রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বাণিজ্যিকিকরণ শিক্ষার গুনগত মানকে ক্ষতিগ্রস্ত করে পাশাপাশি মেধা বিকাশের পথকে বাধাগ্রস্ত করে। তাই শিক্ষার বাণিজ্যিকিকরণ বন্ধ করতে হবে। সার্টিফিকেট একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার স্বীকৃতি হলেও মূল লক্ষ্য হতে পারে না। আজকের ডিগ্রিপ্রাপ্তরা ডিগ্রির যথাযথ সম্মান এবং অর্জিত জ্ঞানকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজে লাগাবে বলেও আমি বিশ্বাস করি। বুধবার বিকালে ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে এসব কথা বলে রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট মো. আবদুল হামিদ।

রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, বাংলাদেশ আজ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু আজ কল্পনা নয়, তা বাস্তবতা। দেশ নিম্ন আয়ের স্তর থেকে নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের কাতারে উন্নীত হয়েছে। সরকার বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় কার্যকর, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করা, জঙ্গিবাদ দমন করে দেশকে সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে রূপকল্প ২০২১ এবং ২০৪১ অর্জনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সাফল্যের এই ধারাকে অব্যাহত রাখতে হলে আমাদের এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে জনশক্তিতে পরিণত করতে হবে। শিক্ষায় ও দক্ষতায় তাদেরকে আন্তর্জাতিক মানে গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও পরিবেশ এখনও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত হয়নি। প্রতিটি শিক্ষার্থী যাতে নির্ধারিত পাঠ্যসূচীর বাইরের সম-সাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানার্জন করতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তা নিশ্চিত করতে হবে। সমাবর্তনের অনুষ্ঠানে সূচনা সঙ্গীতের পর শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহিত উল আলম। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইমেরিটাস প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান। তারপরই রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর কর্তৃক ডিগ্রি ও স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে ১৩ শত ৯৯ জন গ্র্যাজুয়েট অংশগ্রহণ করেন এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সর্বোচ্চ নম্বরধারী ২৯ জন শিক্ষার্থীকে ৩২টি স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। পরে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn