ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমের জন্য গ্রামীণ ব্যাংক এবং ড. মুহম্মদ ইউনূসের প্রশংসা করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। একই সঙ্গে বেসরকারি এনজিও সংস্থা- ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের প্রশংসা করেন তিনি।

দারিদ্র্য বিমোচনে এই দুই ব্যক্তির অবদান সবার ওপরে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ দু’জনই দেশের সম্মানিত ব্যক্তি। অবশ্যই তাদের সম্মান করা উচিত। তবে গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ বিতরণের প্রক্রিয়া নিয়ে আরো ভাবতে হবে।

অর্থমন্ত্রী মন্তব্য করেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ফজলে হাসান আবেদের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। তবে উভয় ব্যক্তি ঋণ দেয়া-নেয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট কড়াকড়ি করেন।

খেলাপি ঋণ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, বড়লোকরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তা আর ফেরত দিতে চায় না। শেষ পর্যন্ত তারাই হয় খেলাপি। কিন্তু গরিব লোক ব্যাংক, এনজিও বা অন্য কোনো সংস্থা থেকে ঋণ নিলে তা ফেরত দেয়। সে কারণে গরিব লোক কখনও খেলাপি হয় না।

বৃস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডি ভবনে সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (এসডিএফ) লোন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (এলএমএস) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্র ঋণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দেশে গ্রামীণ ব্যাংকই প্রথম হতদরিদ্রের মধ্যে ক্ষুদ্র ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করে। এরপর থেকে অনেক সংস্থা ও এনজিও এ খাতে এসেছে। তারা হতদরিদ্রের মাঝে ঋণ বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমের কারণে দেশে দারিদ্র্যের হার অনেক কমেছে।

এসডিএফের চেয়ারম্যান এম আই চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. ইউনুসুর রহমান, সাবেক সচিব ও অর্থনীতিবিদ ড. একেএ মুবিন, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি চিমিয়াও ফান এবং এসডিএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এজেডএম সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn