রিপন চন্দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ৪ নং বেতগঞ্জ ফিডারের আওতাধীন এলাকা ষোলঘরের মানুষ বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে। লোডশেডিং সময় অনুযায়ী ঠিকই হচ্ছে। তার উপর সময়ের বাইরেও দিনে ৩-৪ ঘন্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকে না। একই ফিডারের বনানী পাড়া এলাকার জিহান জোবায়ের জানান, বেতগঞ্জ ফিডারে গত রাতে (৩ আগস্ট) ১১ টায় লোডশেডিং হয়েছে। সময় ছিলো রাত ৯ টা থেকে ১০ টা। তারপর মধ্যরাতেও শিডিউলের বাইরে বিদ্যুৎ ছিল না। ৪ তারিখে শিডিউল অনুযায়ী সকাল ৯-১০ টা বিদ্যুৎ ছিলো না। তারপর দিয়ে আবার শিডিউলের বাইরে ১২টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছল না। এভাবেই প্রত্যেকদিন চলছে। অফিসে ফোন দিলে সেই একই কথা বরাদ্দ নাই আর লাইনে ত্রুটি শুনতে শুনতে ভালো লাগে না। যে এলাকায় ত্রুটির জন্য অতিরিক্ত লোডশেডিং হয় সেই এলাকার লোডশেডিং শিডিউলে ওই সময়টুকু কমিয়ে সমন্বয় করলেই হয়ে যেতো।
১ নং বড়পাড়া ফিডারে (৩ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬-৭ টায় শিডিউল মোতাবেক লোডশেডিং করার পর রাতে আবার শিডিউলের বাইরে ৮টা ১৫ মিনিট থেকে ৯ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। রাতে ১১ টা থেকে ১২ টা আবার এক ঘন্টা লোডশেডিং হয়েছে শিডিউল মোতাবেক। গতকাল (৪ আগস্ট) সকালে আবার একই ফিডারে শিডিউলের বাইরে সকাল ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিলো না। এ ব্যাপারে বড়পাড়া এলাকার তামিম রায়হান বলেন, শিডিউল দিয়েও বিদ্যুৎ অফিস শিডিউল মানছে না। অসময়ে বিদ্যুৎ চলে গেলে ভোগান্তির মাত্রা বেড়ে যায়। অফিসে ফোন দিলেই বলে লাইনে কাজ চলছে বা মেইনটেনেন্স চলছে। এই যে লাইনের ত্রুটি বা মেইনটেনেন্সের জন্য অতিরিক্ত একটা সময় বিদু্যুৎ থাকে না, এই অতিরিক্ত সময়কে পরবর্তী লোডশেডিং সময়ের সাথে সমন্বয় করলেই আমাদের ভোগান্তি কমতো।
এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী সাকিব আহমেদ বলেন, আমাদের চাহিদার তুলনায় গ্রীড থেকে বিদ্যুতের লোড বরাদ্দ কমে গেলে অতিরিক্ত লোডশেডিং করতে হয়। অনেক সময় স্বাভাবিক সময়ের থেকেও বেশি চাহিদা হয়ে যায়। তখন অন্য আরেকটি ফিডার অফ রেখে সেইটা সমন্বয় করতে হয়। বিদ্যুৎ মেইনটেইন্স সময়ের সাথে লোডশেডিং সময়ের সমন্বয় ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মশিউর রহমান বলেন, আমরা প্রথম থেকেই এটা সমন্বয় করে আসছি। লোডশেডিংও সময়মতো হচ্ছে। তবে বর্তমানে আমি ছুটিতে আছি।-সোহানুর রহমান