আল-হেলাল,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের পরিচিত মুখ শহরের আরপিননগর তালুকদারবাড়ী নিবাসী সুনামগঞ্জ উপজেলার সাবেক প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমান সুফিয়ান (৫৯) করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
৬ জুলাই মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে সিলেটের একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৫৯ বছর। স্ত্রী পুত্র কন্যাসহ তিনি অগনিত গুনগ্রাহী আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন। সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগ নেতা ওয়াহিদুর রহমানের মৃত্যুতে পৃথক পৃথক বিবৃতিতে সুগভীর শোক প্রকাশ ও তার শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় হুইপ এডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক এমপি আলহাজ্ব মতিউর রহমান,জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নুরুজ্জামান চৌধুরী শাহী,সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত,জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমন,যুক্তরাজ্যস্থ সুনামগঞ্জ প্রবাসী সমিতি সুপ্রবাস এর সভাপতি ইমানুজ্জামান চৌধুরী মহী, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল,ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা কেয়া,ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আবুল হোসেন,সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কবি ফেরদৌসী সিদ্দিকা,দৈনিক সুনামগঞ্জ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক প্রকাশক আহমদুজ্জামান চৌধুরী হাসান ও সুরমা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা আমির হোসেন রেজাসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা।
উল্লেখ্য রাজনীতিবিদ ওয়াহিদুর রহমান সুফিয়ান ১৯৬২ ইং সনের ১লা ফেব্রæয়ারী শহরের দক্ষিণ আরপিননগর গ্রামের সৈকত ৬৭ নং বাসভবনে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম মরহুম সাজিদুর রহমান, মাতা মোছাঃ আছিয়া রহমান। ছাত্রজীবনে তিনি এসএসসি পাশের পর সুনামগঞ্জ কলেজে সক্রিয়ভাবে পদার্পন করেন ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতিতে। এইচ এস সি পাশ করার পর দায়িত্ব পালন করেন জেলা ছাত্র ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে রাজপথে থেকে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেল জুলুম হুলিয়া আলিঙ্গণ করেন। নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জনের মধ্যে দিয়ে লক্ষণশ্রী ইউনিয়ন পরিষদ এর ২ বারের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে অত্যন্ত সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ইং সনের ২২ জানুয়ারী সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসাবে সর্বাধিক ৮৩ হাজার ভোটে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সর্বশেষ তিনি সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য এবং সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিভিন্ন সময় জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সুনামগঞ্জ পৌরসভার জনপ্রিয় চেয়ারম্যান দেওয়ান মমিনুল মউজদীনের নেতৃত্বাধীন সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন এর আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে সামাজিক ও স্থানীয় জনগুরুত্বপূর্ণ গণদাবী বাস্তবায়ন আন্দোলনে পালন করেন গৌরবোজ্জল ভূমিকা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবীতে সুনামগঞ্জ শহরে মিছিলে অংশ নেওয়া, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও জেলা আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে জেলা সদরে যোদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে আন্দোলন কর্মসুচিতে অংশগ্রহণ এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ের সকল সাংগঠনিক কর্মসূচীতে ও সংগ্রামে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যাবতীয় কর্মসূচী বাস্তবায়নে তার প্রচেষ্টা ছিল অব্যাহত।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৩০১ বার