সিলেটের পাঠানটুলার যুক্তরাজ্য প্রবাসী হেলাল খান ও শান্তিগঞ্জের রণসি গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা আলী খান বললেন, সরকারের ভালো উদ্যোগগুলোর অন্যতম এই মসজিদ নির্মাণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা। এই মসজিদের নির্মাণ কাজে যারাই যুক্ত ছিলেন, তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এর আগে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সারাদেশের মডেল মসজিদ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখেন সুনামগঞ্জের বিশিষ্টজনেরা। এসময় জেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পচিালক জাকির হোসেন বলেন, সুনামগঞ্জ জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সুনামগঞ্জ শহরের মধ্যবর্তী এলাকার দৃষ্টিনন্দন পরিবেশে স্থাপন হয়েছে। ওই এলাকার সৌন্দর্য্য এই মসজিদের জন্য আরও বেড়েছে। প্রায় বারশ মুসল্লী এই মসজিদে একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন। ১০০ মহিলার নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা আছে এখানে। অটিজম কর্ণারসহ সকল সুবিধা এই মসজিদে থাকছে। ইসলামী মূল্যবোধের সুস্থ্য চর্চা হবে এখানে।
এদিকে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় ‘মডেল মসজিদ’ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভার্চুয়ালির মাধ্যমে দৃষ্টিনন্দন এ মসজিদের উদ্বোধন করেন। এদিন একযোগে দেশের আরো ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি উপজেলা সম্মেলন কক্ষে বড় পদায় দেখানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি প্রবীন রাজনীতিবিদ সিদ্দিক আহমদ, সুনামগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুরের সার্কেল) সুভাশিষ সরকার, জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক মেয়র মিজানুর রশিদ ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হোসেন লালন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মধু সুধন ধর, জেলা পরিষদের সদস্য মাহতাবুল হাসান সমুজ, জগন্নাথপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শংকর রায়সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ধর্মমন্ত্রনালয়ের অর্থায়নে ২০২০ সালের দিকে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকার ঠিকাদারী স্টার লাইট সার্ভিসেস লিমিটেড জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ এলাকায় মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কাজ শুরু করে গত বছর শেষ করে। তিনতলা বিশিষ্ট মসজিদের প্রতিকক্ষের আয়তল ৫৭৫৫ বর্গফুট।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৭৫ বার