এম.এ রাজ্জাক-সুনামগঞ্জের (মধ্যনগর, তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভপুর) তিন উপজেলার সীমান্তবর্তী ৫ লাখ মানুষের জেলা শহরে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম তাহিরপুর সীমান্ত সড়ক। বর্তমানে এ সড়ক দিয়ে এলাকাবাসী, যানবাহন ও আগত হাজারো পর্যটকদের চলাচলে দায় হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে তাহিরপুর সীমান্ত সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড়ী ঢলে ভেঙ্গে খালে পরিণত হয়েছে। তাহিরপুর উপজেলার তিনটি স্থল শুল্কষ্টেশন (বড়ছড়া, ছাড়াগাঁও–বাগলী), পর্যটন স্পট টাঙ্গুয়া হাওর, শহীদ সিরাজ লেক, বারেকটিলা, শিমুল বাগানে ব্যবসায়ী, পর্যটক ও এলাকাবাসীর যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম সীমান্ত সড়কটি এখন বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, জেলা সদর থেকে মোটরসাইকেল, সিএনজি ও অটোবাইকে এই সড়ক দিয়েই নেত্রকোনা জেলার কমলাকান্দা পর্যন্ত, ব্যবসায়ী, পর্যটক ও সীমান্তবাসী যাতায়াত করে থাকে। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে বর্ডারগার্ড বিজিবিসহ সীমান্ত বাসীর দুর্ভোগের শেষ নেই। সড়কের বেহাল দশার কারনে অসুস্থ রোগীদের এখন প্রতিনিয়ত বিপাকে পড়তে হচ্ছে। ভাঙ্গাচুড়া সড়কে চলাচল করতে গিয়ে ছোট বড় দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। সড়কটির বেশির ভাগ অংশে পিচ উঠে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সীমান্ত সড়কের চাঁনপুর, রজনী লাইন, লালঘাট, বাশতলা, রঙ্গাচড়াসহ কয়েকটি স্থান এবারের পাহাড়ী ঢলে ভেঙ্গে গেছে। পর্যটন স্পট বারেক টিলার উপরে পাহাড়ী আঁকাবাঁকা রাস্তাটি একেবারেই ভেঙ্গে তচনছ হয়ে পড়েছে। এছাড়া শহিদ সিরাজ লেকের সামনে এবং ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্পের (বর্তমানে বন্ধ) ওয়েটব্রীজের সামনে ও লাকমা বাজারের সম্মুখ সড়কে পাকা না থাকায় বৃষ্টিতে কাঁদা এবং গর্তের সৃষ্ট হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।