একে কুদরত পাশা

পালাক্রমে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ রক্ষার কাজ করেও শেষ রক্ষা হলো না শনির হাওরের শনিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকেই হাওরের ঝালখালি (লালুয়ার গোয়ালা) বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। তবুও শেষ চেষ্টা চালিয়ে যান হাজারো কৃষক। মনেছা বেগম ও কামরুজ্জামান কামরুলের সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে রাতভর প্রাণপণ চেষ্টায় আশার আলো শেষ পর্যন্ত নিভেই গেল, তলিয়ে গেল হাওরের ১৮ হাজার হেক্টর বোরো ফসল। সুনামগঞ্জে আর কোন হাওরে ধান রইলো না। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, বিগত ২৫ দিন ধরে কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে হাওরের বাঁধগুলোতে রাত জেগে পালাক্রমে মাটি ভরাটের কাজ করে আসছিলাম। স্বেচ্ছাশ্রমেই এতদিন হাওরের সবকটি বাঁধ রক্ষা করেছিলাম। কিন্তু শনিবার মধ্যরাতে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় শেষ রক্ষা করা গেল না।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn