যুক্তরাজ্যেস্থ ছাত্রলীগে’র নেতাকর্মীদের পুনর্মিলনী ২০১৭-প্রস্তুতি সভা
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরবের ৭০ বছরে পদার্পনের প্রাক্কালে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অনুষ্ঠিতব্য পুনর্মিলনীর প্রথম প্রস্তুতিসভা গতকাল সোমবার, ২৪শে এপ্রিল, পুর্ব লন্ডনের স্টিফোর্ড কমিউনটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিলেট জেলা শাখার সাবেক সভাপতি, সর্ব ইউরোপিয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার ফয়জুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাবেক ছাত্রনেতা আমির হাসান চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, কয়েস চৌধুরী, মোহাম্মদ মনির হোসেইন, ইমানুজ্জামান চৌধুরী মহী, কৃষিবিদ নাজিম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, রাফিক উল্লাহ, সৈয়দ তাজির উদ্দিন মান্নান, আহমেদ হাসান, মুজিবুর রহমান জসিম, ব্যারিস্টার ইমরান আহমদ, শাহ শামীম আহমেদ, আসম মিসবাহ, সারব আলী, কাওসার আহমদ চৌধুরী, আব্দুস শহিদ চৌধুরী, সায়েদ আহমদ সাদ, আমিনুল হক জিলু, বাবুল খান, মল্লিক শাকুর ওয়াদুদ, এম এ ফয়সল, সিজিল মিয়া, নানু মোহাম্মদ শেখ, আনাম উদ্দিন, ইকবাল বাল্মিকি, দিলওয়ার হোসেন, নুরে আলম রতন, জলিল চৌধুরী, খসরুজ্জামান খসরু, কবির খান, রাসেল আহমেদ, ইকবাল হোসেন, সুলতান মাহমুদ, একেএম আব্দুল্লাহ, আশিকুল ইসলাম আশিক, সৈয়দ তারেক আহমেদ, আসাদ উদ্দিন, জালাল উদ্দিন করিম, সাহেল আহমেদ তপাদার, মাহমুদ আলী, স্বপন মিয়া, নজরুল ইসলাম, মাসুম আহমেদ, এম এ হোসেন রানা, এম এ সালাম প্রমুখ।
সভায় বক্তারা, পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭০ বছরের ইতিহাস–ঐতিহ্য, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প ২১ এবং ৪১–এর মর্মকথা ও বর্তমান সরকারের উন্নয়নের কথাগুলো তুলে ধরাই হলো যুক্তরাজ্যস্থ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পুনর্মিলনীর মূখ্য উদ্দেশ্য। কেননা, বর্তমান প্রজন্ম বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও ছাত্রলীগের ইতিহাস–ঐতিহ্য ভাল করে উপলব্ধি করতে পারে না বলেই তারা বিভ্রান্তিতে ভোগে। তারা আদর্শিক রাজনীতি থেকে আজ দুরে সরে যাচ্ছে। সুতরাং জননেত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প অনুধাবন করতে হলে জ্ঞানভিত্তিক রাজনীতির চর্চা ও প্রয়োগ আজ খুবই প্রয়োজন। জ্ঞানভিত্তিক রাজনীতির চর্চা ও প্রয়োগের অভাবেই আজ ভাইপ্রীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনায় গঠিত একটি জাতীয় ভিত্তিক ছাত্র সংগঠন। ছাত্রলীগের গৌরবময় ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করে বঙ্গবন্ধু তাই বলতেন, ছাত্রলীগের ইতিহাস, বাংলা ও বাঙালির ইতিহাস। ছাত্রলীগ কোন আঞ্চলিক সংগঠন নয়। সুতরাং আজ যারা ছাত্রলীগের পুনর্মিলনীর নামে একটি বিভাগের মধ্যে আবদ্ধ রাখতে চান, তারা মূলতঃ সংগঠনের মূল চেতনার বিরুদ্ধেই কাজ করছেন। বক্তারা আশা করেন, যারা এখনও আঞ্চলিকতা আর বিভ্রান্তি ছড়িয়ে যাচ্ছেন তারা ভুল বুঝতে পেরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যুক্তরাজ্যস্থ নেতাকর্মীদের পুনর্মিলনী ২০১৭ এই ব্যানারের ছায়াতলে সমবেত হয়ে একটি বিশাল ও স্বার্থক পুনর্মিলনী করতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন। উল্লেখ্য, সিলেট বিভাগভিত্তিক ছাত্রলীগের কথিত পুনর্মিলনীর উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে সদস্য সচিব খসরুজ্জামান খসরু প্রস্তুতিসভায় যোগদিয়ে এ ঘোষনা দেন যে, তিনি ফিরে গিয়ে সবার সাথে আলোচনা করে বাংলাদেশের সকল বিভাগের প্রতিনিধিত্বকারী পুনর্মিলনীর ব্যানারের ছায়াতলে সমবেত হতে সচেষ্ট হবেন।
বক্তারা যারা বিভিন্নভাবে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে কিংবা প্রভাব বিস্তার করে জাতীয় ভিত্তিক পুনর্মিলনীকে বাঁধাগ্রস্থ করার অপচেষ্টা করছেন তা পরিহার করারও আহ্বান জানান এবং তাঁদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে বলে প্রত্যাশা করেন। তারা আরো বলেন, আমরা বিভেদ নয় ঐক্যে বিশ্বাস করি। এছাড়া সবাই আমরা মুজিবাদর্শের সৈনিক এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ায় শেখ হাসিনার পাশে থেকে ভ্যানগার্ডের ভুমিকা পালন করতে চাই।