সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বদরুল আমীন তালুকদার (সেলিম) নামের এক যুবককে ধারালো ক্ষুরের আঘাতে হত্যার চেষ্টা করেছে প্রতিপক্ষরা। গত ২৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাত ৯টায় সদর উপজেলাধীন গৌরারং ইউনিয়নের টুকেরবাজারের ইনাতনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন গুরুতর জখমী অবস্থায় আহত বদরুল আমীন তালুকদার সেলিমকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহত বদরুল আমীন তালুকদার সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মুমিন তালুকদারের ছেলে।
গত ৪ বছর ধরে তিনি গৌরারং ইউনিয়নের টুকেরগাঁও গ্রামে স্বপরিবারে বসবাস করছেন। এ ঘটনায় ৪ সন্ত্রাসীকে আসামী করে আমলগ্রহনকারী জুডিসিয়েল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় গৌরারং ইউনিয়নের ইনাতনগর গ্রামের আলী হোসেন নিদান,আলী আহমদ, কয়েস এবং গোল আহমদকে আসামী করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত মামলাটিকে আমলে নিয়ে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসিকে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরনে জানা যায়, আলী হোসেন নিদান গত ৮ এপ্রিল সেলিমের কাছ থেকে একমাসের মধ্যে পরিশোধের শর্তে নগদ প্রথমে ৯০ হাজার ও ২য় দফায় ৭ হাজারসহ মোট ৯৭ হাজার টাকা কর্জ নেয়। কিন্তু এক মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও টাকা ফেরত না দেওয়ায় ঘটনার ব্যাপারে এলাকায় ৩ বার সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে নিদান সেলিমের কাছ থেকে টাকা কর্জ নিয়েছে বলে স্বীকারোক্তি প্রদান করলেও দেই দিচ্ছি করে সময় ক্ষেপন করে। ঘটনার দুইদিন আগে পাওনা টাকা নিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে পরিকল্পিতভাবে ঘটনার দিন ২৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাত ৮টার সময় আলী হোসেন নিদান, সেলিমকে টাকা পরিশোধের কথা বলে তার বাড়ি থেকে, নিদানের বাড়ীতে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানায়। এ খবরে সেলিম, নিদানের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে তাদের বাড়ির সামনে সরকারী রাস্তায় যাওয়ামাত্র পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা, সন্ত্রাসী নিদান ও তার ভাই ভাতিজারা ৪ জন মিলে সেলিমকে ধারালো ক্ষুরের আঘাতে তার বুকে এবং কাঠের রুইল দ্বারা পিটে গুরুতর জখম করে। আদালতে মামলাটি পরিচালনা করেন এডভোকেট ইসহাক উদ্দিন।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৩৮৯ বার