা নিয়ে আসছেন। টাংগুয়ার হাওর পাড়ের বাসিন্দা সাজিদুর মিয়াসহ অনেকেই জানান, হাওরে এখন প্রতি দিনেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকগন আসছে ইঞ্জিন চালিত নৌকা দিয়ে। তারা কেউই মানছে না করোনার স্বাস্থ্য বিধি।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান জানান, করোনা ভাইরাস পার্দুভাবের শুরুতেই পর্যটকদের থাকা ও অবস্থান নিরুৎসাহিত করতে উপজেলা সদর,বাদাঘাট,ট্যাকেরঘাটসহ বিভিন্ন স্থানের আবাসিক হোটেল মালিকদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে যেন কোন পর্যটন এখানে এসে থাকতে না পারে। এছাড়াও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পর্যটক পরিবহন যানবাহন জব্দ,চালক মালিকদের পর্যটক পরিবহন না করতে নিষেধ করা হয়েছি। নির্দেশ অমান্যকারীদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান কবির জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের শুরুতেই উপজেলায় পযটকদের আগমন ও পর্যটক পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পরির্বতী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা এখনও বলবত আছে। এই বিষয়ে কঠোর নজরধারির মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।