বাবা আব্দুল কাইয়ুম পাইলট ছিলেন। বাবাকে দেখেই পাইলট হওয়ার স্বপ্ন জাগে ছেলে নওশাদ আতাউল কাইয়ুমের। পাইলট হলেনও। শত শত যাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়ে ‘হিরো’ও বনে গেলেন। পেশাগত জীবনে বাবার সঙ্গে ছেলে নওশাদের যেমন মিল রয়েছে, দুজনেরই না ফেরার দেশে চলে যাওয়ার জায়গা ভারত! দুজনেরই মৃত্যু হলো প্রতিবেশী দেশটিতে। বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পাইলটস অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান জানান, ছয় মাস আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে নওশাদের বাবা আব্দুল কাইয়ুম মারা যান ভারতের কলকাতায়। সোমবার সকালে ক্যাপ্টেন নওশাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে।

রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্যাপ্টেন ছিলেন আব্দুল কাইয়ুম। তিনি ডিসি-১০ উড়োজাহাজের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময় ‘কোরিয়ান এয়ার’ এবং ‘সৌদি এয়ালাইন্সেও’ দায়িত্ব পালন করেন সিনিয়র এই পাইলট। চলতি বছরেই আব্দুল কাইয়ুম মারা যান। অন্যদিকে তার ছেলেও দেশের একমাত্র সরকারি বিমান পরিবহন সংস্থার ক্যাপ্টেন ছিলেন। বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজের ককপিটেই নিথর হয়ে পড়েন তিনি। তবে নওশাদ ও তার ফার্স্ট অফিসারের কারণে এবার জীবন রক্ষা পেয়েছে ওমান থেকে ঢাকার উদ্দেশে আসা ১২৪ যাত্রীর। তবে এটিই প্রথম নয়, পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালে আরেকটি দুর্ঘটনার হাত থেকে ১৪৯ যাত্রী আর সাত ক্রু’র জীবন বাঁচিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ। ২০১৭ সালে ক্যাপ্টেন নওশাদকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রশংসাপত্র পাঠায় আন্তর্জাতিক পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ক্যাপ্টেন রন অ্যাবেল।

ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম ১৯৭৭ সালের ১৭ অক্টোবর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০০২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে পাইলট হিসেবে যোগদান করেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn