দিরাই থানার কুলঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এই জাবেদ সামস্ চৌধুরী (রাফি চৌধুরী) ১৯৭০ সালের ৭ই মার্চ জন্মগ্রহন করেন। ১৯৮৮ইং সিলেটের সৈয়দ হাতিম আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ১৯৯০ সালে সিলেট সরকারী কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। পরবর্তীতে স্নাতক অধ্যয়ন করতে গিয়ে পরিবারের হাল ধরার কারণে তার লেখাপড়া সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। তিনি ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ,পরবর্তীতে যুবলীগ ও বর্তমানে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে গভীরভাবে মিশে আছেন এবং প্রত্যেকটি সাংগঠনিক কর্মকান্ডে নিবেদিত থাকেন। তিনি দিরাই থানার কুলঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত।
গত সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে আওয়ামীলীগ মনোনিত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ড. জয়াসেন গুপ্তা এমপি, উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী প্রদীপ রায় ও দিরাই পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী বিশ্বজিৎ রায় বিশ্ব এর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন। সুনামগঞ্জ ২ নির্বাচনী এলাকা দিরাই-শাল্লা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ড. জয়াসেন গুপ্তা,সুনামগঞ্জ ৫ নির্বাচনী এলাকা ছাতক দোয়ারাবাজার থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি জননেতা এম মুহিবুর রহমান মানিক,জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক এমপি আলহাজ্ব মতিউর রহমান,নিউইয়র্ক আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি নুরুজ্জামান চৌধুরী শাহী,জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ব্যারিস্টার এম.এনামুল কবির ইমন, দিরাই থানা আওয়ামীলীগ এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট সোহেল আহমদ ছইল মিয়া ও থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বাবু প্রদীপ রায় এবং আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক বাউল আল-হেলাল শহীদ পরিবারের সন্তান রাফি চৌধুরীর সফলতা কামনা করেন।
রাফি চৌধুরীর পিতা শহীদ গোলাম রব্বানী চৌধুরীর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সাবেক এমপি আলহাজ্ব মতিউর রহমান বলেন, “৭১ এর ২৫ মার্চের আগে সারা দেশে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গঠণ করা হয়। আমি সংগ্রাম পরিষদ খিলগাও কমিটির সভাপতি ছিলাম। আমাকে সভাপতি ও আব্দুর রহমানকে সেক্রেটারী করে সংগ্রাম পরিষদের কমিটি গঠন করা হয়। আমরা রাস্তায় গাছ কেটে ফেলে রেখে ব্যরিকেড সৃষ্টি করি। যাতে পাক আর্মীরা অবাধে চলাফেরা করতে ব্যর্থ হয়। ছাত্রলীগ নেতা শাহজাহান সিরাজ ও সিরাজুল আলম খানগং পরিষদ গঠনে নেতৃত্ব দেন। এক রাতে সমসু ও তার বোনের জামাই সোনা মিয়াকে নিয়ে কমলাপুরের দিকে বেড়াতে যাই। গিয়ে দেখি কমলাপুর স্টেশনে আর্মি ভরপুর। সেখান থেকে ৩২ নম্বরে ফিরে জালাল ভাইকে বিষয়টি জানাই। পরে সিদ্বান্ত নেই আমিতো মার্কা মারা আমার ভাগ্না ছাড়াতো কোন উপায় নাই। কমলাপুর রেলস্টেশনে এসেই দেখি কুলঞ্জের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী চৌধুরী (রব্বানী ভাই) কে পাই। একই কম্পার্টমেন্টে আমরা দুজন ছিলাম। কুলাউড়া এসে দেখি ষ্টেশনে পানের দোকানে গুলি ছুড়ে এক দোকানদারকে মেরে ফেলেছে পাক আর্মিরা। চারদিকে শুরু হয়েছে ভয় আতংক। ভয়ে কম্পমান মানুষ গাড়ির নীচে গিয়ে লুকিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। দেখি ক্যাপ্টেন এজাজ পরবর্তীতে মেজর জেনারেল। গুলি আরম্ভ হতেই কুলাউড়ার এনামকেও রেল থেকে নামতে দেখি। পরের দিন সকালে ১৫০ টাকা ভাড়ায় একটা জীপ গাড়ি ভাড়া করে আমি ও রব্বানী ভাই ফেন্সুগঞ্জ কলোনীতে গেলাম। পরে রব্বানী ভাইর ফুফার বাড়ী বালাগঞ্জে তিনি চলে গেলেন।
আমি শেরপুর গিয়ে নৌকা ভাড়া করলাম। ঐসময় নৌকায় তল্লাসী চালায় পুলিশ। মাঝিরে পিস্তল দেখিয়ে বললাম নৌকা তীরে না ভিড়িয়ে যাতে সোজা ভাটির দিকে চলে যায়। আইলাম বাড়ীতে। পরে সুরঞ্জিতে খবর দিলো আমি তাড়াতাড়ি তার বাড়ীতে যাওয়ার জন্য। আমি লতিফ সর্দার,আব্দুল কদ্দুছ,আলতাব উদ্দিন,চান মিয়া প্রমুখদের নিয়ে স্বাধীন বাংলা সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ দিরাই থানার কমিটি গঠন করা হলো। আমরা রফিনগর এলাকায় বেলুচিদের কাছ থেকে বন্দুক উদ্ধার করে ব্রজেন্দ্র ডাক্তারের বাড়ীতে ট্রেনিং করাইয়া মাহমুদুর রসুল,কাইয়্যুম সিরাজ নুরুল সর্দারসহ অনেককেই ট্রেনিং এ পাটাই। এই সময় ইপিআরের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করলাম। এই উদ্ধার করা অস্ত্র দিয়ে আমরা ট্রেনিং পরিচালনা করে অনেক ছাত্র যুবককে ট্রেনিং দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যেতে উদ্বুদ্ধ করি।
পরে জানতে পাড়ি রাজাকার আলবদররা রব্বানী ভাইরে ধইর্যাং পাক বাহিনীর হাতে তুলে দিছে। এবং লঞ্চের মধ্যে হাতপা বাধা অবস্থায় বেয়নেট দিয়ে কুচিয়ে সমস্ত শরীরে গুরুতর জখম করে নির্মমভাবে খুন করেছে রব্বানী ভাইকে। রব্বানী ভাইর স্মৃতি কখনও ভূলার নয়”। এদিকে আওয়ামীলীগ সভাপতি সাবেক এমপি আলহাজ্ব মতিউর রহমানের কাছে পিতা ও ভাইয়ের স্মৃতিচারণের কথা শুনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন শহীদ পুত্র জাবেদ সামস্ চৌধুরী (রাফি চৌধুরী) ও তার চাচা আমেরিকা প্রবাসী আওয়ামীলীগ নেতা তোফায়েল আহমদ চৌধুরী। তারা আলহাজ্ব মতিউর রহমানের সাথে ফোনালাপ করে পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেন।
অন্যদিকে ১৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষে সুনামগঞ্জ শহরের বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করত: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক ব্যারিস্টার এম.এনামুল কবির ইমন এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রাফি চৌধুরী। এসময় জেলা আওয়ামীলীগ নেতা এডভোকেট নান্টু রায়,সুবীর তালুকদার বাপ্টু,মোঃ মোবারক হোসেন,এডভোকেট নুরে আলম সিদ্দিকী উজ্জল,এডভোকেট আব্দুল আজাদ রুমান,এডভোকেট হাসান মাহবুব সাদী,আতিকুর রহমান আতিক,মুহিবুর রহমান মুহিব ও জমিরুল হক পৌরভসহ আওয়ামীলীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৩১৯ বার