চান মিয়া-

ছাতকে নিরীহ লোকজনের উপর একের পর এক মিথ্যাও সাজানো মামলা দায়েরের পর অবশেষে চৌকস পুলিশের হাতে ধরাশায়ি হয়েছেন বিয়ে পাগল মাহবুব লন্ডনীর পরিত্যাক্তা স্ত্রী শাপলা বেগম। মামলার তদন্তে তার বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ভাড়াটে বাদি সাজার চাঞ্চল্যকর তথ্য বের করেছে পুলিশ। জানা যায়, দোলারবাজার ইউপির মঈনপুর গ্রামের শুকুর আলীর মেয়ে শাপলা বেগমের বিয়ে হয় কুর্শি গ্রামের বিয়ে পাগল মাহবুব লন্ডনীর সাথে। ২০১৫সালের ১২নভেম্বর শাপলা বেগমসহ একই সাথে চার স্ত্রীর নামে ছাতক পৌরসভা মেয়র বরাবরে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে তালাক দেয় মাহবুব। তালাকনামায় স্বামী মাহবুবের কলামে স্বাক্ষর দেয় প্রতারক আব্দুল্লাহ। এদিকে মাহবুবের ছোট বোন লিপি বেগমের স্বামি হাসনাবাদ গ্রামের খালেদ আহমদের সাথে মাহবুবের সম্পদের ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে বিরুধ দেখা দেয়। তাদের এ পারিবারিক বিরোধে মাহবুব টাকার বিনিময়ে শাপলাকে ভূঁয়া স্ত্রী পরিচয়ে থানাও আদালতে একের পর এক মিথ্যা মামলার ভাড়াটে বাদি সাজানো হয়। সর্বশেষ ২০১৬সালের ৬নভেম্বর মঈনপুর গ্রামের একটি বলাৎকারের ঘটনায় খালেদও রাজনের বিরুদ্ধে শাপলা বাদি হয়ে থানায় মামলা (নং ৯, তাং ১১.১১.২০১৬ইং) দায়ের করা হয়। পরে থানার চৌকস পুলিশ অফিসার এসআই সফিকুল ইসলামের তদন্তে বেরিয়ে পড়ে শাপলার থলের বেড়াল। গত ২০১৬সালের ৩১ডিসেম্বর দেয়া থানার চুড়ান্ত রিপোর্টে (নং ৮০) বলা হয়, ২০১৬সালের ৬নভেম্বর রাতে মঈনপুর গ্রামে একটি ওরস চলাকালে শাপলার ভাই লুৎফুর রহমানসহ এলাকার ৩/৪জন বখাটে যুবক একই গ্রামের ওয়াহাব আলীর পুত্র রাগিব আলী (১০)কে বলাৎকার করে। পরে ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিন কুতুবের সভাপতিত্বে সালিশ বৈঠকে লুৎফুরসহ বলাৎকারের সাথে জড়িতরা গলায় জুতার মালা পরে গ্রাম ঘুরে আসার সিদ্ধান্ত হলে বখাটে লুৎফুর রায় অমান্য করে বৈঠক থেকে চলে যাবার অপচেষ্টা চালায়। এতে ধস্তাধস্তির সময় শাপলার পিতাও ভাইয়ের শরীর দরজায় লেগে সামান্য কেটে যায়। এতে শাপলা দু’জনকে ছাতক উপজেলা হাসপাতালে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঘটনাস্থল অপর একটি ইউনিয়নে দেখিয়ে ভাড়াটে বাদি সেজে খালেদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা মামলা রেকর্ড করে। কিন্তু শাপলাও লুৎফুরের মোবাইল ফোনের কল লিষ্ট পর্যালোচনায় দেখা যায়, ঘটনার সময় তাদের অবস্থান ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকলেও এজাহাকৃত আসামি খালেদ মিয়া ১৮কিঃমিঃ ও রাজন মিয়ার অবস্থান ছিল ১১কিঃমিঃ দূরে। এটি দায়েরে সাবেক ওসি আশেক সুজা মামুন মাহবুবের কাছ থেকে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নেন। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সফিকুল ইসলাম আসামি খালেদ মিয়াও রাজন তালুকদারকে অব্যাহতির জন্যে আদালতে আবেদন করেন। এরআগে একই আসামিদের উপর জিআর মামলা (১৪৮/২০১৬ইং) ও সুনামগঞ্জ নারীও শিশু আদালত বরাবরে কোর্টপিটিশন মামলা (নং ২৪২/০১৬ইং) দায়েরে ভাড়াটে বাদি সাজে শাপলা। সেই দু’টি ঘটনাও ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যাও সাজানো। এসআই সুহেল মোটা অংকের টাকায় মোবাইল কললিষ্টসহ মামলার গুরুত্বপূর্ন বিষয়াদি পর্যালোচনা না করে মিথ্যা চার্জশীট প্রদান করলে এটি প্রত্যাহারের দাবিতে সিলেট ডিআইজি মহোদয়সহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত আবেদন করা হয়। ফলে এখন সাবেক ঘুষখোর ওসি মামুন, এসআই সুহেল, বিয়ে পাগল প্রতারক মাহবুব লন্ডনী, ঘটক আব্দুল্লাহ ও ভাড়াটে বাদি শাপলা বেগম এখন চরম বেকায় পড়েছে বলে জানা গেছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn