মঙ্গলবার (২ আগস্ট) হারারেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে জিম্বাবুয়ে প্রথম ৩ ওভারে তোলে ২৯ রান। পরে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। একের পর এক উইকেট হারিয়ে ১৪ ওভারে জিম্বাবুয়ের রান দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৭৬। এরপরই সেই বিস্ফোরক ওভার। তখনও পর্যন্ত ১৪ বলে ৯ রান নিয়ে ক্রিজে থাকা বার্ল হঠাৎ জ্বলে ওঠেন। সুনামগঞ্জের নাসুম আহমেদের একের পর এক বল উড়িয়ে আছড়ে ফেলতে থাকেন মাঠের নানা প্রান্তে। এক ওভারেই মারেন ৫ ছক্কা ও ১ চার। বদলে যায় ম্যাচের মোমেন্টাম। বেদম মারের ধারা চলতে থাকে পরের কয়েক ওভারও। লুক জঙ্গুয়ের সঙ্গে ৭৯ রানের জুটি গড়েন বার্ল স্রেফ ৩১ বলে। যে দলের ১০০ হওয়া নিয়ে ছিল টানাটানি, তারা করে ফেলে ১৫৬। রান তাড়ায় নাসুমের ১ ওভারে ১০ রানে হেরে সিরিজও হেরে যায় বাংলাদেশ।
৩৪ রান দেওয়া নাসুমের সেই ওভার ডুবালো বাংলাদেশকে। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের কাছে ১০ রানে পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ। এতে ১-২ ব্যবধানে জিম্বাবুয়ের কাছে সিরিজি হারলো সফরকারী বাংলাদেশ। এর আগের ৬ বার জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশের কাছে পরাজিত হয়েছে। কিন্তু সপ্তমবার এসে আর সিরিজটা নিজেদের কাছে রেখে দিতে পারলো না বাংলাদেশ।
নাসুমের সেই ওভার নিয়ে আক্ষেপ মোসাদ্দেকের। হারার পর সংবাদ সম্মেলনে মোসাদ্দেকের কণ্ঠে ফুটে উঠল ওই এক ওভার নিয়ে আফসোস। তিনি বলেন, হতাশ তো অবশ্যই (ম্যাচের ফলে)। প্রথম ১৪ ওভার পর্যন্ত আমরাই এগিয়ে ছিলাম খেলায়। একটি ওভারই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে, আমার কাছে যা মনে হয়েছে। হয়তো ওই ওভারে ২০ রান হলেও আমরা ম্যাচে থাকতাম।