হাওরের পানিতে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের খনি থেকে আসা তেজস্ক্রিয় পদার্থ ইউরেনিয়াম মিশেছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের আরও একটি উচ্চ পর্যায়ের বিজ্ঞানী দল শনিবার রাতে সুনামগঞ্জ রওনা দিচ্ছেন। এরই মধ্যে আণবিক শক্তি কমিশনের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সুনামগঞ্জ পৌঁছেছেন।আণবিক শক্তি কমিশনের সর্বোচ্চ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সম্প্রতি রক্ষা বাঁধ ভেঙে কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জসহ বিস্তৃর্ণ হাওর এলাকা ডুবে যায়। ফলে কৃষকদের কয়েক হাজার কোটি টাকার ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত সপ্তাহে শুরু হয় মাছ ও হাঁসসহ জলজ প্রাণীর মড়ক। প্রাথমিকভাবে ধানগাছ পঁচে এমোনিয়া গ্যাস উৎপন্ন হবার কারণে মাছ ও জলজ প্রাণী মরছে বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু হাওরের পানিতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের খুব কাছাকাছি মেঘালয়ের একটি অসসম্পূর্ণ ইউরেনিয়াম খনি থেকে ইউরেনিয়াম মিশে গিয়ে ভয়াবহ বিপর্যয় হতে পারে- এই খবর প্রকাশের সাথে সাথেই নড়েচড়ে বসে সরকার।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এটমিক এনার্জি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ কমিশনের কয়েকজন সদস্য শুক্রবার রূপপুর বিদ্যুত কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে খবর জানতে পেরেই প্রাথমিকভাবে একটি প্রতিনিধি দলকে সুনামগঞ্জ পাঠানো হয়। এরপর শুক্রবার রাতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে আণবিক শক্তি কমিশনের একজন সিনিয়র সদস্য ও অভিজ্ঞ বিজ্ঞানীর নেতৃত্বে আর একটি দল হাওরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। কমিশন সূত্র জানায়, বিজ্ঞানীরা হাওর থেকে নানান নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার ল্যাবে এনে দ্রুত পরীক্ষা করে ইউরেনিয়ামের বিষয়টি নিশ্চিত হতে চান।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn